আর কতটা সহিংসতা প্রয়োজন? by ড. এ কে এম শাহনাওয়াজ
তরুণ সহকর্মীটি ফোনে কথা বলতে গিয়ে ডুকরে কেঁদে উঠল। টেলিফোনের এ প্রান্তে বসে আমি ওকে অনুভব করলাম। আমার স্নেহভাজন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক আমাকে শিবির-ছাত্রলীগ সংঘাত এবং শিবিরের তা-বের বর্ণনা দিচ্ছিল।
এরপর আমি শিক রাজনীতির সাথে যুক্ত এবং শিক রাজনীতিমুক্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন কয়েকজন শিকের সাথে টেলিফোনে কথা বললাম। উদ্দেশ্য ছিল তাদের তাৎণিক প্রতিক্রিয়া জানা। কারণ আমরা জানি একদিন পরেই বিভিন্ন রঙের রাজনীতিকগণ যাঁর যাঁর অবস্থানকে মাথায় রেখে বক্তব্য দিতে থাকবেন। যেমন দু'দিন পরেই আওয়ামী নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত তাঁর দৃঢ় ও সুললিত শব্দচয়নে রগকা টা রাজনীতির মহানায়ক শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানালেন। কিছু সংখ্যক অন্ধকারের জীব ছাড়া সকলেই তাঁর সেন্টিমেন্টের সাথে একমত হবেন বলে আমরা মনে করি। কিন্তু যথার্থ মনে করা যেত একই সঙ্গে যদি বর্তমান ধারার ও বর্তমান সময়ের ছাত্রলীগ রাজনীতিরও সমালোচনা করতেন এবং এর বিরম্নদ্ধে পদপে নেয়ার কথা বলতেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র আবু বকর পুলিশের শেলে বা অন্যকোন অপঘাতে মারা গেলেও একে তো ছাত্রলীগের কোন্দল থেকে সৃষ্ট সঙ্কটের শিকারই বলতে হবে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ছাত্রলীগের উন্মত্ততা তো কম ঘটছে না। আরেক মাত্রা যোগ করেছে আনন্দ মোহন কলেজে। শ্রদ্ধেয় সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এসব উদাহরণ মহান সংসদে আড়াল করে ন্যায় সিদ্ধানত্ম নিতে জনমত গঠন করবেন কীভাবে? অন্যদিকে আরেক কাঠি সরেস জামায়াত নেতা আলী আহসান মুজাহিদ। তিনি তো সাংবাদিকদের ডেকে জানিয়েই দিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা যে শিবির ঘটিয়েছে এখনও এর প্রমাণ পাননি তাঁরা। তাছাড়া শিবির নাকি রগকাটা রাজনীতি বিশ্বাস করে না। যদি বিশ্ব রসিকতা প্রতিযোগিতা হয় তবে আমরা নিশ্চিত এ বক্তব্যের জন্য জনাব মুজাহিদীর স্বর্ণ বিজয় নিশ্চিত।এ কারণেই আমি অঘটনের কেন্দ্রস্থলের নানা রাজনৈতিক মতাদর্শ ও মুক্ত মনের সহকমর্ীদের তাৎণিক প্রতিক্রিয়া জানতে আগ্রহী হয়েছিলাম। জামায়াত সমর্থিত কোন শিকের সাথে পরিচয় না থাকায় ঐ অঞ্চলের প্রতিক্রিয়া জানতে পারিনি। বাকি সকলেই ছাত্রশিবিরের নারকীয় আচরণে বিমর্ষ ও ুব্ধ। বিভিন্ন দৈনিকের রিপোর্ট পড়ে যতটুকু জেনেছি তার চেয়ে এই প্রায়-প্রত্যদশর্ীদের বিবরণ ছিল অনেক বেশি হৃদয়বিদারক। এক তরম্নণ শিক বললেন, স্যার আমরা একাত্তর দেখিনি তবে আল বদরদের যে নৃশংসতার কথা পড়েছি শিবির ক্যাডারদের ভয়ঙ্কর আচরণ যেন তারই এ যুগের ভার্সন।
আমি যাঁদের সাথে কথা বলেছি তাঁদের সকলের অনুমান অভিন্ন। তাঁরা মনে করেন আক্রমণের ধরন বলে দেয় এটি ছিল একটি পরিকল্পিত আঘাত এবং পরিকল্পনাটি জামায়াতের উচ্চ পর্যায়ের। অঘটনের অল্পদিন আগে রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল শিবিরের সম্মেলন। আলবদর অভিজ্ঞ নিজামীর উপস্থিতি ছিল সেখানে। এর পরেই অঘটন ঘটে। বিপুল জনবল নিয়ে গেরিলা কায়দায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি হলে শিবিরের আক্রমণ। অনেকে অনুমান করেছেন এই আক্রমণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবির নেতা কমর্ীদের সাথে সম্মেলনে আসা রগকাটা, চাইনিজ কুড়ালে আঘাত হানতে পারা বিশেষজ্ঞ কমর্ীরাও অংশ নিয়েছিল। সবাই মনে করছেন সিটে ওঠার মতো তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এমন মর্মানত্মিক হামলা সংঘটিত হতে পারে না। এসব েেত্র অনেক সময় তাৎণিক ছাত্র সংঘাত হয়ে থাকে। কিন্তু শিবির যে তা-ব ঘটিয়েছে তার জন্য অবশ্যই পূর্ব প্রস্তুতি থাকতে হবে।
যার যেখানে ভীতি সেখান থেকেই সে রা পেতে চায়। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার ও রায় কার্যকর হয়ে যাওয়ার পর জামায়াত এখন যুদ্ধাপরাধী বিচারের বিষয়টিকে খাটো করে দেখতে পারছে না। তাছাড়া আদালত গড়িয়ে এসে এখন ধর্মভিত্তিক রাজনীতি করার দিনও অনেকটা ফুরিয়ে আসছে। তাই জামায়াত অনেকটা মরিয়া এখন। যেহেতু রাজনীতি দিয়ে মোকাবেলা করার মতো সুস্থতা জামায়াতের নেই ফলে দেশকে অরাজকতার মধ্যে ফেলে দিয়ে ফায়দা লোটা এখন এদের একমাত্র আরাধ্য।
রাজশাহীতে শিবির কমর্ীদের উত্তেজিত করার আরেকটি মোম অস্ত্র ছিল। কয়েক মাস আগে সংঘাতে নিহত হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিবির নেতা। তাই শিবির কমর্ীদের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছিল প্রতিশোধের আগুন। সহকমর্ীরা শিবিরের পরিকল্পিত এ্যাকশনের কথা এভাবে জানালেন, প্রাথমিক উত্তেজনা প্রশমিত হওয়ার পর এবং হলে পুলিশী তলস্নাশি শেষ হলে এক রকম নিশ্চিনত্ম হয়েছিল কর্তৃপ। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে কোন কোন এলাকায় শিবির কমর্ীরা জরো হচ্ছে এমন খবর ভিসি মহোদয়ের কাছে আসে। তিনি পুলিশ কমিশনারকে অবহিতও করেন। পর্যাপ্ত পুলিশী ব্যবস্থা আছে বলে কমিশনার জানান এবং আশ্বসত্ম করেন কোন অঘটন ঘটবে না বলে। কিন্তু দুর্ভাগ্য শিবিরের চূড়ানত্ম আক্রমণের ভয়ঙ্কর পর্বে পুলিশী ভূমিকা দেখা যায়নি। পরিকল্পনা মতো নির্ধারিত কয়েকটি গেট দিয়ে জঙ্গী শিবির কমর্ীরা একযোগে প্রবেশ করে। কয়েকটি ছাত্র হল এদের টার্গেট ছিল। হলগুলোর বিদু্যত লাইন কেটে দেয়। ছাত্র, প্রশাসন ও পুলিশকে বিভ্রানত্ম করার জন্য 'জয় বাংলা' 'জয় বঙ্গবন্ধু' সেস্নাগান দেয়। যাতে সবাই মনে করে শিবির চলে গেছে। ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণে গোটা হল। প্রত্যদশর্ী কেউ কেউ জানিয়েছেন অন্ধকারে জঙ্গী শিবির কমর্ীদের কারও কারও হাতে ছিল সাত ব্যাটারির বড় টর্চ লাইট। যেমনটি নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে থাকে। এরপর চাইনিজ কুড়াল, রড, হাতুড়ি আর ছুরি দিয়ে ছাত্র হত্যা, হাত পা মুখ থেঁতলে দেয়া, চিরতরে পঙ্গু করে দেয়ার জন্য হাত-পায়ের রগ কেটে ফেলা এসব জঘন্য নির্মমতার কথা আমরা অনেকেই কাগজে পড়েছি।
আমাদের দেশের অসুস্থ রাজনীতি সৃষ্ট সংঘাতের ছাত্র রাজনীতি নতুন কিছু নয়। আমি দীর্ঘদিন একটি হলের প্রভোস্টের দায়িত্বে ছিলাম। এসব সংঘাতের স্বরূপ আমাদের কমবেশি জানা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবির কখনও দাঁড়াতে পারেনি। এখনও প্রকাশ্যে কোন শিবির সংগঠন কার্যকর নেই। জামায়াত সমর্থিত শিকদের চেনা গেলেও ছাত্র শিবিরকে স্বরূপে পাওয়া যাবে না। এ কারণে ছাত্রশিবিরের রগকাটা, ঠা-া মাথায় মানুষ হত্যা, ম্যানহোলে লাশ গুম করা ইত্যাদির প্রথা পদ্ধতি চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংশিস্নষ্টরা যেভাবে জানেন আমরা সেভাবে জানি না। ফলে ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের মারামারির ধরন ও দৌড় কতদূর সে ছক আমাদের কমবেশি জানা। পারস্পরিক সংঘর্ষের সময় কখনও কখনও বড় রকমের দুর্ঘটনাও ঘটেছে কিন্তু পরিকল্পনার ছক কেটে মানুষ হত্যা করার একাত্তরের আলবদরী স্টাইল শিবির ছাড়া আর কারও মধ্যে তেমনভাবে দেখা যায়নি।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বিপুল জনসমর্থন নিয়ে রাষ্ট্রমতায় বসা আওয়ামী লীগের আমলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী প্রশাসন বহাল থাকার পরও শিবিরের জঙ্গীরা এমন ভয়াবহ পরিকল্পনা বাসত্মবায়ন করতে পারল কীভাবে? এর উত্তর খোঁজার জন্য আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং শহরসংশিস্নষ্ট নানা জনের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেছি টেলিফোনে। তাতে মনে হয়েছে মতাসীনদের বিভিন্ন দুর্বলতা শিবিরকে পরিকল্পনা তৈরি ও বাসত্মবায়নে পথ দেখিয়েছে। প্রথমত, কেউ কেউ মনে করেন মহাজোট সরকার মতায় আসার পর পায়ের নিচের মাটি শক্ত হওয়ার আগেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ অনেক বেশি শক্তি প্রদর্শন করতে চেয়েছিল। নিজ রাজত্বে শিবির তা পছন্দ করেনি। অনেকের মধ্যেই প্রচলিত ধারণা আছে যে আওয়ামী লীগের ধর্ম হচ্ছে তারা বন্ধু বাড়াতে চায় না বরঞ্চ বন্ধুহীন হতে পছন্দ করে। তাই মুক্তিযুদ্ধের পরে মুক্তচিনত্মার মানুষদের সাথে বন্ধুত্বের প্রশ্ন তো নয়ই বরঞ্চ সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও আওয়ামী ঘরানার শিকদের মধ্যে দুটি বড় বিভাজন রয়েছে। ছাত্রলীগের দশাও একই। মহাজোট গঠনের পরও ছাত্রলীগ ও ছাত্রমৈত্রীর দূরত্ব কমেনি। কিছুদিন আগেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবেশী শিা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রমৈত্রী-ছাত্রলীগের মধ্যে রক্তয়ী সংঘর্ষ হয়ে গেল। কেউ কেউ মনে করেন রাজশাহীর মেয়র মহোদয় ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তথা ভিসির মধ্যে একটি দূরত্ব রয়েছে_এসব ফাঁকফোকর অপশক্তি নিশ্চয়ই মনোযোগে ল্য করেছে এবং সুযোগমতো ব্যবহার করেছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যলয়ে শিবিরের হামলার পর আওয়ামী লীগ সম্পাদক বলেছেন ছাত্রলীগের মধ্যে অনেক শিবির ঢুকে গেছে। মতায় আসার পর বিভিন্ন দিকে ছাত্রলীগ উন্মত্ততার ঘটনা ঘটালে আওয়ামী লীগের প থেকে একইভাবে বলা হয়েছিল ছাত্রলীগে অনেক ছাত্রদলের কমর্ী নাম ভাঙ্গিয়ে অবস্থান নিচ্ছে। এসব বলার অর্থ ছদ্মবেশীদের কারণেই এতসব অপকর্ম হচ্ছে। না হলে নির্ভেজাল সুবোধ ছাত্রলীগ টেন্ডারবাজি চাঁদাবাজি করত না, ছাত্র সংঘাতে ক্যাম্পাস রক্তাক্ত হতো না। আওয়ামী লীগ সম্পাদকের এমন আবিষ্কারের তথ্য প্রকাশে কী লাভ অর্জিত হবে জানি না, তবে দুটো সঙ্কট তো দানা বাঁধতেই পারে। প্রথমত 'প্রকৃত' ছাত্রলীগ অপকর্মের দায়বদ্ধতা থেকে কিছুটা রেহাই পেল, দ্বিতীয়ত ছাত্রলীগ নেতাকমর্ীদের মধ্যে পারস্পরিক সন্দেহের বীজ উপ্ত হলো। আওয়ামী লীগ শীর্ষস্থানীয়দের এই আবিষ্কার হয়ত অমূলক নয়। তবে এই অভিবাসন ঠেকানোর ব্যর্থতার দায়ভার কে নেবে? বিষয়টি এমন নয় যে রাজশাহীর ঘটনার পর প্রথম এই সত্যটি তাৎণিক আবিষ্কৃৃত হলো। ছাত্রলীগে ছাত্রদল ঢুকে যাওয়া আবিষ্কারের পর এক বছর সময় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। এই দীর্ঘকালপরিসরে ছাত্রলীগ ঘুমিয়ে থাকেনি। নানা অপকর্ম করে সংবাদ মাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে। তাহলে কী ব্যবস্থা নিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যে শিবির বহাল তবিয়তে ছদ্মবেশী ছাত্রলীগ হয়ে গেল? আর এই ভয়ঙ্কর সংবাদটি আওয়ামী লীগ সম্পাদক কেন মাত্র কয়েকদিন আগে জানবেন?
পেশাগত কারণেই ক্যাম্পাসে ছাত্রছাত্রীদের সাথে আমাদের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শ থাকে। শিাথর্ী প্রত্যেকেই এক একটি ভদ্র পরিবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক স্বপ্ন নিয়ে পড়তে আসে। এখানে এসে কেউ কেউ জড়িয়ে যাচ্ছে ছাত্র রাজনীতিতে। অনেকেই রাজনীতিতে নাম লেখাচ্ছে মহৎ উদ্দেশ্য লালন করে। এরপর রাজনীতির অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য এদের এক অংশকে ধীরে ধীরে চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, সন্ত্রাসী-খুনী বানাচ্ছে অদৃশ্য শক্তি। যার যার দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে এসব অপশক্তির বসবাস। আমার অনেক স্নেহভাজন মেধাবী ছাত্র আছে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতির সাথে যুক্ত। ছাত্র রাজনীতির মধ্য দিয়ে দেশকল্যাণে ব্রতী হতে চায়। কিন্তু মূল দলের কেন্দ্রে বসা নিয়ন্ত্রকরা এদের কখনও মূল্যায়ন করেন না। ঢোঁড়া সাপ ঠাওরান। তাদের দরকার ফণাধারী বিষধর সাপ। তাই ছাত্ররাজনীতির সামনের সারিতে যাদের আসার কথা তারা জায়গা পান না। বছরের পর বছর পরীা ড্রপ দিয়ে ছাত্রত্ব বজায় রাখা বিষধররাই মূল্যায়িত হয়। ফলে স্বার্থবাদীদের হাতে যখন রাজনীতি থাকে এবং এই সব অঙ্গ যখন দলের মূল দেহের আশ্রয় পায় তখন তারা আজদাহা হয়ে যায়। একই সঙ্গে কোণঠাসা হয়ে যায় শুভ ইচ্ছে নিয়ে রাজনীতিতে আসা ছাত্ররা। ভবিষ্যত সুস্থ রাজনীতি যাদের প্রতীায় থাকে। বিষয়টি আমাদের রাজনীতিতে এতটাই জটিলভাবে জড়িয়ে গেছে যে সিস্টেমের মূলোচ্ছেদ করা ছাড়া এ থেকে রেহাই নেই। এই বাসত্মব অভিজ্ঞতার আলোকেই আমি বারবার প্রচলিত ধারার ছাত্র রাজনীতির অবসান প্রত্যাশা করছি।
No comments