নারী নির্যাতনমুক্ত দেশ চাই by মোহাম্মদ নজরুল হাসান ছোটন
প্রতিদিন প্রায় ৬ থেকে ৮টি পত্রিকা পড়ার সুযোগ পাই। মনে হয়, এমন একটি দিন বাদ নেই যেদিন নারী নির্যাতনের অন্তত একটি খবর পত্রিকায় আসে না। নারী নির্যাতনের ধরনগুলো হচ্ছে_ দারিদ্র্যের কারণে পারিবারিক নির্যাতন, নারী লিপ্সাকারীদের নারী ধর্ষণ, যৌতুকলোভীদের যৌতুকের জন্য নারী নির্যাতন, প্রেমে ব্যর্থ হয়ে নারীকে জখম বা এসিড নিক্ষেপ এবং দালালের খপ্পরে পড়ে নারী পাচার।
প্রতিদিনের নারী নির্যাতনের খবরগুলো মনে রাখা সম্ভব নয়। তবে সেগুলো থেকে কিছুটা মনে করে তুলে ধরছি_ ১. গোপালপুর উপজেলার ধোলাইকান্দি ইউনিয়নের পঞ্চাশ গ্রামে যৌতুকলোভী স্বামী আরিফ তার স্ত্রী রাজিয়াকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে; ২. নারায়ণগঞ্জে গৃহবধূ সান্ত্বনাকে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে পাষণ্ড স্বামী আশরাফুল ও তার প্রথম স্ত্রী।
নারী নির্যাতনের মামলা চট্টগ্রামে গত বছরের রেকর্ড ছাড়িয়েছে। চট্টগ্রাম জেলা জজ আদালতের অধীন শিশু ও নারী নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১, ২, ৩-এর রেকর্ড অনুযায়ী ২০১২ সালের জানুয়ারি থেকে ১০ অক্টোবর ১০ মাসে ৪ হাজার ৪৬০ জন নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছে। কিন্তু আদালতে রেকর্ড হওয়া মামলার চেয়ে প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি। বেশিরভাগ নারী লোকলজ্জার ভয়ে পুলিশের কাছে ও আদালতে আসে না। ফলে অনেক নির্যাতনের ঘটনা চাপা পড়ে যায়। চট্টগ্রামের মতো অন্য জেলাগুলোতেও একই অবস্থা বিরাজ করছে।
নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে নারী নির্যাতনের হার। এখনই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। এর জন্য প্রয়োজন পারিবারিক কাউন্সেলিং।
য়চট্টগ্রাম
নারী নির্যাতনের মামলা চট্টগ্রামে গত বছরের রেকর্ড ছাড়িয়েছে। চট্টগ্রাম জেলা জজ আদালতের অধীন শিশু ও নারী নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১, ২, ৩-এর রেকর্ড অনুযায়ী ২০১২ সালের জানুয়ারি থেকে ১০ অক্টোবর ১০ মাসে ৪ হাজার ৪৬০ জন নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছে। কিন্তু আদালতে রেকর্ড হওয়া মামলার চেয়ে প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি। বেশিরভাগ নারী লোকলজ্জার ভয়ে পুলিশের কাছে ও আদালতে আসে না। ফলে অনেক নির্যাতনের ঘটনা চাপা পড়ে যায়। চট্টগ্রামের মতো অন্য জেলাগুলোতেও একই অবস্থা বিরাজ করছে।
নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে নারী নির্যাতনের হার। এখনই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। এর জন্য প্রয়োজন পারিবারিক কাউন্সেলিং।
য়চট্টগ্রাম
No comments