মাজিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মূল্যবোধও ভেঙে পড়ছে by মোহাম্মদ ইমদাদুল হক
সাসামাজিক অস্থিরতা চলছে এখন। আমরা নিত্য টেনশনে থাকি। ব্যক্তিগত জীবনের এই উদ্বেগ আমাদের সমাজজীবনকেও প্রভাবিত করে। কারণ ব্যক্তি থেকে সমাজের সৃষ্টি। অন্যদিকে দেখুন আমাদের পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধও কমে গেছে। সন্মান করতেও কুণ্ঠা বোধ করি।
সব দিক বিবেচনা করলে দেখবেন, আমরা এখন বেশ বড় সংকটের মধ্যে দিনাতিপাত করছি। এই যে সংকট, তাও কিন্তু ব্যক্তি থেকে সমাজে বিস্তৃত হচ্ছে। মূল্যবোধগুলো কেমন ভেঙে গেছে। এক ধরনের অস্বাভাবিক গতি যেন পেয়ে বসেছে সবাইকে। এগিয়ে যাওয়ার গতি। দ্রুত নগরায়ণ হচ্ছে। তার কারণেও মূল্যবোধ ভেঙে যেতে দেখা যায়। পুরনোকে ভেঙে এই যে নতুনের সৃষ্টি, সেখানে কিন্তু নতুন মূল্যবোধ জন্ম নিতে পারছে না। পশ্চিমা দুনিয়ার আদলে আমাদের নগরায়ণের ধারা তৈরি হচ্ছে ঠিকই কিন্তু ওরা যেমন ভালোটাকে আঁকড়ে ধরে রাখে, আমরা তা পারছি না। তারা বদলে যাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু পুরনো গুণাবলি তারা বাদ দিচ্ছে না। আমাদের ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম হতে দেখা যায়।
আমরা ধর্মকর্ম করি। আবার চারদিকেই ভেজালেরও ছড়াছড়ি দেখি। ধর্মীয় মূল্যবোধও আমাদের এখানে সেভাবে নেই। পশ্চিমারা ধর্ম নিয়ে তেমন মাতামাতি করে না। কিন্তু তাদের কতজন ভেজালের সঙ্গে বসবাস করে? আমরা কিন্তু পরিবর্তনটাকে সুপরিবর্তনে পরিণত করতে পারিনি। তারা পারছে। আমাদের এই না পারাটা আমাদের ব্যর্থতা।
আমাদের অবস্থা কী? চারদিকে আস্থাহীনতা আঁকড়ে ধরে রেখেছে। আমরা বন্ধুর প্রতিও আস্থা রাখতে পারছি না। নিজের সন্তান কোথায় যাচ্ছে, কী করছে- সেই খবরও রাখছি না। কিংবা পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে খবরও রাখতে পারছি না। আগে আমাদের এখানে যৌথ পরিবার ছিল। আমাদের পরিবারে দাদা-দাদি, চাচা-চাচির উপস্থিতি ছিল। শিশুরা কোথায় যাচ্ছে, তার খবর মা-বাবা না রাখতে পারলে পরিবারের অন্য সদস্যরা ঠিকই রাখত। সেখানে পারস্পরিক সম্পর্ক ছিল দৃঢ়। সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেওয়ার পরিবেশ ছিল। সামাজিক ও পারিবারিক কাঠামোর মধ্যে মিল খুঁজে পাওয়া যেত। সেই অবস্থা এখন নেই।
পঞ্চাশের দশকের ঢাকার কথা ভাবুন। একটি মহল্লার অধিবাসীদের মধ্যে পারস্পরিক জানাশোনা ছিল। একে অন্যকে চিনত। সামাজিক বন্ধন ছিল তখন। ছেলেমেয়েরা বাইরে গেলে পরিবারের অন্যরা কিন্তু একা হয়ে যেত না। এখন কী হচ্ছে? ছেলে কিংবা মেয়ে ঘরের বাইরে গেল; সুতরাং মা-বাবা ঘরে নিঃসঙ্গ হয়ে গেলেন। আমাদের সমাজে এখন ক্রান্তিকাল চলছে। আমাদের সমাজ পরিবর্তন হয়েছে। পুঁজিবাদী সমাজে পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু এই পরিবর্তন যথাযোগ্যভাবে বিকাশ লাভ করেনি। ফলে আমরা 'না ঘরকা-না ঘাটকা' অবস্থায় আছি।
এমন একটা পরিস্থিতিতে সমাজে খুনখারাবি ঘটতে পারে। অস্বাভাবিক ও অমানবিক ঘটনাবলি ঘটছে। এ থেকে উত্তরণে আমাদের আন্তরিক হতে হবে। আমাদেরই ভাবতে হবে।
আমরা ধর্মকর্ম করি। আবার চারদিকেই ভেজালেরও ছড়াছড়ি দেখি। ধর্মীয় মূল্যবোধও আমাদের এখানে সেভাবে নেই। পশ্চিমারা ধর্ম নিয়ে তেমন মাতামাতি করে না। কিন্তু তাদের কতজন ভেজালের সঙ্গে বসবাস করে? আমরা কিন্তু পরিবর্তনটাকে সুপরিবর্তনে পরিণত করতে পারিনি। তারা পারছে। আমাদের এই না পারাটা আমাদের ব্যর্থতা।
আমাদের অবস্থা কী? চারদিকে আস্থাহীনতা আঁকড়ে ধরে রেখেছে। আমরা বন্ধুর প্রতিও আস্থা রাখতে পারছি না। নিজের সন্তান কোথায় যাচ্ছে, কী করছে- সেই খবরও রাখছি না। কিংবা পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে খবরও রাখতে পারছি না। আগে আমাদের এখানে যৌথ পরিবার ছিল। আমাদের পরিবারে দাদা-দাদি, চাচা-চাচির উপস্থিতি ছিল। শিশুরা কোথায় যাচ্ছে, তার খবর মা-বাবা না রাখতে পারলে পরিবারের অন্য সদস্যরা ঠিকই রাখত। সেখানে পারস্পরিক সম্পর্ক ছিল দৃঢ়। সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেওয়ার পরিবেশ ছিল। সামাজিক ও পারিবারিক কাঠামোর মধ্যে মিল খুঁজে পাওয়া যেত। সেই অবস্থা এখন নেই।
পঞ্চাশের দশকের ঢাকার কথা ভাবুন। একটি মহল্লার অধিবাসীদের মধ্যে পারস্পরিক জানাশোনা ছিল। একে অন্যকে চিনত। সামাজিক বন্ধন ছিল তখন। ছেলেমেয়েরা বাইরে গেলে পরিবারের অন্যরা কিন্তু একা হয়ে যেত না। এখন কী হচ্ছে? ছেলে কিংবা মেয়ে ঘরের বাইরে গেল; সুতরাং মা-বাবা ঘরে নিঃসঙ্গ হয়ে গেলেন। আমাদের সমাজে এখন ক্রান্তিকাল চলছে। আমাদের সমাজ পরিবর্তন হয়েছে। পুঁজিবাদী সমাজে পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু এই পরিবর্তন যথাযোগ্যভাবে বিকাশ লাভ করেনি। ফলে আমরা 'না ঘরকা-না ঘাটকা' অবস্থায় আছি।
এমন একটা পরিস্থিতিতে সমাজে খুনখারাবি ঘটতে পারে। অস্বাভাবিক ও অমানবিক ঘটনাবলি ঘটছে। এ থেকে উত্তরণে আমাদের আন্তরিক হতে হবে। আমাদেরই ভাবতে হবে।
No comments