ধর্ষণবিরোধী আইন-বার্মা কমিশনের কাছে ৬০ হাজার সুপারিশ
ভারতে ধর্ষণবিরোধী কঠোর আইন প্রণয়নে গঠিত বার্মা কমিশন বিষয়টি নিয়ে জনগণের কাছ থেকে প্রায় ৬০ হাজার সুপারিশ পেয়েছে। বেশির ভাগ সুপারিশেই ধর্ষণকারীর মৃত্যুদণ্ডের দাবি করা হয়।
এসব সুপারিশের সঙ্গে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য আইনগত কাঠামোর সমন্বয় করতে কাজ করে যাচ্ছে কমিশন। সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি জে এস বার্মার নেতৃত্বে হাইকোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি লায়লা শেঠ ও সাবেক সলিসিটর জেনারেল গোপাল সুব্রামানিয়ামের সমন্বয়ে গঠিত কমিশন ২৬ ডিসেম্বর থেকে কাজ শুরু করে। গত ১৬ ডিসেম্বর রাজধানী নয়াদিল্লিতে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের ঘটনার পর যে গণবিক্ষোভ শুরু হয়, এরই পরিপ্রেক্ষিতে গঠন করা হয় এ কমিশন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, কমিশন তাদের প্রতিবেদনে জনমতের প্রতিফলন ঘটাবে তবে তাদের দাবি পুরোপুরি মানা হবে এমন নয়। কমিটির এক কর্মকর্তা বলেছেন, 'বর্তমান ফৌজদারি আইন নারীদের সুরক্ষা এবং দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে সক্ষম নয়_এমন মনোভাব দূর করতে জনমতের গ্রহণযোগ্য অংশের প্রতিফলন নতুন আইনে দেখা যাবে।' সাধারণ নাগরিকদের কাছ থেকে আসা সুপারিশে ধর্ষণের অভিযুক্তদের জনগণের সামনে অসম্মানিত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নির্যাতিত নারীকে একবারের বেশি সাক্ষ্য দিতে না ডাকা, বিচার তিন মাসের বেশি দীর্ঘায়িত না করা, ধর্ষণ ছাড়াও যৌন হয়রানি, উত্ত্যক্ত করা এবং কটূক্তির মতো বিষয়গুলোও বিচারের আওতায় আনা এবং এ জন্য সাত থেকে ১০ বছর কারাদণ্ডের বিধান রাখার সুপারিশ এসেছে জনগণের পক্ষ থেকে। ২৩ জানুয়ারি এ কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা।
'ও আমার মেয়েকে বাঁচাতে পারত' : দিল্লিতে গণধর্ষণের শিকার তরুণীর বাবা বলেছেন, ঘটনার রাতে তাঁর মেয়ের সঙ্গে থাকা বন্ধু আরেকটু সাহসী হলে হয়তো মেয়েটি বেঁচে যেত। ইন্ডিয়া টুডে-কে তিনি বলেন, 'ছেলেটি যদি সাহায্যের জন্য চিৎকার করত তাহলে হয়তো পুরো দৃশ্যই পাল্টে যেতে পারত। সে জানালা খোলারও চেষ্টা করতে পারত। আমি শুনেছি, ওকে (ছেলেটিকে) সাহসিকতার জন্য পুরস্কার দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। কিন্তু কী সাহসিকতা দেখিয়েছে ও? সাহস দেখিয়েছে আমার মেয়ে। ওকেই মরণোত্তর পুরস্কার দেওয়া উচিত।' সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।
'ও আমার মেয়েকে বাঁচাতে পারত' : দিল্লিতে গণধর্ষণের শিকার তরুণীর বাবা বলেছেন, ঘটনার রাতে তাঁর মেয়ের সঙ্গে থাকা বন্ধু আরেকটু সাহসী হলে হয়তো মেয়েটি বেঁচে যেত। ইন্ডিয়া টুডে-কে তিনি বলেন, 'ছেলেটি যদি সাহায্যের জন্য চিৎকার করত তাহলে হয়তো পুরো দৃশ্যই পাল্টে যেতে পারত। সে জানালা খোলারও চেষ্টা করতে পারত। আমি শুনেছি, ওকে (ছেলেটিকে) সাহসিকতার জন্য পুরস্কার দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। কিন্তু কী সাহসিকতা দেখিয়েছে ও? সাহস দেখিয়েছে আমার মেয়ে। ওকেই মরণোত্তর পুরস্কার দেওয়া উচিত।' সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।
No comments