সংলাপের পূর্বশর্ত-বিবেচনা করা হোক গণতন্ত্রের স্বার্থ
সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে নতুন করে সংলাপের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে- গন্তব্য সমঝোতা। কিন্তু সংলাপ নিয়ে শর্তের ঘেরাটোপ। এতে রাজনীতি সংঘাতের দিকেই যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ রাজনীতি থেকে পরমতসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি উধাও।
'দেখতে নারি চলন বাঁকা'- এটাই এখন আদর্শ হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর। পারস্পরিক ছিদ্রান্বেষণে জটিলতা বাড়ছে। বাড়ছে অস্থিতিশীলতা। আর সেই অস্থিতিশীলতার সুযোগ নিতে পারে অপশক্তি। আবার একটি অনিশ্চিত অবস্থার ইঙ্গিত স্পষ্ট হয়ে ওঠার আগেই রাজনৈতিক সমঝোতায় যেতে হবে।
স্বাভাবিক কারণেই নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে সংলাপের বিষয়টি আবারও সামনে এসেছে। দেশের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের পাশাপাশি বিদেশিরাও রাজনৈতিক সমঝোতার বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন। সমঝোতায় পৌঁছানোর লক্ষ্যে সংলাপে বসার ব্যাপারে তাগিদ আসছে বিভিন্ন মহল থেকে। নাগরিক সমাজও চায় সংলাপ হোক। কারণ একটি অনিশ্চিত রাজনৈতিক অবস্থা কারো কাম্য নয়। এ ব্যাপারে সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে রাজনৈতিক দলগুলোকেই। আপাতত রাজনৈতিক দলগুলোরও সংলাপে আপত্তি নেই বলে ধারণা করা যেতে পারে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই দলই সংলাপের ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছে। সংলাপের ব্যাপারে আগ্রহ জানালেও উভয় দল শর্ত জুড়ে দিচ্ছে। একদিকে বিএনপির কাছে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব চেয়েছে আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে বিএনপি বলেছে, সংলাপে আপত্তি নেই। তবে দলীয় লোকদের দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার হবে না, এমন নিশ্চয়তা দিতে হবে। 'সালিস মানি কিন্তু তালগাছটা আমার'- অবস্থাটা এখন অনেকটাই এ রকম। কেউ কাউকে ছাড় দিতে প্রস্তুত নয়। এমন অবস্থায় জাতীয় সংসদের স্পিকার আবদুল হামিদও বলেছেন, চলমান রাজনৈতিক সমস্যার সমাধানে বিরোধী দল সংলাপে বসতে রাজি হলে তিনি মধ্যস্থতাকারীর দায়িত্ব পালন করবেন। স্পিকারের এ অবস্থান অবশ্যই ধন্যবাদার্হ। তিনি নিরপেক্ষ একটি ভূমিকায় থেকে দুই দলকে যদি একটি সমঝোতায় আনতে পারেন তাহলে গণতন্ত্রের জন্য সেটা কল্যাণকর হবে।
গণতন্ত্রের অন্যতম শর্ত হচ্ছে পরমতসহিষ্ণুতা। আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো সে ব্যাপারে নিজেদের মতো করে গোঁ ধরে থাকলে সেটা রাজনীতি বা গণতন্ত্রের জন্য কোনো কল্যাণ বয়ে আনবে না। বরং রাজনীতির আকাশে কালো মেঘ ঘনীভূত হবে। নতুন কোনো ঝড়ের আশঙ্কাও সে ক্ষেত্রে একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। বিএনপি যে শর্ত দিচ্ছে, বর্তমান সংবিধানের অধীনে তা পূরণ সম্ভব নয়। আবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যে বিষয়টি আওয়ামী লীগ বলছে, সেটাও সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। বর্তমান সংবিধান কোনো অনির্বাচিত সরকারের অনুমোদন দেয়নি। সে ক্ষেত্রে তত্ত্বাবধায়ক বা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অনির্বাচিত হলে সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন হবে।
কাজেই বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে। সংবিধান পরিবর্তন করতেই হবে এমন অবস্থানে বিএনপি স্থির থাকলেও দলটিকে সংসদে যেতে হবে। আবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা কী হতে পারে সেটাও আওয়ামী লীগকে সংসদে উত্থাপন করতে হবে। সংসদের বাইরে সংলাপ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একটি ঐকমত্যে পৌঁছে উভয় দল বা জোটকে বিষয়টি সংসদেই তুলতে হবে। সে ক্ষেত্রে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার জন্য স্পিকারের আগ্রহ বিবেচনা করে দেখতে পারে উভয় দল বা জোট। তাতে গণতন্ত্র লাভবান হবে।
উভয় পক্ষকে মনে রাখতে হবে, গণতন্ত্রের বিকল্প নেই। সুতরাং সংলাপের প্রধান এবং একমাত্র শর্ত হওয়া উচিত গণতন্ত্রের স্বার্থ। সেটাই প্রথম ও প্রধান বিবেচ্য বিষয় হওয়া উচিত।
স্বাভাবিক কারণেই নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে সংলাপের বিষয়টি আবারও সামনে এসেছে। দেশের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের পাশাপাশি বিদেশিরাও রাজনৈতিক সমঝোতার বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন। সমঝোতায় পৌঁছানোর লক্ষ্যে সংলাপে বসার ব্যাপারে তাগিদ আসছে বিভিন্ন মহল থেকে। নাগরিক সমাজও চায় সংলাপ হোক। কারণ একটি অনিশ্চিত রাজনৈতিক অবস্থা কারো কাম্য নয়। এ ব্যাপারে সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে রাজনৈতিক দলগুলোকেই। আপাতত রাজনৈতিক দলগুলোরও সংলাপে আপত্তি নেই বলে ধারণা করা যেতে পারে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই দলই সংলাপের ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছে। সংলাপের ব্যাপারে আগ্রহ জানালেও উভয় দল শর্ত জুড়ে দিচ্ছে। একদিকে বিএনপির কাছে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব চেয়েছে আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে বিএনপি বলেছে, সংলাপে আপত্তি নেই। তবে দলীয় লোকদের দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার হবে না, এমন নিশ্চয়তা দিতে হবে। 'সালিস মানি কিন্তু তালগাছটা আমার'- অবস্থাটা এখন অনেকটাই এ রকম। কেউ কাউকে ছাড় দিতে প্রস্তুত নয়। এমন অবস্থায় জাতীয় সংসদের স্পিকার আবদুল হামিদও বলেছেন, চলমান রাজনৈতিক সমস্যার সমাধানে বিরোধী দল সংলাপে বসতে রাজি হলে তিনি মধ্যস্থতাকারীর দায়িত্ব পালন করবেন। স্পিকারের এ অবস্থান অবশ্যই ধন্যবাদার্হ। তিনি নিরপেক্ষ একটি ভূমিকায় থেকে দুই দলকে যদি একটি সমঝোতায় আনতে পারেন তাহলে গণতন্ত্রের জন্য সেটা কল্যাণকর হবে।
গণতন্ত্রের অন্যতম শর্ত হচ্ছে পরমতসহিষ্ণুতা। আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো সে ব্যাপারে নিজেদের মতো করে গোঁ ধরে থাকলে সেটা রাজনীতি বা গণতন্ত্রের জন্য কোনো কল্যাণ বয়ে আনবে না। বরং রাজনীতির আকাশে কালো মেঘ ঘনীভূত হবে। নতুন কোনো ঝড়ের আশঙ্কাও সে ক্ষেত্রে একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। বিএনপি যে শর্ত দিচ্ছে, বর্তমান সংবিধানের অধীনে তা পূরণ সম্ভব নয়। আবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যে বিষয়টি আওয়ামী লীগ বলছে, সেটাও সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। বর্তমান সংবিধান কোনো অনির্বাচিত সরকারের অনুমোদন দেয়নি। সে ক্ষেত্রে তত্ত্বাবধায়ক বা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অনির্বাচিত হলে সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন হবে।
কাজেই বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে। সংবিধান পরিবর্তন করতেই হবে এমন অবস্থানে বিএনপি স্থির থাকলেও দলটিকে সংসদে যেতে হবে। আবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা কী হতে পারে সেটাও আওয়ামী লীগকে সংসদে উত্থাপন করতে হবে। সংসদের বাইরে সংলাপ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একটি ঐকমত্যে পৌঁছে উভয় দল বা জোটকে বিষয়টি সংসদেই তুলতে হবে। সে ক্ষেত্রে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার জন্য স্পিকারের আগ্রহ বিবেচনা করে দেখতে পারে উভয় দল বা জোট। তাতে গণতন্ত্র লাভবান হবে।
উভয় পক্ষকে মনে রাখতে হবে, গণতন্ত্রের বিকল্প নেই। সুতরাং সংলাপের প্রধান এবং একমাত্র শর্ত হওয়া উচিত গণতন্ত্রের স্বার্থ। সেটাই প্রথম ও প্রধান বিবেচ্য বিষয় হওয়া উচিত।
No comments