বিশ্ব শান্তিরক্ষী দিবস-বিশ্বশান্তি রক্ষায় বাংলাদেশ by ওয়ালিউল্লাহ
বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষী কার্যক্রমের অভাবনীয় সফলতাকে স্মরণ করিয়ে দিতে প্রতিবছর সাড়ম্বরে উদ্যাপিত হচ্ছে শান্তিরক্ষী দিবস। ২০১২ সালের ১১ ডিসেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৫৭/১২৯ প্রস্তাবনার আলোকে ২৯ মে বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষী দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
শান্তিরক্ষী কার্যক্রম শুরুতে কয়েকটি দেশে সীমাবদ্ধ থাকলেও এর বিস্তৃতি ঘটেছে অন্তর্দ্বন্দ্ব কলহে মেতে ওঠা বিশ্বের অনগ্রসরমাণ হতদরিদ্র কয়েকটি দেশে। স্বার্থান্বেষী নেতৃত্ব দেশগুলোতে বিভেদ অনৈক্যের বীজ বপন করে উন্নয়নকামী মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ধূলিসাৎ করে কলহে জড়িয়ে ফেলে। অপার সম্ভাবনাময় এ দেশগুলো লুণ্ঠন আর নৈরাজ্যের কারণে বিপর্যয়ের শিকার হয়েছে, গৃহযুদ্ধ বেধেছে; নিরীহ নারী-পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধ, জাতি-ধর্মনির্বিশেষে সবাই নির্যাতিত হয়েছে, বাস্তুভিটা ত্যাগ করে তাদের পরবাসে যেতে হয়েছে।
মানুষের এই অবর্ণনীয় দুঃখকষ্ট লাঘবে ও শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ তখন জরুরি হয়ে পড়ে। সে কারণে পরাশক্তির পরামর্শে বিভিন্ন দেশকেসেনা পাঠানোর অনুরোধ জানানো হয়। বিভিন্ন দেশ থেকে আগত শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা জাতিসংঘ প্রণীত দায়িত্বাবলি পালনের লক্ষ্যে তাঁদের কার্যক্রম শুরু করেন। জাতিসংঘে কর্মরত সদস্য এই দিনে আত্মবিশ্লেষণের মাধ্যমে নিজেদের কার্যক্রম মূল্যায়ন করার সুযোগ পান। সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তৃতার মাধ্যমে এ দিবসে শান্তিরক্ষী বাহিনীর কর্মতৎপরতার প্রতি আলোকপাত করা হয়। শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয় সহযোদ্ধাদের, যাঁরা শান্তি আনয়নে তাঁদের জীবন দান করে মহিমান্বিত করে গেছেন শান্তি কার্যক্রমকে। কয়েক যুগ ধরে বিবদমান দলের সংঘর্ষে লিপ্ত দেশগুলো সাধারণ জনগণকে ঘরছাড়া করে মানবেতর জীবনযাপনে বাধ্য করেছে। শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা নিরলস পরিশ্রম করে শান্তির প্রলেপ ছুঁয়ে দিয়েছেন কলহে লিপ্ত দেশগুলোতে। নিরন্তর প্রেষণা, স্নেহ, ভালোবাসা, মমত্ত্ববোধ ঘেরা এই কার্যক্রম সফল হয়েছে প্রত্যেক সদস্যের একাগ্রতা এবং নিষ্ঠার কারণে।
১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ ইরাকে মোতায়েনরত ইউনিমগে তার পর্যবেক্ষক দল প্রেরণ করে। একটি বহুজাতিক সেনা দলের কার্যক্রমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যোগদান জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে রয়েছে। সেদিনের এই সাহসী সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশের সেনা দল তার পেশাগত দক্ষতা প্রদর্শনের সুযোগ লাভ করে। শান্তিরক্ষী কার্যক্রমে বাংলাদেশের আজকের অগ্রণী ভূমিকার ভিত সেদিন রচিত হয়েছে। বহুজাতিক বাহিনীর সঙ্গে কাজ করার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর অবদান আজ সর্বস্বীকৃত। জাতিসংঘ মহাসচিবসহ বিশ্বনেতাদের অকুণ্ঠ প্রশংসা অর্জন সম্ভব হয়েছে বাংলাদেশ শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও আত্মত্যাগের ফলে। ১৯৮৮ থেকে আজ অবধি বাংলাদেশ ৩৫টি দেশে ৪৪টি মিশনে ৯৮ হাজার ৬৯৯ জন সেনাসদস্য পাঠায়। বর্তমানে ৭৮টি দেশে নয়টি মিশনে সাত হাজার ৬৩২ জন সেনাসদস্য শান্তিরক্ষী মিশনে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। এশিয়া মহাদেশের আটটি দেশের ১৪টি মিশনে, আফ্রিকার ১৩টি দেশে ১৪টি মিশনে, ইউরোপে পাঁচটি দেশের ছয়টি মিশনে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাইতির একটি মিশনে উঁচু মানের পেশাগত দক্ষতা প্রদর্শন করে মিশন সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ। সেখানে বিশ্বাস এবং আস্থার আবহ সৃষ্টি করেছেন কঠোর পরিশ্রমী বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় সেনাসদস্যরা। নিরস্ত্রীকরণ, অস্ত্র সমর্পণ, বিদ্রোহীদের আত্মসমর্পণসহ সব যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে পুনর্বাসন কার্যক্রম শেষে শুরু করতে হয়েছে আইনের শাসন এবং মানবাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, যা প্রায় ভুলতে বসেছিল সে দেশের জনগণ।
শান্তিরক্ষায় অনবদ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ শান্তিরক্ষী বাহিনীকে ১৯৮৮ সালে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। একমাত্র পেশাগত দক্ষতা, সাহসী ভূমিকা এবং আনুগত্যের ফলে শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা শান্তিপ্রত্যাশী মানুষের প্রশংসা ও গর্বের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি প্রশাসক, পুলিশ অফিসার, অর্থনীতিবিদ, আইন বিশেষজ্ঞ, নির্বাচন পর্যবেক্ষক, মানবাধিকার কর্মী, বেসামরিক প্রশাসনের বিশেষজ্ঞরা, মানবিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী কর্মীরা আজ বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত রয়েছেন। আজকের বিশ্ব বহুমুখী চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হওয়ায় জাতিসংঘ বাহিনীকে নতুন থেকে নতুনতর পরিস্থিতি মোকাবিলা, আবহাওয়া পরিবর্তন, দূষণসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজতে হচ্ছে। এ দেশের সেনাসদস্যদের নিষ্ঠা এবং দৃঢ় নেতৃত্বের ফলে বহুজাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনীর নেতৃত্ব প্রদানকারী ফোর্স কমান্ডারের পদটি অর্জন সম্ভব হয়েছে। শান্তিরক্ষী বাহিনীর কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে এ দেশের সন্তানেরা শুধু বাংলাদেশের জন্য সম্মান বয়ে নিয়ে আসেননি, এনেছেন বহু কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা। শান্তিরক্ষী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে আমাদের সেনারা তাঁদের সহায়ক সামগ্রী বয়ে নিয়ে গেছেন, ফলে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে। এই অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ন, মিশনের জন্য আবশ্যকীয় সরঞ্জাম এবং অন্যান্য ব্যয় নির্বাহ করার সুযোগ পেয়েছে।
আজ ২৯ মে বিশ্ব শান্তিরক্ষী দিবস। এই দিনটিতে শান্তিরক্ষী কার্যক্রমে আমাদের গর্বিত অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। আজ বাংলাদেশ সবার কাছে শান্তি স্থাপনকারী বীরের দেশ হিসেবে প্রতিভাত হচ্ছে। সর্বক্ষেত্রে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার আলোকবর্তী কার্যক্রম সবাইকে অনুপ্রাণিত করবে অনাদিকাল ধরে। এ সাফল্যের গাথা, বীরের গাথা, যে গাথা এ দেশের সন্তানদের কঠোর পরিশ্রম আর আত্মত্যাগের মাধ্যমে রচিত হয়েছে। আজকের দিনে আমরা সেই সব বীরকে স্মরণ করি, যাঁদের আত্মত্যাগের ফলে শান্তিরক্ষা সম্ভব হয়েছে এবং বাংলাদেশ বিশ্বে তার অবস্থান সমুজ্জ্বল করতে পেরেছে।
লে. কর্নেল ওয়ালিউল্লাহ (অব.): সাবেক সেনা কর্মকর্তা।
মানুষের এই অবর্ণনীয় দুঃখকষ্ট লাঘবে ও শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ তখন জরুরি হয়ে পড়ে। সে কারণে পরাশক্তির পরামর্শে বিভিন্ন দেশকেসেনা পাঠানোর অনুরোধ জানানো হয়। বিভিন্ন দেশ থেকে আগত শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা জাতিসংঘ প্রণীত দায়িত্বাবলি পালনের লক্ষ্যে তাঁদের কার্যক্রম শুরু করেন। জাতিসংঘে কর্মরত সদস্য এই দিনে আত্মবিশ্লেষণের মাধ্যমে নিজেদের কার্যক্রম মূল্যায়ন করার সুযোগ পান। সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তৃতার মাধ্যমে এ দিবসে শান্তিরক্ষী বাহিনীর কর্মতৎপরতার প্রতি আলোকপাত করা হয়। শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয় সহযোদ্ধাদের, যাঁরা শান্তি আনয়নে তাঁদের জীবন দান করে মহিমান্বিত করে গেছেন শান্তি কার্যক্রমকে। কয়েক যুগ ধরে বিবদমান দলের সংঘর্ষে লিপ্ত দেশগুলো সাধারণ জনগণকে ঘরছাড়া করে মানবেতর জীবনযাপনে বাধ্য করেছে। শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা নিরলস পরিশ্রম করে শান্তির প্রলেপ ছুঁয়ে দিয়েছেন কলহে লিপ্ত দেশগুলোতে। নিরন্তর প্রেষণা, স্নেহ, ভালোবাসা, মমত্ত্ববোধ ঘেরা এই কার্যক্রম সফল হয়েছে প্রত্যেক সদস্যের একাগ্রতা এবং নিষ্ঠার কারণে।
১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ ইরাকে মোতায়েনরত ইউনিমগে তার পর্যবেক্ষক দল প্রেরণ করে। একটি বহুজাতিক সেনা দলের কার্যক্রমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যোগদান জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে রয়েছে। সেদিনের এই সাহসী সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশের সেনা দল তার পেশাগত দক্ষতা প্রদর্শনের সুযোগ লাভ করে। শান্তিরক্ষী কার্যক্রমে বাংলাদেশের আজকের অগ্রণী ভূমিকার ভিত সেদিন রচিত হয়েছে। বহুজাতিক বাহিনীর সঙ্গে কাজ করার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর অবদান আজ সর্বস্বীকৃত। জাতিসংঘ মহাসচিবসহ বিশ্বনেতাদের অকুণ্ঠ প্রশংসা অর্জন সম্ভব হয়েছে বাংলাদেশ শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও আত্মত্যাগের ফলে। ১৯৮৮ থেকে আজ অবধি বাংলাদেশ ৩৫টি দেশে ৪৪টি মিশনে ৯৮ হাজার ৬৯৯ জন সেনাসদস্য পাঠায়। বর্তমানে ৭৮টি দেশে নয়টি মিশনে সাত হাজার ৬৩২ জন সেনাসদস্য শান্তিরক্ষী মিশনে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। এশিয়া মহাদেশের আটটি দেশের ১৪টি মিশনে, আফ্রিকার ১৩টি দেশে ১৪টি মিশনে, ইউরোপে পাঁচটি দেশের ছয়টি মিশনে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাইতির একটি মিশনে উঁচু মানের পেশাগত দক্ষতা প্রদর্শন করে মিশন সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ। সেখানে বিশ্বাস এবং আস্থার আবহ সৃষ্টি করেছেন কঠোর পরিশ্রমী বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় সেনাসদস্যরা। নিরস্ত্রীকরণ, অস্ত্র সমর্পণ, বিদ্রোহীদের আত্মসমর্পণসহ সব যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে পুনর্বাসন কার্যক্রম শেষে শুরু করতে হয়েছে আইনের শাসন এবং মানবাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, যা প্রায় ভুলতে বসেছিল সে দেশের জনগণ।
শান্তিরক্ষায় অনবদ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ শান্তিরক্ষী বাহিনীকে ১৯৮৮ সালে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। একমাত্র পেশাগত দক্ষতা, সাহসী ভূমিকা এবং আনুগত্যের ফলে শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা শান্তিপ্রত্যাশী মানুষের প্রশংসা ও গর্বের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি প্রশাসক, পুলিশ অফিসার, অর্থনীতিবিদ, আইন বিশেষজ্ঞ, নির্বাচন পর্যবেক্ষক, মানবাধিকার কর্মী, বেসামরিক প্রশাসনের বিশেষজ্ঞরা, মানবিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী কর্মীরা আজ বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত রয়েছেন। আজকের বিশ্ব বহুমুখী চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হওয়ায় জাতিসংঘ বাহিনীকে নতুন থেকে নতুনতর পরিস্থিতি মোকাবিলা, আবহাওয়া পরিবর্তন, দূষণসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজতে হচ্ছে। এ দেশের সেনাসদস্যদের নিষ্ঠা এবং দৃঢ় নেতৃত্বের ফলে বহুজাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনীর নেতৃত্ব প্রদানকারী ফোর্স কমান্ডারের পদটি অর্জন সম্ভব হয়েছে। শান্তিরক্ষী বাহিনীর কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে এ দেশের সন্তানেরা শুধু বাংলাদেশের জন্য সম্মান বয়ে নিয়ে আসেননি, এনেছেন বহু কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা। শান্তিরক্ষী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে আমাদের সেনারা তাঁদের সহায়ক সামগ্রী বয়ে নিয়ে গেছেন, ফলে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে। এই অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ন, মিশনের জন্য আবশ্যকীয় সরঞ্জাম এবং অন্যান্য ব্যয় নির্বাহ করার সুযোগ পেয়েছে।
আজ ২৯ মে বিশ্ব শান্তিরক্ষী দিবস। এই দিনটিতে শান্তিরক্ষী কার্যক্রমে আমাদের গর্বিত অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। আজ বাংলাদেশ সবার কাছে শান্তি স্থাপনকারী বীরের দেশ হিসেবে প্রতিভাত হচ্ছে। সর্বক্ষেত্রে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার আলোকবর্তী কার্যক্রম সবাইকে অনুপ্রাণিত করবে অনাদিকাল ধরে। এ সাফল্যের গাথা, বীরের গাথা, যে গাথা এ দেশের সন্তানদের কঠোর পরিশ্রম আর আত্মত্যাগের মাধ্যমে রচিত হয়েছে। আজকের দিনে আমরা সেই সব বীরকে স্মরণ করি, যাঁদের আত্মত্যাগের ফলে শান্তিরক্ষা সম্ভব হয়েছে এবং বাংলাদেশ বিশ্বে তার অবস্থান সমুজ্জ্বল করতে পেরেছে।
লে. কর্নেল ওয়ালিউল্লাহ (অব.): সাবেক সেনা কর্মকর্তা।
No comments