আলটিমেটামের রাজনীতি-জনদুর্ভোগ থেকে মুক্তি দিন
বিএনপির সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা সভাপতি ইলিয়াস আলীর নিখোঁজ হওয়ার প্রতিবাদে তিন দিনের টানা হরতাল কর্মসূচি পালন করল বিএনপি। তিন দিনের টানা হরতাল শেষে বিএনপি চেয়ারপারসন তিন দিনের আলটিমেটাম দিয়েছেন।
তিন দিনের মধ্যে ইলিয়াস আলীকে হাজির করতে সরকার ব্যর্থ হলে আরো কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। বুধবার একটি মানববন্ধনে যোগ দিতে এসে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া জানিয়েছেন, ইলিয়াস আলীকে না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। প্রয়োজনে সারা দেশ অচল করে দেওয়া হবে।
যে বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে সাম্প্রতিক উত্তেজনা ছড়াচ্ছে বা ছড়িয়েছে, সেটা হচ্ছে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলীর নিখোঁজ হয়ে যাওয়া। একটি রাজনৈতিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নিখোঁজ হয়ে যাবেন, কেউ তাঁর কোনো খোঁজ জানবেন না, সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও তাঁর সন্ধান পাওয়া যাবে না- এটা খুবই দুঃখজনক এবং উদ্বেগের। দেশের প্রধান বিরোধী দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নিখোঁজ হয়ে যাওয়া এবং তাঁর সন্ধান না পাওয়া গেলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায় আছে? এমনিতে দেশে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা বেড়ে গেছে। গত দুই বছরে নিখোঁজের তালিকা অনেক দীর্ঘ হয়েছে। নিখোঁজ অনেকের পরিবার থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও অনেক অপহরণের সঙ্গে জড়িত। আবার ব্যক্তিগত শত্রুতা ও রাজনৈতিক কারণেও অপহরণের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বা ঘটে থাকে। তবে এ ব্যাপারে সরকারের একটি সুনির্দিষ্ট অবস্থান থাকতে হবে। সরকার ও রাজনৈতিক দলকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। সরকারের শীর্ষ মহল থেকে আলটপকা উসকানিমূলক কথাবার্তা যেমন জনমনে নানা প্রশ্নের জন্ম দেয়, তেমনি বিরোধী দলের দায়িত্বজ্ঞানহীন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে। সরকার ও বিরোধী দলের এই দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণে ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ। মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাপনে প্রভাব ফেলে অস্বস্তিকর রাজনৈতিক কর্মসূচি। বিরোধী দল হরতালের ডাক দিলেও হরতালের সময় কাউকে পথে দেখা যায় না। অন্যদিকে সরকারি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের দায়িত্বজ্ঞানহীন উক্তি রাজনীতিতে অযথা উত্তাপ ছড়ায়। বিশেষ করে হরতাল জাতীয় কর্মসূচিতে মানুষের জানমালের নিরাপত্তাটাই প্রধান হয়ে দাঁড়ায়। কাজের খোঁজে মানুষকে রাস্তায় নামতেই হয়। কিন্তু সেখানে জীবনের কোনো নিরাপত্তা থাকে না। বিএনপির ডাকে পালিত গত তিন দিনের হরতালের প্রথম দিনের আগে গত শনিবার রাজধানীতে বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। আগুনে পুড়ে এক বাসচালকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে ছিলেন। ইলিয়াস আলী যতটা তাঁর পরিবারের কাছে মূল্যবান, এই বাস ড্রাইভারও তাঁর পরিবারের কাছে ততটাই মূল্যবান। ইলিয়াস আলী ও তাঁর পরিবারের পাশে একটি দল আছে, রাজনৈতিক সহকর্মীরা আছেন। কিন্তু ওই বাস ড্রাইভারের অসহায় পরিবারটির পাশে কে আছে? ওই বাস ড্রাইভারের কী অপরাধ ছিল? তিনি তো হরতালের সময়ও গাড়ি চালাতে যাননি। এই হত্যার দায় কে নেবে? এ দেশের দায়িত্বহীন রাজনীতির বলি হলো একটি পরিবার? এমন অনেক পরিবারই দায়িত্বহীন রাজনীতির অসহায় শিকার। তাতে রাজনৈতিক দলগুলোর কিছু এসে যায় বলে মনে হয় না। রাজনৈতিক সহিংসতার কাছে পরাজিত হয় নৈতিকতাবোধ।
প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণার সময় এমন অনেক ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। ২৯ এপ্রিল আরো কঠোর কর্মসূচির কথা বলেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। গত রবি, সোম ও মঙ্গলবার তিন দিনের হরতাল কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এর মধ্যে দুদিন হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে আগের দিন সন্ধ্যায়। এখন নতুন করে যে কঠোর কর্মসূচির কথা বলা হচ্ছে, সেটা কেমন হতে পারে, এই ভেবে সাধারণ মানুষ কিন্তু আতঙ্কিত।
রাজনৈতিক দল যখন আছে, রাজনৈতিক কর্মসূচিও থাকবে। কর্মসূচির ব্যাপারে কারো আপত্তি নেই। কিন্তু কর্মসূচি যেন জনদুর্ভোগের কারণ হয়ে না দাঁড়ায় সেদিকে দৃষ্টি দিন। অন্তত জনগণের প্রতি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিন। দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের কথাটা ভাবুন। জনদুর্ভোগের কারণ হয়- এমন কোনো কর্মসূচি দেওয়া থেকে অনুগ্রহ করে বিরত থাকুন।
যে বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে সাম্প্রতিক উত্তেজনা ছড়াচ্ছে বা ছড়িয়েছে, সেটা হচ্ছে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলীর নিখোঁজ হয়ে যাওয়া। একটি রাজনৈতিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নিখোঁজ হয়ে যাবেন, কেউ তাঁর কোনো খোঁজ জানবেন না, সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও তাঁর সন্ধান পাওয়া যাবে না- এটা খুবই দুঃখজনক এবং উদ্বেগের। দেশের প্রধান বিরোধী দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নিখোঁজ হয়ে যাওয়া এবং তাঁর সন্ধান না পাওয়া গেলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায় আছে? এমনিতে দেশে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা বেড়ে গেছে। গত দুই বছরে নিখোঁজের তালিকা অনেক দীর্ঘ হয়েছে। নিখোঁজ অনেকের পরিবার থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও অনেক অপহরণের সঙ্গে জড়িত। আবার ব্যক্তিগত শত্রুতা ও রাজনৈতিক কারণেও অপহরণের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বা ঘটে থাকে। তবে এ ব্যাপারে সরকারের একটি সুনির্দিষ্ট অবস্থান থাকতে হবে। সরকার ও রাজনৈতিক দলকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। সরকারের শীর্ষ মহল থেকে আলটপকা উসকানিমূলক কথাবার্তা যেমন জনমনে নানা প্রশ্নের জন্ম দেয়, তেমনি বিরোধী দলের দায়িত্বজ্ঞানহীন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে। সরকার ও বিরোধী দলের এই দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণে ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ। মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাপনে প্রভাব ফেলে অস্বস্তিকর রাজনৈতিক কর্মসূচি। বিরোধী দল হরতালের ডাক দিলেও হরতালের সময় কাউকে পথে দেখা যায় না। অন্যদিকে সরকারি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের দায়িত্বজ্ঞানহীন উক্তি রাজনীতিতে অযথা উত্তাপ ছড়ায়। বিশেষ করে হরতাল জাতীয় কর্মসূচিতে মানুষের জানমালের নিরাপত্তাটাই প্রধান হয়ে দাঁড়ায়। কাজের খোঁজে মানুষকে রাস্তায় নামতেই হয়। কিন্তু সেখানে জীবনের কোনো নিরাপত্তা থাকে না। বিএনপির ডাকে পালিত গত তিন দিনের হরতালের প্রথম দিনের আগে গত শনিবার রাজধানীতে বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। আগুনে পুড়ে এক বাসচালকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে ছিলেন। ইলিয়াস আলী যতটা তাঁর পরিবারের কাছে মূল্যবান, এই বাস ড্রাইভারও তাঁর পরিবারের কাছে ততটাই মূল্যবান। ইলিয়াস আলী ও তাঁর পরিবারের পাশে একটি দল আছে, রাজনৈতিক সহকর্মীরা আছেন। কিন্তু ওই বাস ড্রাইভারের অসহায় পরিবারটির পাশে কে আছে? ওই বাস ড্রাইভারের কী অপরাধ ছিল? তিনি তো হরতালের সময়ও গাড়ি চালাতে যাননি। এই হত্যার দায় কে নেবে? এ দেশের দায়িত্বহীন রাজনীতির বলি হলো একটি পরিবার? এমন অনেক পরিবারই দায়িত্বহীন রাজনীতির অসহায় শিকার। তাতে রাজনৈতিক দলগুলোর কিছু এসে যায় বলে মনে হয় না। রাজনৈতিক সহিংসতার কাছে পরাজিত হয় নৈতিকতাবোধ।
প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণার সময় এমন অনেক ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। ২৯ এপ্রিল আরো কঠোর কর্মসূচির কথা বলেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। গত রবি, সোম ও মঙ্গলবার তিন দিনের হরতাল কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এর মধ্যে দুদিন হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে আগের দিন সন্ধ্যায়। এখন নতুন করে যে কঠোর কর্মসূচির কথা বলা হচ্ছে, সেটা কেমন হতে পারে, এই ভেবে সাধারণ মানুষ কিন্তু আতঙ্কিত।
রাজনৈতিক দল যখন আছে, রাজনৈতিক কর্মসূচিও থাকবে। কর্মসূচির ব্যাপারে কারো আপত্তি নেই। কিন্তু কর্মসূচি যেন জনদুর্ভোগের কারণ হয়ে না দাঁড়ায় সেদিকে দৃষ্টি দিন। অন্তত জনগণের প্রতি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিন। দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের কথাটা ভাবুন। জনদুর্ভোগের কারণ হয়- এমন কোনো কর্মসূচি দেওয়া থেকে অনুগ্রহ করে বিরত থাকুন।
No comments