মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার-বিচার শুরু নিজামী ও কাদের মোল্লার

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় বুদ্ধিজীবী হত্যাসহ মানবতাবিরোধী ১৬টি অপরাধে জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধেও অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।


এ অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে জামায়াতের এই দুই নেতার বিচার শুরু হলো। নিজামীর বিরুদ্ধে আগামী ১ জুলাই এবং কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে ২০ জুন সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। এ দুজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের অংশ হিসেবে ওই দিন সূচনা বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য ধার্য করা হয়েছে। বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ নিজামীর বিরুদ্ধে এবং বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। যদিও এ দুজনই নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চেয়েছেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ পর্যন্ত পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হলো। এর আগে জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযম, নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
এদিকে সাকা চৌধুরী এমপি ও দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষীদের জেরা চলছে। সাকার বিরুদ্ধে ৩ নম্বর সাক্ষীকে এবং সাঈদীর বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তাকে গতকাল ১ নম্বর ট্রাইব্যুনালে জেরা করা হয়েছে।
নিজামীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের ৩(২)(এ), ৩(২)(সি), ৩(২)(জি), ৩(২)(এইচ), ৪(১), ৪(২) ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, লুট, ধর্ষণ, উসকানি ও সহায়তা, পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র এবং বুদ্ধিজীবী হত্যাসহ মোট ১৬টি ঘটনায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
নিজামীর বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন যেসব ঘটনা তুলে ধরেছে সেগুলোর মধ্যে একাত্তরের ডিসেম্বরে পাবনার বেড়া থানার বৃশালিকা গ্রাম ঘেরাও করে ৭০ জনকে গুলি করে হত্যা এবং ৭২টি বাড়িতে আগুন দেওয়া, ডেমরা ও বাউশগাড়ী গ্রামে ৪৫০ জন নারী-পুরুষকে গুলি করে হত্যা, সাঁথিয়া উপজেলার করমজা গ্রামে মন্দিরের সামনে লাইনে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা, ধর্ষণ ও লুটপাটের ঘটনা উল্লেখযোগ্য। নিজামীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ বুদ্ধিজীবী হত্যার সরাসরি অভিযোগ না আনলেও ট্রাইব্যুনাল সরাসরি অভিযোগ গঠন করেছেন। গত ৯ জানুয়ারি নিজামীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ফরমাল চার্জ (আনুষ্ঠানিক অভিযোগ) আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। এতে মোট ১৫টি অভিযোগ ছিল। অভিযোগ গঠনকালে বুদ্ধিজীবী হত্যা যোগ হয়েছে।
কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের ৩(২)(এ), ৩(২)(জি), ৩(২)(এইচ), ৩(১), ৩(২)(এ)(এইচ) ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে মিরপুরে কবি মেহেরুন্নেসা ও তাঁর মা-ভাইসহ পরিবারের চারজনকে হত্যা, পল্লবীর আলোকদি গ্রামে ৩৪৪ জনকে হত্যা (৪৪ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে), খন্দকার আবু তালেবকে হত্যা, বাংলা কলেজের ছাত্র পল্লবকে হত্যা, কেরানীগঞ্জের শহীদনগর গ্রামের ভাওয়াল খান বাড়ি ও খাটারচরসহ পাশের আরো দুটি গ্রামের ওসমান ও আবদুল গনিকে হত্যা এবং ওই এলাকার ১১ জনকে ধরে নিয়ে গুলি করে হত্যাসহ অসংখ্য লোককে হত্যার ঘটনা উল্লেখযোগ্য।
কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আটটি অভিযোগ উত্থাপন করলেও ট্রাইব্যুনাল ছয়টি বিষয়ে অভিযোগ গঠন করেছেন।
কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে গত বছরের ১ নভেম্বর জমা দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনে হত্যা, খুন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়। ২৮ ডিসেম্বর তাঁর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। গত ১৬ এপ্রিল আবদুল কাদের মোল্লার মামলাসহ তিনটি মামলা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ থেকে ট্রাইব্যুনাল-২-এ স্থানান্তর করা হয়। মামলা স্থানান্তরের আগে গত ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরু হয়। প্রসিকিউশন কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে শুনানি শেষ করেছিল। আসামিপক্ষের শুনানিও শুরু হয়েছিল। তবে মামলা স্থানান্তরের কারণে ফের শুনানি নিয়ে অভিযোগ গঠন করলেন ট্রাইব্যুনাল-২।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগের মামলায় ২০১০ সালের ২৯ জুন মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ ও দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই বছর ১৩ জুলাই মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ও আবদুল কাদের মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে একই বছরের ২ আগস্ট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে।
নিজামীর বিরুদ্ধে যত অভিযোগ
এক : ১৯৭১ সালের ৩ আগস্ট নিজামী চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউট হলে শহর ছাত্রসংঘের এক সুধী সমাবেশে পাকিস্তান রক্ষার পক্ষে বক্তব্য দেন। ওই সভায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রসংঘের সভাপতি আবু তাহের হিন্দু সমপ্রদায়কে নিশ্চিহ্ন করার পক্ষে বলেন। নিজামী ওই সভায় উপস্থিত থেকেও আবু তাহেরের বক্তব্যের বিরোধিতা না করে মৌন সম্মতি দেন।
দুই : একই বছরের ২২ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক একাডেমী হলে আল-মাদানী স্মরণসভায় বক্তব্য দিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করেন স্বাধীনতাকামীদের নিশ্চিহ্ন করতে। এরপর তাঁরা সারা দেশে সংগঠিত হয়ে অপরাধ করতে থাকেন, যার দায় নিজামীর।
তিন : একই বছরের ৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন প্রাঙ্গণে এক ছাত্রসমাবেশে উসকানিমূলক বক্তব্য দেন নিজামী।
চার : একই বছরের ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর যশোর বিডি হলে ছাত্রসংঘের মিটিংয়ে জিহাদের সমর্থনে বক্তব্য দেন। নিজামী ওই মিটিংয়ে নিরীহ বাঙালি হত্যার নির্দেশ দেন।
পাঁচ : একই বছরের ১৪ মে নিজামীর নেতৃত্বে পাকিস্তান সেনাবাহিনী, রাজাকার, আলবদররা পাবনার ডেমরা ও বাউসগাতি গ্রাম ঘেরাও করে। এরপর ৪৫০ হিন্দুকে এক জায়গায় জড়ো করে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করে। সেখানে মহিলাদের ধর্ষণ করা হয়।
ছয় : নিজামীর নির্দেশে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় একই বছরের ৮ মে পাবনার সাঁথিয়া থানার করমজা গ্রামে লোক জড়ো করে নির্বিচারে সুরেন্দ্র নাথ ঠাকুরসহ অসংখ্য লোককে হত্যা করা হয়। ধর্ষণ করা হয় মহিলাদের।
সাত : একই বছরের ২৭ ও ২৮ নভেম্বর পাবনার সাঁথিয়া থানার ধোলাউড়ি গ্রামে ডা. আবদুল আওয়ালের বাড়ি ও আশপাশের বাড়িতে হামলা চালিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয় ৩০ জনকে। সেখান থেকে চারজনকে ধরে ইছামতি নদীর পারে নিয়ে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করা হয়। সেখানে শাহজাহান আলীকে জবাই করে ফেলে যাওয়া হলে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান তিনি।
আট : ১৬ এপ্রিল ঈশ্বরদী থানার আটপাড়া ও বুথেরগাড়ি গ্রামে হামলা চালিয়ে ১৯ জনকে গুলি করে হত্যা।
নয় : ১০ জুন আতাইকুলা থানার মাতপুর গ্রামের মাওলানা কছিমউদ্দিনকে ধরে ইছামতি নদীর পারে নিয়ে হত্যা।
দশ : ৯ আগস্ট পাবনা শহরের নূরপুর ওয়াপদা মোড় থেকে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মাজেদসহ দুজনকে ধরে নিয়ে হত্যার পর পাবনা সুগার মিলের পাশে লাশ ফেলে দেওয়া।
এগারো : ৩ ডিসেম্বর বেড়া থানার বিছাখালী গ্রামে হামলা চালিয়ে ৭০ জনকে হত্যা।
বারো : আগস্টের কোনো একসময় সাঁথিয়ার সোনাতলা গ্রামে হামলা চালিয়ে ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া।
তেরো : মে মাসে ঢাকার মোহাম্মদপুরে শারীরিক শিক্ষা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও রাজাকাররা ক্যাম্প স্থাপনের পর সেখানে গোলাম আযম ও নিজামী নিয়মিত যাতায়াত করতেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে সলাপরামর্শ করতেন। তারই ফসল হিসেবে সারা দেশে হত্যা ও নির্যাতন।
চৌদ্দ : ৩০ আগস্ট রাতে পুরাতন এমপি হোস্টেলে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ক্যাম্পে বন্দি জালাল, রুমী, বদিসহ বেশ কয়েকজনকে গুলি করে হত্যার নির্দেশ দেন নিজামী ও মুজাহিদ। এরপর তাঁদের হত্যা করা হয়।
পনেরো : একই বছরের ৫ মে থেকে ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে পাবনার সাঁথিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে রাজাকার ক্যাম্পে মাঝেমধ্যে যেতেন নিজামী। সেখানে রাজাকার কমান্ডার সামাদ মিয়ার সঙ্গে বৈঠক করে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের জন্য সলাপরামর্শ করেন।
ষোল : সারা দেশে ছাত্রসংঘ ও আলবদর বাহিনীর সদস্যরা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহযোগী হিসেবে হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে, তার দায় নিজামীর। কারণ নিজামী ছাত্রসংঘের সভাপতি ও আলবদর বাহিনীর প্রধান হিসেবে ওই সব কর্মকাণ্ডের উসকানিদাতা, মদদদাতা, পরিকল্পনাকারী।
অভিযোগ গঠনের শুনানিতে গত ১৫ মার্চ নিজামীর বিরুদ্ধে একাত্তরে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ঢাকা, চট্টগ্রাম, পাবনা ও যশোরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে একাধিক গণহত্যা, সাড়ে পাঁচ শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার ১৫টি অভিযোগ আনা হয়। নিজামীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ যে ১৫টি অভিযোগ উত্থাপন করে তাতে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ছিল না। তবে এ ১৫টি অভিযোগের বাইরে ফরমাল চার্জের উপসংহারে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আলবদর বাহিনীর প্রধান হিসেবে নিজামীকে দায়ী করা হয়। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের ঊষালগ্নে ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নিজামীকে সরাসরি সম্পৃক্ত না করায় সেদিন ট্রাইব্যুনালের বিচারকরা বিস্ময় প্রকাশ করেন। জবাবে প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী ও আলতাফ উদ্দিন আহমেদ ট্রাইব্যুনালে বলেছিলেন, বুদ্ধিজীবী হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। সারা দেশে আলবদর বাহিনীর অপরাধের দায় নিজামীর। আর এ কারণে আলাদাভাবে অভিযোগ আনা হয়নি।
নিজামীর বক্তব্য : গতকাল অভিযোগ গঠনের আগে নিজামীকে আসামির কাঠগড়া থেকে সাক্ষীর কাঠগড়ায় নেওয়া হয়। যাতে তিনি অভিযোগগুলো স্পষ্ট করে শুনতে পারেন। তাঁর বিরুদ্ধে একে একে সব অভিযোগ উত্থাপনের পর ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বলেন, 'আপনি দোষী, না নির্দোষ?' জবাবে নিজামী নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। তিনি এ সময় আরো কিছু কথা বলার জন্য ট্রাইব্যুনালের অনুমতি চান।
নিজামী বলেন, 'একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আমার দলের রাজনীতির বাইরে অন্য কোনো কার্যক্রম ছিল না। জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রসংঘ মানবতাবিরোধী কোনো কাজ করেনি।' তিনি বলেন, 'জেনোসাইডে যে পরিস্থিতি ঘটেছে তার সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা নেই। সেপ্টেম্বরে আমি ইসলামী ছাত্রসংঘের সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়াই। এরপর আমার কোনো অংশগ্রহণ ছিল না।' তিনি আরো বলেন, 'বুদ্ধিজীবী হত্যার ঘটনা যখন ঘটে, তখন জামায়াত বা ইসলামী ছাত্রসংঘের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। এ কারণে তখন আমার কোনো ভূমিকা থাকার কথা নয়।'
নিজামী বলেন, 'আমাকে চার্জশিটের যে কপি দেওয়া হয়েছে তার ৩৬ পৃষ্ঠায় রাজাকার বাহিনী গঠন সম্পর্কে উল্লেখ আছে। তাদের (রাষ্ট্রপক্ষ) দেওয়া ডকুমেন্টেই প্রমাণ করে আমার রাজাকার বাহিনীর অধিনায়ক হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। রাজাকার বাহিনী গঠন হয়েছিল সরকারি অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে।' তিনি বলেন, '১৯৯১ সালে আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হই। এরপরই ১৯৯২ সালে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটির কারণে আমাদের সংসদে, সুপ্রিম কোর্টে এবং রাজপথে লড়তে হয়েছে। ওই সময় ট্রাইব্যুনাল তাঁকে রাজনৈতিক কোনো বক্তব্য না রাখার অনুরোধ করেন। ট্রাইব্যুনাল বলেন, আপনার সব বক্তব্য শোনার সময় আছে। তখন বলবেন। এরপরও নিজামী বলেন, 'রাজনৈতিক ভূমিকার কারণে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত করার কোনো সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি না।' ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান আবারও আপত্তি জানান।

No comments

Powered by Blogger.