তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতি বিলুপ্তির পৰে মত দিলেন মহাজোট সংসদ সদস্যরা
রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে মহাজোটের সংসদ সদস্যরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার আগামীতে বিলুপ্ত করার পৰে মত ব্যক্ত করেছেন। তাঁরা বলেছেন, আগামীতে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোন প্রয়োজন নেই।
নির্বাচন কমিশনকে আরও স্বাধীন ও শক্তিশালী করলে এই অগণতান্ত্রিক ও অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজন পড়বে না। সংসদে না এসে বাইরে মিথ্যাচারের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রানত্ম করার চক্রানত্ম-ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকায় তাঁরা বিরোধী দলেরও কঠোর সমালোচনা করেন।বিরোধী দলবিহীন সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্ব, জনগুরম্নত্বসম্পন্ন নোটিস এবং আইন প্রণয়ন কার্যাবলীর নিষ্পত্তির পর প্যানেল চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সাধারণ আলোচনা শুরম্ন হয়। আলোচনা করেন সরকারী দলের একেএম রহমতউলস্নাহ, অধ্যৰ মতিউর রহমান, জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, সামশুল হক চৌধুরী, আবু তালহা, নাজমিন আহমেদ সুলতানা, জাতীয় পার্টির ড. টিআইএম ফজলে রাবি্ব চৌধুরী ও এ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা।
আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও প্রবীণ সংসদ সদস্য ড. টিআইএম ফজলে রাব্বী রংপুরকে বিভাগ ঘোষণায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সুষম উন্নয়নে দেশকে কয়েকটি প্রদেশে ভাগ করতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের দাবি জানিয়ে বলেন, এই ব্যবস্থা রাখার কোন প্রয়োজন নেই। ভারত সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী কোথায় দেশ বিক্রি করলেন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, দেশের জনগণ আর বোকা নেই, সবাই সচেতন। মিথ্যা বলে আর দেশবাসীকে বোকা বানানো যাবে না। সমালোচনার নামে জনগণ যাতে জ্বলে-পুড়ে ছারখার হয়ে না যায়, রাজনীতি যাতে রাজপথে না যায়- সে ব্যাপারে প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে বিরোধী দলের। অযথা সংসদে না এসে রাজপথ উত্তপ্ত করার চেষ্টা জনগণ সাড়া দেবে না।
আওয়ামী লীগের এ কে এম রহমতউলস্নাহ বলেন, বিরোধী দল শুধু বিরোধিতার স্বার্থে বিরোধিতা করছে। বর্তমান সরকারকে ব্যর্থ করতে নানা ষড়যন্ত্র-চক্রানত্ম করছে। নির্বাচনে পরাজিত হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। বিএনপি-জামায়াত জোট চায় না বর্তমান সরকার দেশ পরিচালনায় সফল হোক। দেশের ভাগ্য বদলে দিক। তিনি বলেন, ঢাকার বাইরে একটি গার্মেন্টস পলস্নী নির্মাণ করে সেখানে সকল গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠান স্থানানত্মরিত করা হলে রাজধানীর যানজট ২৫ ভাগ কমে যাবে।
অধ্যৰ মতিউর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর পাঁচ খুনী কুলাঙ্গারের ফাঁসি কার্যকরের মাধ্যমে জাতি আংশিক কলঙ্কমুক্ত হয়েছে। পলাতক খুনীদের দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর হলেই জাতি পুরোপুরিভাবে অভিশাপমুক্ত হবে।
No comments