তুরস্কের প্রেসিডেন্ট গুলকে ডক্টরেট ডিগ্রী প্রদান
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ড. আব্দুল্লাহ গুলকে সম্মান সূচক ডক্টর অব ল'জ ডিগ্রী প্রদান করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বিশেষ সমাবর্তনের মাধ্যমে সফররত তুরস্কের প্রেসিডেন্টকে শনিবার এ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের হাতে বিশেষ এ সম্মাননা তুলে দেন। এ সময় তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সহধর্মিণী খায়রম্নন্নেসা গুল, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক উপস্থিত ছিলেন।সম্মাননা প্রদান করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তুরষ্কের প্রেসিডেন্ট ড. গুল বলেন, বাংলাদেশ ও তুরস্ক দু'দেশের মধ্যে সম্পূর্ণ আস্থার সম্পর্ক বিদ্যমান। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও গত বছর আমাদের দু'দেশের মধ্যে দ্বিপাকি বাণিজ্য ছিল ৬ শ' মিলিয়ন ডলারের। আমরা অদূর ভবিষ্যতে এ বাণিজ্য ১ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে চাই। শীঘ্র টার্কিস ইয়ারলাইন্স ইসত্মাম্বুল-ঢাকা নিয়মিত ফাইট চালু করা হবে বলে তিনি জানান। এর মাধ্যমে দু'দেশের ব্যবসা বাণিজ্য ও পর্যটন খাতের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতি মোঃ জিলস্নুর রহমান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেবল আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক কর্মকা-ের প্রাণকেন্দ্র নয়, বরং বিশ্বের গুণীজনদের পদচারণার কেন্দ্রও বটে। জাতির ক্রানত্মি লগ্নে এ বিশ্ববিদ্যালয় যে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করে এসেছে, আগামীতেও তা অব্যাহত রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আমরা যদি শানত্মি শৃঙ্খলা স্থাপন ও রায় সচেষ্ট হই, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে উঠি, তবেই গণতন্ত্র বিকশিত হবে ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ভিশন ২০২১ বাসত্মবায়নে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বিশেষ কোন ব্যক্তিকে উপল করেই আয়োজন করা হয় বিশেষ সমাবর্তন। তুরস্কের রাষ্ট্রপতি আব্দুলস্নাহ গুল আমাদের সম্মাননা গ্রহণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছেন।
বেলা চারটার দিকে শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরম্ন হয় বিশেষ সমাবর্তনের আনুষ্ঠানিকতা। নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বাংলাদেশ ও তুরস্কের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরম্ন হয় বিশেষ সমাবর্তনের মূল কার্যক্রম। দু'দেশের ভাষায় পরিবেশিত হয় একটি নজরম্নল সঙ্গীত। বিশেষ এ সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট, সিন্ডিকেট সদস্যবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোউপাচার্য, কোষাধ্য, বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও বিভিন্ন বিভাগের শিক শিার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
No comments