সম্পাদকীয়
দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে বাংলা সাহিত্যকে যিনি মাতিয়ে রেখেছিলেন, 'কালের কণ্ঠ' যাঁকে সাহিত্যের রাজপুত্র আখ্যা দিয়েছে, সবার প্রিয় হুমায়ূন আহমেদ আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। তাঁর চলে যাওয়া এক কিংবদন্তির চলে যাওয়া, তাঁর চলে যাওয়া বাংলা সাহিত্যের দরিদ্র হয়ে যাওয়া, তাঁর চলে যাওয়া আমাদের পত্রপত্রিকা ও প্রকাশনা জগতের অনেকখানি
নিঃস্ব হয়ে যাওয়া। তাঁর চলে যাওয়া টিভি নাটক ও সিনেমা জগতের বিশাল ক্ষতি। এই ক্ষতি পূরণ হওয়ার নয়।
কালের কণ্ঠের শুরু থেকে হুমায়ূন আহমেদ আমাদের সঙ্গে ছিলেন। প্রথম সংখ্যার প্রথম পৃষ্ঠায় অত্যন্ত মর্যাদা দিয়ে দুজন মানুষের লেখা ছেপেছিলাম আমরা, হুমায়ূন আহমেদ এবং নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মাত্র দু-আড়াই বছরে তিনটি ধারাবাহিক লেখা কালের কণ্ঠে তিনি লিখেছেন। পুফি, ফাউনটেনপেন, রং পেন্সিল। প্রথম ঈদ সংখ্যায় লিখেছিলেন ম্যাজিক উপন্যাস 'ম্যাজিক মুনশি', দ্বিতীয় ঈদ সংখ্যায় ভ্রমণ উপন্যাস 'পায়ের তলায় খড়ম'। কী অসাধারণ লেখা! এবারই প্রথম তাঁর নতুন গল্প-উপন্যাস ছাড়া বাংলাদেশের ঈদ সংখ্যাগুলো প্রকাশিত হচ্ছে। এই বেদনায় আমাদের মতো আক্রান্ত হবেন পাঠকরাও, ঈদ সংখ্যা হাতে নিয়ে চোখের জলে ভাসবেন অনেকে।
কালের কণ্ঠের এবারের ঈদ সংখ্যা একেবারেই ভিন্ন আঙ্গিকের। বাংলা সাহিত্যের বাছাই করা পঁচাত্তরটি গল্প নিয়ে সাজানো হয়েছে ঈদ সংখ্যা। রবীন্দ্রনাথ থেকে শুরু করে পশ্চিমবাংলা এবং বাংলাদেশের পঁচাত্তরজন লেখকের শ্রেষ্ঠ গল্পটি নিয়ে বাংলা ছোটগল্পের একটি মালা গাঁথার চেষ্টা করেছি আমরা। মালাটি পুরোপুরি সম্পূর্ণ হয়েছে এমন দাবি করব না। এই সব গল্পের বাইরেও রয়ে গেছে বহু স্মরণীয় গল্প। দুই মলাটের অভ্যন্তরে সব গল্প একত্র করতে পারলে ভালো হতো। তার পরও যে পঁচাত্তরটি গল্প আমরা ছেপেছি, গল্পগুলো পড়ে পাঠক তৃপ্ত হবেন।
বহু অবিস্মরণীয় এবং আন্তর্জাতিক মানের গল্প লেখা হয়েছে বাংলা ভাষায়। রবীন্দ্রনাথ একাই লিখেছেন অনেক গল্প। তাঁর পরবর্তীকালের লেখকরাও পিছিয়ে থাকেননি। একেক লেখক একেক স্বাদের গল্প উপহার দিয়েছেন বাঙালি পাঠককে। বাংলা ছোটগল্পের দিকে তাকালে তাই বিস্মিত হতে হয়।
আবার হুমায়ূন আহমেদ প্রসঙ্গে ফিরি। যাঁরা তাঁর ছোটগল্পগুলো পড়েছেন, তাঁরা জানেন কী অসাধারণ সব গল্প তিনি লিখেছেন। হুমায়ূন আহমেদের গল্প পড়ে রমাপদ চৌধুরী বলেছিলেন, 'হুমায়ূনের বহু গল্প আন্তর্জাতিক মানের।' এই মহান লেখকের অবিস্মরণীয় গল্প 'চোখ' ঈদ সংখ্যায় আমরা ছেপেছি। আর কালের কণ্ঠের ঈদ সংখ্যা উৎসর্গ করা হলো সাহিত্যের রাজপুত্র হুমায়ূন আহমেদকে।
যাঁরা প্রয়াত হয়েছেন সেই সব লেখকের উদ্দেশে যেমন শ্রদ্ধা আমাদের, ঠিক তেমন শ্রদ্ধা যাঁদের কলম এখনো সচল তাঁদের উদ্দেশেও।
ঈদ সংখ্যায় যাঁরা বিজ্ঞাপন দিয়েছেন তাঁদের কৃতজ্ঞতা জানাই। কৃতজ্ঞতা জানাই আমাদের পত্রিকা যাঁরা পাঠকের হাতে পেঁৗছে দেন সেই হকার বন্ধুদেরও। আর পাঠক শুভানুধ্যায়ী, আপনারাও আমাদের কৃতজ্ঞতা গ্রহণ করুন। কালের কণ্ঠের প্রতি সবার ভালোবাসা অক্ষুণ্ন থাকবে এই আশা করি।
ঈদের শুভেচ্ছা।
ইমদাদুল হক মিলন
সম্পাদক
কালের কণ্ঠের শুরু থেকে হুমায়ূন আহমেদ আমাদের সঙ্গে ছিলেন। প্রথম সংখ্যার প্রথম পৃষ্ঠায় অত্যন্ত মর্যাদা দিয়ে দুজন মানুষের লেখা ছেপেছিলাম আমরা, হুমায়ূন আহমেদ এবং নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মাত্র দু-আড়াই বছরে তিনটি ধারাবাহিক লেখা কালের কণ্ঠে তিনি লিখেছেন। পুফি, ফাউনটেনপেন, রং পেন্সিল। প্রথম ঈদ সংখ্যায় লিখেছিলেন ম্যাজিক উপন্যাস 'ম্যাজিক মুনশি', দ্বিতীয় ঈদ সংখ্যায় ভ্রমণ উপন্যাস 'পায়ের তলায় খড়ম'। কী অসাধারণ লেখা! এবারই প্রথম তাঁর নতুন গল্প-উপন্যাস ছাড়া বাংলাদেশের ঈদ সংখ্যাগুলো প্রকাশিত হচ্ছে। এই বেদনায় আমাদের মতো আক্রান্ত হবেন পাঠকরাও, ঈদ সংখ্যা হাতে নিয়ে চোখের জলে ভাসবেন অনেকে।
কালের কণ্ঠের এবারের ঈদ সংখ্যা একেবারেই ভিন্ন আঙ্গিকের। বাংলা সাহিত্যের বাছাই করা পঁচাত্তরটি গল্প নিয়ে সাজানো হয়েছে ঈদ সংখ্যা। রবীন্দ্রনাথ থেকে শুরু করে পশ্চিমবাংলা এবং বাংলাদেশের পঁচাত্তরজন লেখকের শ্রেষ্ঠ গল্পটি নিয়ে বাংলা ছোটগল্পের একটি মালা গাঁথার চেষ্টা করেছি আমরা। মালাটি পুরোপুরি সম্পূর্ণ হয়েছে এমন দাবি করব না। এই সব গল্পের বাইরেও রয়ে গেছে বহু স্মরণীয় গল্প। দুই মলাটের অভ্যন্তরে সব গল্প একত্র করতে পারলে ভালো হতো। তার পরও যে পঁচাত্তরটি গল্প আমরা ছেপেছি, গল্পগুলো পড়ে পাঠক তৃপ্ত হবেন।
বহু অবিস্মরণীয় এবং আন্তর্জাতিক মানের গল্প লেখা হয়েছে বাংলা ভাষায়। রবীন্দ্রনাথ একাই লিখেছেন অনেক গল্প। তাঁর পরবর্তীকালের লেখকরাও পিছিয়ে থাকেননি। একেক লেখক একেক স্বাদের গল্প উপহার দিয়েছেন বাঙালি পাঠককে। বাংলা ছোটগল্পের দিকে তাকালে তাই বিস্মিত হতে হয়।
আবার হুমায়ূন আহমেদ প্রসঙ্গে ফিরি। যাঁরা তাঁর ছোটগল্পগুলো পড়েছেন, তাঁরা জানেন কী অসাধারণ সব গল্প তিনি লিখেছেন। হুমায়ূন আহমেদের গল্প পড়ে রমাপদ চৌধুরী বলেছিলেন, 'হুমায়ূনের বহু গল্প আন্তর্জাতিক মানের।' এই মহান লেখকের অবিস্মরণীয় গল্প 'চোখ' ঈদ সংখ্যায় আমরা ছেপেছি। আর কালের কণ্ঠের ঈদ সংখ্যা উৎসর্গ করা হলো সাহিত্যের রাজপুত্র হুমায়ূন আহমেদকে।
যাঁরা প্রয়াত হয়েছেন সেই সব লেখকের উদ্দেশে যেমন শ্রদ্ধা আমাদের, ঠিক তেমন শ্রদ্ধা যাঁদের কলম এখনো সচল তাঁদের উদ্দেশেও।
ঈদ সংখ্যায় যাঁরা বিজ্ঞাপন দিয়েছেন তাঁদের কৃতজ্ঞতা জানাই। কৃতজ্ঞতা জানাই আমাদের পত্রিকা যাঁরা পাঠকের হাতে পেঁৗছে দেন সেই হকার বন্ধুদেরও। আর পাঠক শুভানুধ্যায়ী, আপনারাও আমাদের কৃতজ্ঞতা গ্রহণ করুন। কালের কণ্ঠের প্রতি সবার ভালোবাসা অক্ষুণ্ন থাকবে এই আশা করি।
ঈদের শুভেচ্ছা।
ইমদাদুল হক মিলন
সম্পাদক
No comments