বৃহত্তম মহাসমাবেশে ফিরে এলো মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান ‘জয় বাংলা’- ড. জাফর ইকবাল বললেন, ‘তোমরা জাগো, তোমাদের বিজয় হবেই। জয় বাংলা’ by বিভাষ বাড়ৈ
‘আমার জীবনে এত আনন্দের দিন আর কখনও
আসেনি। যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে আজকের ২০১৩ সাল একাত্তর সালে
রূপান্তরিত হয়েছে। আজকের এই দিনে শুধু আমি আনন্দিত নয়।
শহীদ জননী জাহানারা ইমামও উপর থেকে এই সমাবেশ দেখছেন আর হাসছেন। শহীদ জননী
তোমাদের জমায়েত দেখে উপর থেকে বলছেন, থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ, তোমাদের
ধন্যবাদ। তোমরা যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখনি, তোমরা যারা সংগ্রাম দেখনি আজকের
দিনটি দেখে মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনের কথা স্মরণ করতে পার। তোমরা আজ
জেগে উঠেছ, বিজয় হবেই। জয় বাংলা’ একাত্তরের ঘাতক যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি,
মৌলবাদী রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে লাখ লাখ প্রতিবাদী মানুষের মহাসমাবেশে
সংহতি প্রকাশ করতে এসে আবেগাপ্লুত হয়ে কণ্ঠে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন
জনপ্রিয় লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল। কেবল তিনি নয়, গণসমুদ্র দেখে অভিভূত হয়ে
একে দেশের ইতিহাসে বৃহত্তম মহাসমাবেশ বলে অভিহিত করলেন একাত্তরের বীর
মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবারের সদস্যসহ দেশের প্রতিটি আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত
ব্যক্তিরা। আর রাজনৈতিক বিভাজনের বেড়াজালে ভেঙ্গে বহু বছর পর মহান
মুক্তিযুদ্ধের সেই গগনবিদারী সেøাগান, ‘জয় বাংলা’ তুমি কে, আমি কে বাঙালী
বাঙালী, পদ্মা মেঘনা যমুনা/ তোমার আমার ঠিকানা’ শাহবাগ স্কয়ারে সর্বজনীন
রূপ পাওয়ায় আবেগাপুøত হয়ে পড়লেন তাঁরা। সারাদেশ থেকে আসা প্রবীণ
মুক্তিযোদ্ধারা তরুণ প্রজন্মের এ জাগরণ দেখে হয়ে পড়েছিলেন আবেগাপ্লুত।
বললেন, একাত্তরে আমরা দেশ স্বাধীন করেছি। আজ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখার দায়িত্ব তোমাদের হাতে ছেড়ে দিলাম। জয়
বাংলা আমাদের ঐক্যের প্রেরণা। দেশজুড়ে প্রতিবাদের নাম এখন শাহবাগ। বিপ্লবী
সেøাগানে প্রকম্পিত রাজপথ। কাদের মোল্লাসহ সব যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির দাবিতে
শাহবাগের এ আন্দোলন শহর থেকে গ্রাম, টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত ছড়িয়ে
পড়ে। শাহবাগের এ আন্দোলন শুধু এখন শাহবাগে নেই, ৫৬ হাজার বর্গমাইলজুড়ে এ
আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। জেগে ওঠা তারুণ্যের এ আওয়াজ যেন আর থামবার নয়। শাহবাগের
উত্তাল জনসমুদ্র থেকে লাখো কণ্ঠে উচ্চারিত হয় যুদ্ধাপরাধী ঘাতকদের ফাঁসির
দাবিতে সেøাগান। সেই সেøাগান ছড়িয়ে পড়ছে একাত্তরে ৩০ লাখ শহীদের রক্তে কেনা
ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের প্রতিটি প্রান্তে। পুরো বাংলাদেশই যেন এখন
শাহবাগ। কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে তিন দিন আগে শাহবাগ স্কয়ার তথা
প্রজন্ম চত্বরে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল তা ছড়িয়ে পড়েছে সারা বাংলাদেশেই।
তবুও শুক্রবার পুরো বাংলাদেশের দৃষ্টি ছিল শাহবাগের দিকে। ঘড়ির কাঁটায় ৩টা
বাজলে এ মহাসমাবেশ শুরু হওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। তবে তার আগেই সমাবেশস্থল
এরই মধ্যে পরিণত হয় জনসমুদ্রে। সকাল থেকেই ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে থেকে
জনস্রোতের মতো আসতে থাকেন মানুষ। তবে কোন নেতার জন্য নয়। সাধারণের মঞ্চে
সাধারণ মানুষই বক্তব্য রাখবেন। মহাসমাবেশ নানাদিক থেকেই ছিল ব্যতিক্রম।
যেখানে ছিল না কোন প্রধান অতিথি। রাজনীতিবিদদের বক্তব্য দেয়ার অধিকারও ছিল
না। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটি ঘুরপাক খায় কী কর্মসূচী আসছে এ
মহাসমাবেশ থেকে। দাবিও বা কি? জনতার ঢল থেকে আসা সবচেয়ে বড় দাবি কাদের
মোল্লাসহ সব যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি। জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিও
উচ্চকিত হচ্ছে বার বার। অনশন আর হরতালের মতো কর্মসূচীর কথাও বলছেন কেউ কেউ।
জামায়াত-শিবিরকে প্রতিহত করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
শাহবাগের প্রজন্ম স্কয়ারে লাখ লাখ জনতার উদাত্ত সেøাগান ৭ মার্চের রেসকোর্স ময়দানের কথা মনে করিয়ে দিল মুক্তিযোদ্ধাদের। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবিতে লাখ লাখ জনতা হাজির হয়েছে। শিশু থেকে বৃদ্ধা পর্যন্ত এমন কেউ বাদ ছিল না যারা সমাবেশে উপস্থিত হয়নি। সায়েন্সল্যাব, বাংলামোটর, মৎস্য ভবন এবং ঢাকা মেডিক্যাল মোড় পর্যন্ত লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধারা বললেন, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে যেমন রেসকোর্স ময়দায়ে উপস্থিত হয়েছিলেন লাখ লাখ জনতা। তাদের একটাই দাবি ছিল স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। শাহবাগে উপস্থিত জনতার তেমনই একটাই দাবি মানবতাবিরোধী অপরাধীদের ফাঁসি, রাজাকারদের নির্মূল। সমাবেশে আসা লাখ লাখ জনতার সবার মুখে ধ্বনিত হয় মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার। আর এই বিচারের রায় একটাই তা হলো ফাঁসি। মঞ্চে থেকে সেøাগানের সঙ্গে সঙ্গে সবাই মুখে উচ্চারিত হয় একই সেøাগান। সমাবেশে কেউ এসেছেন তার শিশুসন্তান নিয়ে আবার কেউ এসেছেন তার প্রিয়জনকে নিয়ে। সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো এসেছেন মুখে জাগরণী গান আর হাতে নানান বাদ্যযন্ত্র নিয়ে। কারও মুখে গান, কারও মুখে আবৃত্তি। কেউ এসে প্রতীকী ফাঁসির মঞ্চ নিয়ে। সমাবেশের চারপাশে চলে গণস্বাক্ষর। তাদের একটিই দাবি যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি না হওয়া পর্যন্ত কেউ ঘরে ফিরে যাবে না। সেøাগানে মুখরিত শাহবাগ। জয়বাংলা, জয় বাংলাদেশ বীর বাঙালীর হাতিয়ার-গর্জে ওঠ আরেকবার/জামায়াত মারার হাতিয়ার-শিবির মারার হাতিয়ার গর্জে ওঠ আরেকবার/ দালালদের আস্তানা/ ভেঙ্গে দাও গুঁড়িয়ে দাও/সাম্প্রদায়িকতার আস্তানা-রাজাকারের আস্তানা-জামায়াতের আস্তানা ভেঙ্গে দাও গুঁড়িয়ে দাও/পাকিস্তানের প্রেতাত্মা পাকিস্তানেই ফিরে যা/লাখো শহীদ ডাক পাঠাল সারা বাংলায় খবর দে, সারা বাংলা ঘেরাও করে জামায়াত-শিবির কবর দে/ জামায়াত-শিবির রাজাকার এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়, বাংলাদেশের মাটিতে জামায়াত-শিবিরের ঠাঁই নেই/আমাদের ধমনিতে শহীদের রক্ত/শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না, তোমার আমার ঠিকানা শাহবাগ-শাহবাগ/ ক-তে কাদের মোল্লা/তুই রাজাকার তুই রাজাকার/ ন-তে নিজামী/ তুই রাজাকার তুই রাজাকার/ ম-তে মুজাহিদ/ তুই রাজাকার তুই রাজাকার/ গ-তে গোলাম আযম/ তুই রাজাকার তুই রাজাকার। এ রকম শত শত সেøাগান আর গানে মুখরিত শাহবাগ। অনেক সেøাগান হলো রাজনৈতিক বিভাজনের বেড়াজালে ভেঙ্গে বহু বছর পর মহান মুক্তিযুদ্ধের সেই গগনবিদারী সেøাগান, ‘জয় বাংলা’ পদ্মা মেঘনা যমুনা/তোমার আমার ঠিকানা’ শাহবাগ স্কয়ারে সর্বজনীন রূপ পাওয়ায় আবেগাপুøত হয়ে পড়লেন হাজার হাজার মানুষ। তরুণ প্রজন্মের উত্তাল গণসমুদ্রে এসে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, জনপ্রিয় লেখক অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত। ছিলেন বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের সহধর্মিণী মিলি রহমান।
লাখ লাখ জনতার সামনে তরুণদের উদ্দেশে তাঁরা বললেন, পৃথিবীতে তোমাদের মতো মানুষ আর হয় না। তোমারা যখন জেগেছ আমাদের আর কেউ পরাজিত করতে পারবে না। জাফর ইকবাল বলেন, তরুণ সমাজকে নিয়ে এত দিন আমার যে ধারণা ছিল, তা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। আমি ভাবতাম তরুণরা কেবল ফেসবুক, ব্লগিং করে; আমার এ ধারণা ভুল ছিল। তোমার আমাকে ক্ষমা করে দাও। যখন তোমাদের পড়ার সময় পড়বে, গান গাইবার সময় গাইবে, ছবি আঁকার সময় ছবি আঁকবে, প্রেম করার সময় প্রেম করবে আর প্রতিবাদ করার সময় জ্বলে উঠবে। মিলি রহমান বলেন, আমাদের তরুণ প্রজন্ম জেগে উঠেছে। আমাদের আর কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। লাখ লাখ লোকের দিকে তাকিয়ে তিনি বলেন, এই সেই একাত্তর, যেখানে আমরা দেশ স্বাধীন করেছি। আজ তোমরা রাজাকারমুক্ত দেশ গঠন করবে। শিবিরমুক্ত স্বাধীন দেশ গড়বে। অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বিশাল জনসমুদ্র দেখে বলেন, তোমরা দেশকে জাগিয়ে তুলেছ। সারাদেশ আজ মৌলবাদী যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চায়। জয় বাংলা সেøাগান আমাদের একাত্তরের মতো প্রেরণা যোগায়। এরপরই এই মুত্তিযোদ্ধা সেøাগান তোলেন, জয় বাংলা/ জয় বঙ্গবন্ধু। তাঁর কণ্ঠে সুর মিলিয়ে সেøাগান তোলো জনসমুদ্র।
শাহবাগের প্রজন্ম স্কয়ারে লাখ লাখ জনতার উদাত্ত সেøাগান ৭ মার্চের রেসকোর্স ময়দানের কথা মনে করিয়ে দিল মুক্তিযোদ্ধাদের। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবিতে লাখ লাখ জনতা হাজির হয়েছে। শিশু থেকে বৃদ্ধা পর্যন্ত এমন কেউ বাদ ছিল না যারা সমাবেশে উপস্থিত হয়নি। সায়েন্সল্যাব, বাংলামোটর, মৎস্য ভবন এবং ঢাকা মেডিক্যাল মোড় পর্যন্ত লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধারা বললেন, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে যেমন রেসকোর্স ময়দায়ে উপস্থিত হয়েছিলেন লাখ লাখ জনতা। তাদের একটাই দাবি ছিল স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। শাহবাগে উপস্থিত জনতার তেমনই একটাই দাবি মানবতাবিরোধী অপরাধীদের ফাঁসি, রাজাকারদের নির্মূল। সমাবেশে আসা লাখ লাখ জনতার সবার মুখে ধ্বনিত হয় মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার। আর এই বিচারের রায় একটাই তা হলো ফাঁসি। মঞ্চে থেকে সেøাগানের সঙ্গে সঙ্গে সবাই মুখে উচ্চারিত হয় একই সেøাগান। সমাবেশে কেউ এসেছেন তার শিশুসন্তান নিয়ে আবার কেউ এসেছেন তার প্রিয়জনকে নিয়ে। সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো এসেছেন মুখে জাগরণী গান আর হাতে নানান বাদ্যযন্ত্র নিয়ে। কারও মুখে গান, কারও মুখে আবৃত্তি। কেউ এসে প্রতীকী ফাঁসির মঞ্চ নিয়ে। সমাবেশের চারপাশে চলে গণস্বাক্ষর। তাদের একটিই দাবি যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি না হওয়া পর্যন্ত কেউ ঘরে ফিরে যাবে না। সেøাগানে মুখরিত শাহবাগ। জয়বাংলা, জয় বাংলাদেশ বীর বাঙালীর হাতিয়ার-গর্জে ওঠ আরেকবার/জামায়াত মারার হাতিয়ার-শিবির মারার হাতিয়ার গর্জে ওঠ আরেকবার/ দালালদের আস্তানা/ ভেঙ্গে দাও গুঁড়িয়ে দাও/সাম্প্রদায়িকতার আস্তানা-রাজাকারের আস্তানা-জামায়াতের আস্তানা ভেঙ্গে দাও গুঁড়িয়ে দাও/পাকিস্তানের প্রেতাত্মা পাকিস্তানেই ফিরে যা/লাখো শহীদ ডাক পাঠাল সারা বাংলায় খবর দে, সারা বাংলা ঘেরাও করে জামায়াত-শিবির কবর দে/ জামায়াত-শিবির রাজাকার এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়, বাংলাদেশের মাটিতে জামায়াত-শিবিরের ঠাঁই নেই/আমাদের ধমনিতে শহীদের রক্ত/শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না, তোমার আমার ঠিকানা শাহবাগ-শাহবাগ/ ক-তে কাদের মোল্লা/তুই রাজাকার তুই রাজাকার/ ন-তে নিজামী/ তুই রাজাকার তুই রাজাকার/ ম-তে মুজাহিদ/ তুই রাজাকার তুই রাজাকার/ গ-তে গোলাম আযম/ তুই রাজাকার তুই রাজাকার। এ রকম শত শত সেøাগান আর গানে মুখরিত শাহবাগ। অনেক সেøাগান হলো রাজনৈতিক বিভাজনের বেড়াজালে ভেঙ্গে বহু বছর পর মহান মুক্তিযুদ্ধের সেই গগনবিদারী সেøাগান, ‘জয় বাংলা’ পদ্মা মেঘনা যমুনা/তোমার আমার ঠিকানা’ শাহবাগ স্কয়ারে সর্বজনীন রূপ পাওয়ায় আবেগাপুøত হয়ে পড়লেন হাজার হাজার মানুষ। তরুণ প্রজন্মের উত্তাল গণসমুদ্রে এসে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, জনপ্রিয় লেখক অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত। ছিলেন বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের সহধর্মিণী মিলি রহমান।
লাখ লাখ জনতার সামনে তরুণদের উদ্দেশে তাঁরা বললেন, পৃথিবীতে তোমাদের মতো মানুষ আর হয় না। তোমারা যখন জেগেছ আমাদের আর কেউ পরাজিত করতে পারবে না। জাফর ইকবাল বলেন, তরুণ সমাজকে নিয়ে এত দিন আমার যে ধারণা ছিল, তা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। আমি ভাবতাম তরুণরা কেবল ফেসবুক, ব্লগিং করে; আমার এ ধারণা ভুল ছিল। তোমার আমাকে ক্ষমা করে দাও। যখন তোমাদের পড়ার সময় পড়বে, গান গাইবার সময় গাইবে, ছবি আঁকার সময় ছবি আঁকবে, প্রেম করার সময় প্রেম করবে আর প্রতিবাদ করার সময় জ্বলে উঠবে। মিলি রহমান বলেন, আমাদের তরুণ প্রজন্ম জেগে উঠেছে। আমাদের আর কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। লাখ লাখ লোকের দিকে তাকিয়ে তিনি বলেন, এই সেই একাত্তর, যেখানে আমরা দেশ স্বাধীন করেছি। আজ তোমরা রাজাকারমুক্ত দেশ গঠন করবে। শিবিরমুক্ত স্বাধীন দেশ গড়বে। অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বিশাল জনসমুদ্র দেখে বলেন, তোমরা দেশকে জাগিয়ে তুলেছ। সারাদেশ আজ মৌলবাদী যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চায়। জয় বাংলা সেøাগান আমাদের একাত্তরের মতো প্রেরণা যোগায়। এরপরই এই মুত্তিযোদ্ধা সেøাগান তোলেন, জয় বাংলা/ জয় বঙ্গবন্ধু। তাঁর কণ্ঠে সুর মিলিয়ে সেøাগান তোলো জনসমুদ্র।
No comments