বিদ্যুৎ খাত আবার খাদের কিনারে by অরুণ কর্মকার
বিদ্যুৎ খাত আবার খাদের কিনারে চলে গেছে। ভাড়াভিত্তিক ও দ্রুত ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো চালানো যাচ্ছে না জ্বালানির বিপুল ব্যয় নির্বাহে অক্ষমতার কারণে। এদিকে এসব কেন্দ্রের মেয়াদ শেষে গ্যাস ও কয়লাচালিত যে কেন্দ্রগুলো উৎপাদনে আসার কথা, সেগুলোর একটি ছাড়া বাকিগুলো স্থাপনেও অগ্রগতি নেই।
বিদ্যুৎ খাতের সরকারি-বেসরকারি সূত্রগুলো বলছে, বিদ্যমান কেন্দ্রগুলোতে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে জ্বালানি সমস্যার কারণে। আর ভবিষ্যৎ বড় কেন্দ্রগুলোর বাস্তবায়ন-প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে বিনিয়োগের সংকটে, বিশেষ করে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিয়োগ। এ অবস্থায় বিদ্যুৎ খাতে বর্তমান সরকারের স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা এবং সুশৃঙ্খল নজরদারির মধ্যে তা বাস্তবায়ন করে বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানের কার্যক্রম কাঙ্ক্ষিত ফল দিতে ব্যর্থ হতে চলেছে।
সূত্রগুলো জানায়, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বৈদেশিক বিনিয়োগ আনার জন্য সিঙ্গাপুর, লন্ডন ও নিউইয়র্কে যে ‘রোড শো’ করা হয়, এসব থেকে উল্লেখযোগ্য কোনো ফল পাওয়া যায়নি। এরপর ভারতে একটি ‘রোড শো’তে অংশ নিয়ে সরকার এই খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছে। এতেও বিশেষ ফল না পাওয়া গেলে বিদ্যুৎ খাতের বড় প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন কঠিন হয়ে পড়বে।
গ্যাসভিত্তিক তিন কেন্দ্রের দুটির বাস্তবায়ন অনিশ্চিত: বড় কেন্দ্রগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গ্যাসভিত্তিক ৩৪১ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিবিয়ানা-১, একই ক্ষমতার বিবিয়ানা-২ ও ৩৩৫ মেগাওয়াটের মেঘনাঘাট-২ কেন্দ্র। এর মধ্যে মেঘনাঘাট-২ কেন্দ্রটির কার্যক্রম চলছে। বিশ্বব্যাংকের সহায়তা বন্ধ হওয়ায় বিবিয়ানার কেন্দ্র দুটির বাস্তবায়ন কার্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
এসব কেন্দ্র জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুতের সরবরাহ বাড়াত এবং এগুলো থেকে ২২ বছর অনেক কম দামে (প্রতি ইউনিট আড়াই থেকে তিন টাকা) বিদ্যুৎ পাওয়া যেত।
বিবিয়ানার দুটি কেন্দ্রের জন্য আহূত দরপ্রস্তাবের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই কেন্দ্র দুটি স্থাপনের ক্ষেত্রে আর্থিক ঝুঁকির ব্যাপারে বিশ্বব্যাংকের নিশ্চয়তা (পারসিয়াল রিস্ক গ্যারান্টি) পাওয়া যাবে। কিন্তু সরকার এখনো বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ওই নিশ্চয়তা পত্র আনতে পারেনি। সূত্র জানায়, পদ্মা সেতুর দুর্নীতি নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার সঙ্গে বিশ্বব্যাংক এই বিষয়টিকেও যুক্ত করেছে।
প্রতিযোগিতামূলক দরপ্রস্তাবের মাধ্যমে এই তিন কেন্দ্রেরই কাজ পেয়েছে বিদ্যুৎ খাতে সবচেয়ে বড় দেশীয় কোম্পানি সামিট গ্রুপ। তাদের অংশীদার হিসেবে আছে জি ই যুক্তরাষ্ট্র। এগুলোর বাস্তবায়ন পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা এখনো বিশ্বব্যাংক এবং এডিবির বর্তমান অবস্থান পরিবর্তনের অপেক্ষা করছি। আমরা মনে করি, এই পরিবর্তন হবে। কারণ, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের উন্নয়নে সহায়তা দেওয়ার জন্যই বিশ্বব্যাংক গঠিত হয়েছে।’ তিনি জানান, এর পাশাপাশি অর্থায়নের বিকল্প একাধিক উৎসের সঙ্গেও কথাবার্তা হচ্ছে।
এ অবস্থায় বিবিয়ানার কেন্দ্র দুটি নির্ধারিত সময়ে (২০১৩ সালের মধ্যে) বাস্তবায়নের আশা নেই। অবশ্য মেঘনাঘাট কেন্দ্রটি এই সময়ের মধ্যেই নির্মিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মুহাম্মদ আজিজ খান।
কয়লাভিত্তিক চারটি কেন্দ্রেরও অগ্রগতি কম: কয়লাভিত্তিক চারটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি কেন্দ্র বাংলাদেশ-ভারত (পিডিবি-এনটিপিসি) যৌথ উদ্যোগে হওয়ার কথা বাগেরহাটের রামপালে। যন্ত্রপাতি স্থাপন শুরু হওয়ার পর কেন্দ্রটি চালু হতে সময় লাগবে অন্তত চার বছর। তবে সরকারি সূত্র জানায়, সেই কাজ এ বছর শুরু হচ্ছে না।
এ ছাড়া মোট এক হাজার ৮৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার তিনটি কেন্দ্র স্থাপনে ওরিয়ন গ্রুপের (লংকিং ওরিয়ন যৌথ উদ্যোগ) সঙ্গে সরকার চুক্তি অনুস্বাক্ষর করেছে গত বছরের ২০ ডিসেম্বর। কিন্তু এখনো এর চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, চুক্তি অনুস্বাক্ষরের পর তা আইন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের (ভেটিং) জন্য পাঠানো হয়েছিল। দুই সপ্তাহ আগে আইন মন্ত্রণালয় সেটি বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। আইন মন্ত্রণালয় অনুস্বাক্ষরিত চুক্তির দু-একটি বিষয় পরিবর্তন করতে বলেছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে করপোরেট ট্যাক্স-সংক্রান্ত। পিডিবি এই কেন্দ্রগুলো স্থাপনের জন্য যে দরপ্রস্তাব (আরএফপি) আহ্বান করেছিল তাতে বলা হয়, নির্মাণকারী কোম্পানি বা উদ্যোক্তাকে করপোরেট ট্যাক্স দিতে হবে না। কিন্তু আইন মন্ত্রণালয় তা পরিবর্তন করে করপোরেট ট্যাক্স উদ্যোক্তা কোম্পানিকে দিতে হবে বলে মত দিয়েছে।
এ ছাড়া অনুস্বাক্ষরিত চুক্তিতে কোনো বিষয়ে সালিসির প্রয়োজন হলে তা যুক্তরাজ্যের সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী সিঙ্গাপুর কিংবা লন্ডনের আদালতে নিষ্পত্তি হওয়ার কথা ছিল। আইন মন্ত্রণালয় তা পরিবর্তন করে বাংলাদেশের আইনে ঢাকায় নিষ্পত্তির বিধান করতে বলেছে। কিন্তু এতে উদ্যোক্তা কোম্পানি রাজি নয়।
জানতে চাইলে ওরিয়ন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালমান ওবায়দুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আরএফপিতে যেসব শর্ত পিডিবি দিয়েছিল, আমরা সে অনুযায়ী প্রস্তাব দিয়েছি এবং চুক্তি অনুস্বাক্ষর করেছি। এখন তার কোনো শর্ত পরিবর্তন করলে তা আমাদের পক্ষে মানা সম্ভব হবে না।’ তিনি জানান, অনুস্বাক্ষরিত চুক্তির শর্তে যেকোনো সময় কাজ শুরু করতে তাঁরা প্রস্তুত আছেন।
জানা গেছে, বিষয়টি নিয়ে পিডিবি ও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় আবার কাজ শুরু করেছে। তবে এসব কাজে সময়ক্ষেপণ হওয়ায় এই কেন্দ্রগুলোও যে আগের পরিকল্পিত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন হবে না, তা এখন নিশ্চিত।
এ ছাড়া সরকার মার্চেন্ট বিদ্যুৎকেন্দ্র নামে আরেক ধরনের বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু করেছিল। এতে বেসরকারি খাতের যেকোনো উদ্যোক্তা সরকারের অনুমোদন নিয়ে নিজের জায়গা ও অর্থে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করলে সরকার সেখান থেকে ৩০ শতাংশ বিদ্যুৎ কিনবে। বাকি বিদ্যুৎ উদ্যোক্তা নিজে গ্রাহক খুঁজে বিক্রি করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে ভাড়ার বিনিময়ে সরকারি অবকাঠামো ব্যবহারের সুযোগ উদ্যোক্তাকে দেওয়া হবে। কিন্তু এসব কেন্দ্র স্থাপনের ক্ষেত্রেও অগ্রগতি নেই।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, এসব কারণে ভাড়াভিত্তিক ও দ্রুত ভাড়াভিত্তিক কেন্দ্রগুলোর মেয়াদ শেষে বিদ্যুতের ভয়াবহ সংকট হওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে।
সূত্রগুলো জানায়, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বৈদেশিক বিনিয়োগ আনার জন্য সিঙ্গাপুর, লন্ডন ও নিউইয়র্কে যে ‘রোড শো’ করা হয়, এসব থেকে উল্লেখযোগ্য কোনো ফল পাওয়া যায়নি। এরপর ভারতে একটি ‘রোড শো’তে অংশ নিয়ে সরকার এই খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছে। এতেও বিশেষ ফল না পাওয়া গেলে বিদ্যুৎ খাতের বড় প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন কঠিন হয়ে পড়বে।
গ্যাসভিত্তিক তিন কেন্দ্রের দুটির বাস্তবায়ন অনিশ্চিত: বড় কেন্দ্রগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গ্যাসভিত্তিক ৩৪১ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিবিয়ানা-১, একই ক্ষমতার বিবিয়ানা-২ ও ৩৩৫ মেগাওয়াটের মেঘনাঘাট-২ কেন্দ্র। এর মধ্যে মেঘনাঘাট-২ কেন্দ্রটির কার্যক্রম চলছে। বিশ্বব্যাংকের সহায়তা বন্ধ হওয়ায় বিবিয়ানার কেন্দ্র দুটির বাস্তবায়ন কার্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
এসব কেন্দ্র জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুতের সরবরাহ বাড়াত এবং এগুলো থেকে ২২ বছর অনেক কম দামে (প্রতি ইউনিট আড়াই থেকে তিন টাকা) বিদ্যুৎ পাওয়া যেত।
বিবিয়ানার দুটি কেন্দ্রের জন্য আহূত দরপ্রস্তাবের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই কেন্দ্র দুটি স্থাপনের ক্ষেত্রে আর্থিক ঝুঁকির ব্যাপারে বিশ্বব্যাংকের নিশ্চয়তা (পারসিয়াল রিস্ক গ্যারান্টি) পাওয়া যাবে। কিন্তু সরকার এখনো বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ওই নিশ্চয়তা পত্র আনতে পারেনি। সূত্র জানায়, পদ্মা সেতুর দুর্নীতি নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার সঙ্গে বিশ্বব্যাংক এই বিষয়টিকেও যুক্ত করেছে।
প্রতিযোগিতামূলক দরপ্রস্তাবের মাধ্যমে এই তিন কেন্দ্রেরই কাজ পেয়েছে বিদ্যুৎ খাতে সবচেয়ে বড় দেশীয় কোম্পানি সামিট গ্রুপ। তাদের অংশীদার হিসেবে আছে জি ই যুক্তরাষ্ট্র। এগুলোর বাস্তবায়ন পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা এখনো বিশ্বব্যাংক এবং এডিবির বর্তমান অবস্থান পরিবর্তনের অপেক্ষা করছি। আমরা মনে করি, এই পরিবর্তন হবে। কারণ, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের উন্নয়নে সহায়তা দেওয়ার জন্যই বিশ্বব্যাংক গঠিত হয়েছে।’ তিনি জানান, এর পাশাপাশি অর্থায়নের বিকল্প একাধিক উৎসের সঙ্গেও কথাবার্তা হচ্ছে।
এ অবস্থায় বিবিয়ানার কেন্দ্র দুটি নির্ধারিত সময়ে (২০১৩ সালের মধ্যে) বাস্তবায়নের আশা নেই। অবশ্য মেঘনাঘাট কেন্দ্রটি এই সময়ের মধ্যেই নির্মিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মুহাম্মদ আজিজ খান।
কয়লাভিত্তিক চারটি কেন্দ্রেরও অগ্রগতি কম: কয়লাভিত্তিক চারটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি কেন্দ্র বাংলাদেশ-ভারত (পিডিবি-এনটিপিসি) যৌথ উদ্যোগে হওয়ার কথা বাগেরহাটের রামপালে। যন্ত্রপাতি স্থাপন শুরু হওয়ার পর কেন্দ্রটি চালু হতে সময় লাগবে অন্তত চার বছর। তবে সরকারি সূত্র জানায়, সেই কাজ এ বছর শুরু হচ্ছে না।
এ ছাড়া মোট এক হাজার ৮৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার তিনটি কেন্দ্র স্থাপনে ওরিয়ন গ্রুপের (লংকিং ওরিয়ন যৌথ উদ্যোগ) সঙ্গে সরকার চুক্তি অনুস্বাক্ষর করেছে গত বছরের ২০ ডিসেম্বর। কিন্তু এখনো এর চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, চুক্তি অনুস্বাক্ষরের পর তা আইন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের (ভেটিং) জন্য পাঠানো হয়েছিল। দুই সপ্তাহ আগে আইন মন্ত্রণালয় সেটি বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। আইন মন্ত্রণালয় অনুস্বাক্ষরিত চুক্তির দু-একটি বিষয় পরিবর্তন করতে বলেছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে করপোরেট ট্যাক্স-সংক্রান্ত। পিডিবি এই কেন্দ্রগুলো স্থাপনের জন্য যে দরপ্রস্তাব (আরএফপি) আহ্বান করেছিল তাতে বলা হয়, নির্মাণকারী কোম্পানি বা উদ্যোক্তাকে করপোরেট ট্যাক্স দিতে হবে না। কিন্তু আইন মন্ত্রণালয় তা পরিবর্তন করে করপোরেট ট্যাক্স উদ্যোক্তা কোম্পানিকে দিতে হবে বলে মত দিয়েছে।
এ ছাড়া অনুস্বাক্ষরিত চুক্তিতে কোনো বিষয়ে সালিসির প্রয়োজন হলে তা যুক্তরাজ্যের সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী সিঙ্গাপুর কিংবা লন্ডনের আদালতে নিষ্পত্তি হওয়ার কথা ছিল। আইন মন্ত্রণালয় তা পরিবর্তন করে বাংলাদেশের আইনে ঢাকায় নিষ্পত্তির বিধান করতে বলেছে। কিন্তু এতে উদ্যোক্তা কোম্পানি রাজি নয়।
জানতে চাইলে ওরিয়ন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালমান ওবায়দুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আরএফপিতে যেসব শর্ত পিডিবি দিয়েছিল, আমরা সে অনুযায়ী প্রস্তাব দিয়েছি এবং চুক্তি অনুস্বাক্ষর করেছি। এখন তার কোনো শর্ত পরিবর্তন করলে তা আমাদের পক্ষে মানা সম্ভব হবে না।’ তিনি জানান, অনুস্বাক্ষরিত চুক্তির শর্তে যেকোনো সময় কাজ শুরু করতে তাঁরা প্রস্তুত আছেন।
জানা গেছে, বিষয়টি নিয়ে পিডিবি ও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় আবার কাজ শুরু করেছে। তবে এসব কাজে সময়ক্ষেপণ হওয়ায় এই কেন্দ্রগুলোও যে আগের পরিকল্পিত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন হবে না, তা এখন নিশ্চিত।
এ ছাড়া সরকার মার্চেন্ট বিদ্যুৎকেন্দ্র নামে আরেক ধরনের বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু করেছিল। এতে বেসরকারি খাতের যেকোনো উদ্যোক্তা সরকারের অনুমোদন নিয়ে নিজের জায়গা ও অর্থে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করলে সরকার সেখান থেকে ৩০ শতাংশ বিদ্যুৎ কিনবে। বাকি বিদ্যুৎ উদ্যোক্তা নিজে গ্রাহক খুঁজে বিক্রি করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে ভাড়ার বিনিময়ে সরকারি অবকাঠামো ব্যবহারের সুযোগ উদ্যোক্তাকে দেওয়া হবে। কিন্তু এসব কেন্দ্র স্থাপনের ক্ষেত্রেও অগ্রগতি নেই।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, এসব কারণে ভাড়াভিত্তিক ও দ্রুত ভাড়াভিত্তিক কেন্দ্রগুলোর মেয়াদ শেষে বিদ্যুতের ভয়াবহ সংকট হওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে।
No comments