শুরু হলো একুশের অনুষ্ঠান
‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে
ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ গানটি ছায়ানটের শিল্পীরা যখন পরিবেশন
করছিলেন, তখন উপস্থিত অনেকেই স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাতে কণ্ঠ মিলিয়েছেন।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের একুশের অনুষ্ঠানমালায় দেখা গেছে এই চিত্র।
তিন দশকের ধারাবাহিকতায় গতকাল শুক্রবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের
পাদদেশে শুরু হয়েছে জোটের ১৪ দিনব্যাপী একুশের অনুষ্ঠানমালা। এই আয়োজনে
সমবেত সবাই সোচ্চার ছিলেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং সাম্প্রদায়িক রাজনীতি
নিষিদ্ধ করার দাবিতে। পাশাপাশি তাঁরা আদালতসহ দেশের সর্বস্তরে বাংলা ভাষার
যথাযথ ব্যবহারের দাবিও জানান।
এবারের স্লোগান ‘একুশ আছে জয়োদ্ধত, একুশ বাঁচে অবিরত’। অনুষ্ঠানের শুরুতেই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শহীদ মিনারের বেদিতে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। এরপর সমবেত কণ্ঠে পরিবেশিত হয় জাতীয় সংগীত। জাতীয় সংগীত শেষে শহীদদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর সমবেত কণ্ঠে পরিবেশিত হয় ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’।
অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন একুশের প্রথম শহীদের ছবি তোলা আলোকচিত্রী ও ভাষাসংগ্রামী আমানুল হক। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সভাপতি লিয়াকত আলী লাকী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহসভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ, আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহ্্কাম উল্লাহ্ ও আবৃত্তিশিল্পী ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়। সভাপতিত্ব করেন পথনাটক পরিষদের সভাপতি মান্নান হীরা। সঞ্চালনা করেন আবৃত্তিকার রফিকুল ইসলাম।
বক্তব্য শেষে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রথমে সমবেত কণ্ঠে কয়েকটি গান শোনান গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের শিল্পীরা। এরপর গান শোনান সমর বড়ুয়া। সব শেষে ছিল মান্নান হীরার লেখা আরণ্যক নাট্যদলের পথনাটক খেঁকশেয়াল-এর প্রদর্শনী।
মাহমুদুল হকের চিত্রকলা প্রদর্শনীর উদ্বোধন
বেঙ্গল গ্যালারি অব ফাইন আর্টসের আয়োজনে গতকাল শুরু হয়েছে শিল্পী মাহমুদুল হকের ‘বিদ্যমানতার পুনর্নির্মাণ’ শীর্ষক একক চিত্রকলা প্রদর্শনী। সন্ধ্যায় বেঙ্গল শিল্পালয়ে এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি ইউন-ইয়ং ও ইয়ংওয়ান করপোরেশনের চেয়ারম্যান কিহাক সাং। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন শিল্পী মাহমুদুল হক, অধ্যাপক আবুল মনসুর এবং বেঙ্গল গ্যালারি অব ফাইন আর্টসের পরিচালক সুবীর চৌধুরী।
প্রদর্শনীতে মোট চিত্রকর্মের সংখ্যা ৪৪টি। প্রদর্শনী চলবে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
শিল্পী মাহমুদুল হক ১৯৪৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারু ও কারুকলা কলেজ থেকে বিএফএ এবং ১৯৮৪ সালে জাপানের সুকুবা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএফএ ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ১৯৮১ ও ১৯৮২ দুই বছর জাপানের সুকুবা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাপচিত্রের ওপর গবেষণা করেন। এ পর্যন্ত তাঁর ৩৯টি একক প্রদর্শনী হয়েছে এবং বহু দলবদ্ধ প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন।
এবারের স্লোগান ‘একুশ আছে জয়োদ্ধত, একুশ বাঁচে অবিরত’। অনুষ্ঠানের শুরুতেই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শহীদ মিনারের বেদিতে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। এরপর সমবেত কণ্ঠে পরিবেশিত হয় জাতীয় সংগীত। জাতীয় সংগীত শেষে শহীদদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর সমবেত কণ্ঠে পরিবেশিত হয় ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’।
অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন একুশের প্রথম শহীদের ছবি তোলা আলোকচিত্রী ও ভাষাসংগ্রামী আমানুল হক। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সভাপতি লিয়াকত আলী লাকী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহসভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ, আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহ্্কাম উল্লাহ্ ও আবৃত্তিশিল্পী ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়। সভাপতিত্ব করেন পথনাটক পরিষদের সভাপতি মান্নান হীরা। সঞ্চালনা করেন আবৃত্তিকার রফিকুল ইসলাম।
বক্তব্য শেষে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রথমে সমবেত কণ্ঠে কয়েকটি গান শোনান গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের শিল্পীরা। এরপর গান শোনান সমর বড়ুয়া। সব শেষে ছিল মান্নান হীরার লেখা আরণ্যক নাট্যদলের পথনাটক খেঁকশেয়াল-এর প্রদর্শনী।
মাহমুদুল হকের চিত্রকলা প্রদর্শনীর উদ্বোধন
বেঙ্গল গ্যালারি অব ফাইন আর্টসের আয়োজনে গতকাল শুরু হয়েছে শিল্পী মাহমুদুল হকের ‘বিদ্যমানতার পুনর্নির্মাণ’ শীর্ষক একক চিত্রকলা প্রদর্শনী। সন্ধ্যায় বেঙ্গল শিল্পালয়ে এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি ইউন-ইয়ং ও ইয়ংওয়ান করপোরেশনের চেয়ারম্যান কিহাক সাং। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন শিল্পী মাহমুদুল হক, অধ্যাপক আবুল মনসুর এবং বেঙ্গল গ্যালারি অব ফাইন আর্টসের পরিচালক সুবীর চৌধুরী।
প্রদর্শনীতে মোট চিত্রকর্মের সংখ্যা ৪৪টি। প্রদর্শনী চলবে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
শিল্পী মাহমুদুল হক ১৯৪৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারু ও কারুকলা কলেজ থেকে বিএফএ এবং ১৯৮৪ সালে জাপানের সুকুবা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএফএ ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ১৯৮১ ও ১৯৮২ দুই বছর জাপানের সুকুবা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাপচিত্রের ওপর গবেষণা করেন। এ পর্যন্ত তাঁর ৩৯টি একক প্রদর্শনী হয়েছে এবং বহু দলবদ্ধ প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন।
No comments