জেনারেল জিয়া ছিলেন অবৈধ স্বৈরশাসক জলিল- রাষ্ট্রপতির ভাষণ আলোচনা
সংসদ রিপোর্টার রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে মহাজোট নেতারা অবিকৃত অবস্থায় '৭২-এর সংবিধান ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন। বলেছেন, সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বাতিলের উচ্চ আদালতের রায়ে প্রমাণিত হয়েছে জেনারেল জিয়া ছিলেন অবৈধ স্বৈরশাসক।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ায় দেশ কলঙ্কমুক্ত হয়েছে। এখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদের রক্তঋণ শোধ করতে হবে। আলোচনায় অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল বলেন, বিগত রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের ইতিহাসে কলঙ্কজনক ইতিহাস রচনা করে গেছেন, গণতন্ত্র ধ্বংসের জন্য গোটা জাতি তাঁকে ধিক্কার জানায়। আজ এমন একজন রাষ্ট্রপতি, যার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনই ছিল জনগণের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। বিরোধী দলের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'সাহস থাকলে শেখ সেলিমের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করম্নন, প্রমাণ করম্নন সেখানে জিয়ার লাশ আছে? ওই কবরে আসলে কী আছে তা জনগণকে জানতে দিন। তিনি শেখ সেলিমের বক্তব্য সমর্থন করে বলেন, কথিত মাজার বা কবরের নামে জাতিকে বিভক্ত করার প্রচেষ্টা জনগণ মেনে নেবে না।বিরোধী দলকে প্রশ্ন রেখে তিনি আরও বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে কোন্্ ৰেত্রে ব্যর্থ? আপনাদের নৈতিক দায়িত্ব সংসদে আসা। সংসদে এসে সে বিষয়ে কথা বলুন। বাইরে বসে স্টান্ডবাজি-বিশৃঙ্খলা করে গণতান্ত্রিক অধিকার ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র জনগণ মেনে নেবে না। সত্যকে সত্য স্বীকার করার মানসিকতা নিয়ে বিরোধী দলের রাজনীতি করা উচিত।' তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় কার্যকরের মাধ্যমে বাংলাদেশ কলঙ্কমুক্ত হয়েছে। বাকি পলাতক খুনীদের ফিরিয়ে এনে শাসত্মি দিতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে এমন দুঃসাহস দেখানোর সাহস না পায়। তিনি নওগাঁ জেলায় গ্যাস সরবরাহের দাবি জানিয়ে বলেন, এটি এখন এই জেলার ২৫ লাখ মানুষের প্রাণের দাবি।
ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটবু্যরোর সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা অবিলম্বে অবিকৃত অবস্থায় '৭২-এর সংবিধান ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়ে বলেন, পঞ্চম সংশোধনী বাতিলের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে জেনারেল জিয়া অবৈধ স্বৈরশাসক ছিলেন। সামরিক শাসনও ছিল অবৈধ। ঐতিহাসিক এই রায়ের পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনার '৭২-এর সংবিধানে ফিরে যেতে আর কোন বাধা নেই। ষড়যন্ত্র ও চক্রানত্মের রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করতে এবং ৩০ লাখ শহীদের রক্তঋণ শোধ করতে অবিলম্বে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরম্ন করতে হবে। দীর্ঘদিন যেসব আর্থিক প্রতিষ্ঠান উগ্র সাম্প্রদায়িক মৌলবাদ ও জঙ্গীগোষ্ঠীকে মদদ-সহযোগিতা দিয়েছে তাদের খুঁজে বের করে বিচার করতে হবে।
হুইপ সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি বলেন, দেশ কানের দুল বা সোনার গহনা নয়, যে ইচ্ছে করলেই বিক্রি করা যায়। বিএনপির ভারতবিরোধিতা মানে পাকিসত্মানের পৰে প্রক্সি দেয়া।
স্পীকার এ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ ও প্যানেল চেয়ারম্যান ছায়েদুল হকের সভাপতিত্বে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আরও বক্তব্য রাখেন সরকারী দলের খালেদুর রহমান টিটো, হুইপ সেগুফতা ইয়াসমীন এমিলি, মেহের আফরোজ চুমকি, আসাদুজ্জামান খান কামাল, আব্দুস সাত্তার, শেখ মুজিবুর রহমান, মঞ্জুর কাদের কোরেশী, জিয়াউর রহমান ও তানভীর শাকিল জয়।
No comments