মুক্তিযোদ্ধাদের চাকরির বয়স বৃদ্ধির বিল পাস
সরকারী চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের বয়সসীমা দুই বছর বৃদ্ধির সিদ্ধানত্মকে আইনে পরিণত করতে বুধবার জাতীয় সংসদে একটি বিল পাস হয়েছে। পাবলিক সার্ভেন্টস (রিটায়ারমেন্ট) (এ্যামেন্ডমেন্ট) ২০১০ নামের বিলটি পাসের জন্য উত্থাপন করেন সংসদকার্যে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইতোপূর্বের বিধানমতে মুক্তিযোদ্ধাসহ সরকারী চাকরিজীবীরা ৫৭ বছর বয়স পূর্তিতে অবসর নিতেন। অবসর গ্রহণের ৰেত্রে ছুটি পাওনাসাপেৰে এ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এক বছর পর্যনত্ম অবসর প্রস্তুতিকালীন ছুটি (এলপিআর) ভোগ করতে পারেন।কিন্তু মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধানত্ম মোতাবেক সরকারী চাকরিরত মুক্তিযোদ্ধাদের চাকরির বয়স ২ বছর বাড়িয়ে ৫৯ বছর করা হয়। এৰেত্রে অবসর প্রস্তুতি ছুটিকে অবসর-উত্তর ছুটি গণ্য করা হয়। যা গত ১৩ ডিসেম্বর অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়। অধ্যাদেশটি আইনে পরিণত করতেই গত ২৭ জানুয়ারি বিলটি সংসদে উত্থাপন করা হয়। পরে তা অধিকতর যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সংসদীয় কমিটিতে প্রেরণ করা হয়েছিল।
স্বতন্ত্রদলীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ ফজলুল আজিমের যাচাই-বাছাই প্রসত্মাব নাকচ করে দিয়ে সৈয়দ আশরাফ বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সনত্মান বলা হলেও তাঁদের জন্য করা হয়েছে খুব কমই। বর্তমান সরকার কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী। তাই মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সরকার নানা পদৰেপ নিয়েছে। অতীতে মুক্তিযোদ্ধাদের তো সম্মান দেয়ায়ই হয়নি, উল্টো বঙ্গবন্ধুসহ মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডারসহ অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে, নির্যাতন-অপমানিত করা হয়েছে। তারা বয়স বাড়ানো তো দূরের কথা, বরং তাঁদের চাকরিচু্যত করেছে।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা কোন কিছু পাওয়ার জন্য যুদ্ধ করেননি। দেশমাতৃকাকে শত্রম্নমুক্ত করে ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা বড় পুরস্কার পেয়েছেন মহান বিজয়ের মাধ্যমে। তিনি বলেন, কোন পুরস্কারই মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য যথেষ্ট হবে না। তাঁদের অসামান্য অবদান ও আত্মত্যাগ কোন কিছু দিয়েই শোধ করা যাবে না। তবে সামান্য পুরস্কার হিসেবেই মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বসয়সীমা দু'বছর বাড়ানো হয়েছে। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে অন্য সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরির মেয়াদ দু'বছর বাড়ানো হলে মুক্তিযোদ্ধাদের বয়স আরও দু'বছর বাড়ানো হবে।
বিলটি পাস ছাড়াও সংসদে বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির দ্বিতীয় রিপোর্ট উপস্থাপন করা হয়।
No comments