দিনভর অসহনীয় যানজট ও গরম, রাতে স্বস্তির বৃষ্টি
তিন দিনের হরতাল শেষে প্রথম কার্যদিবস। প্রত্যেকে ছুটেছেন নিজের কাজে। নিয়ন্ত্রণহীন গাড়ি, ভেঙে পড়েছে ট্রাফিকব্যবস্থা। এর সঙ্গে প্রখর তাপমাত্রা আর গুমোট গরম। ফলাফল, গতকাল বুধবার সারা দিন ছিল মানুষের দুর্ভোগ।
সন্ধ্যায় হঠাৎ বৃষ্টি কিছু মানুষকে স্বস্তি দিলেও ঘরফেরত মানুষগুলো পড়েন মহা যন্ত্রণায়। কালবৈশাখীতে রাতে শহরের বিভিন্ন সড়কের গাছপালা ভেঙে পড়ে। এতে বেশ কয়েকটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যানজট আর ঝড়-বৃষ্টিতে মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে যায়।
রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে গতকাল সকাল থেকেই ছিল প্রচণ্ড যানজট। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একজন চিকিৎসক জানান, তিনি গোপীবাগের বাসা থেকে গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিলেন সকাল সাড়ে নয়টায়। তাঁকে নামিয়ে দিয়ে বনানীতে অবস্থিত একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার কথা তাঁর ছেলের। কিন্তু গাড়ি না ফেরায় ছেলে ঘর থেকে বের হতে পারছে না। কারণ, জয়কালী মন্দির সড়ক এলাকায় প্রায় এক ঘণ্টা আটকে আছে গাড়ি। সায়েদাবাদ থেকে গুলিস্তানের দিকে পুরো সড়কই অবরুদ্ধ।
শুধু ওই এলাকা নয়, তিন দিনের হরতাল শেষে গতকাল ঢাকা শহর ফিরে আসে সেই চিরপরিচিত অসহনীয় যানজটের নগরের চেহারা নিয়ে। খুব সকালেই যাত্রীবাহী বাসসহ বিভিন্ন যানবাহন নেমে আসে রাস্তায়। এর মধ্যে প্রচণ্ড গরম।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, গতকাল ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে যানবাহনের আধিক্য এই গরম আরও বাড়িয়ে তোলে।
বেলা ১১টার দিকে দেখা যায়, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কার্যালয় থেকে মতিঝিল শাপলা চত্বর হয়ে আরামবাগ, ফকিরাপুল, কাকরাইল মোড়সহ পুরো এলাকা, অন্যদিকে দৈনিক বাংলার মোড় হয়ে পুরানা পল্টন, তোপখানা, জাতীয় প্রেসক্লাব—সব সড়কেই যানজট।
দক্ষিণখান এলাকার বাসিন্দা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আবদুস সাত্তার জানান, হরতালের কারণে তিন দিন দরকারি কাজ সারতে পারেননি। যানজটের কারণে সকালে কারওয়ান বাজার আসেন প্রায় দুই ঘণ্টায়।
একই ধরনের যানজট ছিল শাহবাগ থেকে ফার্মগেট, বিজয় সরণি, মণিপুরিপাড়া, মগবাজার, মৌচাক, রামপুরা, বাড্ডা, আগারগাঁও থেকে রোকেয়া সরণি, শেওড়াপাড়া, মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর, নিউমার্কেট এলাকা, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, মিরপুর রোড, শ্যামলী, কল্যাণপুরসহ বিভিন্ন এলাকা। এ ছাড়া ঢাকার প্রবেশপথগুলো, বিশেষ করে আমিনবাজার-গাবতলী, কাঁচপুর-সায়েদাবাদ, টঙ্গী-উত্তরা এলাকা ছিল দুঃসহ যানজটে।
বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা শরিফুল কবির জানান, মোহাম্মদপুর থেকে তিনি মতিঝিলে যাওয়ার জন্য দুপুর ১২টায় বের হন। পৌঁছান বেলা আড়াইটায়।
এদিকে, দিনভর প্রচণ্ড গরমে নগরবাসীর নাভিশ্বাস অবস্থা হলেও গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নেমে আসে বৃষ্টি। ঢাকায় বৃষ্টি নামে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে। সে সঙ্গে বজ্রপাত ও দমকা হওয়া। এ অবস্থা নগরবাসীকে নিয়ে যায় আরেক দুর্ভোগে। বৃষ্টির মধ্যে যানজট আরও বেড়ে যায়। যাত্রী ছাউনি এবং বিভিন্ন ভবনের বারান্দায় ঠাঁই নেয় অগণিত মানুষ। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও তাঁরা গাড়ি পাচ্ছিলেন না।
রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে গতকাল সকাল থেকেই ছিল প্রচণ্ড যানজট। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একজন চিকিৎসক জানান, তিনি গোপীবাগের বাসা থেকে গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিলেন সকাল সাড়ে নয়টায়। তাঁকে নামিয়ে দিয়ে বনানীতে অবস্থিত একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার কথা তাঁর ছেলের। কিন্তু গাড়ি না ফেরায় ছেলে ঘর থেকে বের হতে পারছে না। কারণ, জয়কালী মন্দির সড়ক এলাকায় প্রায় এক ঘণ্টা আটকে আছে গাড়ি। সায়েদাবাদ থেকে গুলিস্তানের দিকে পুরো সড়কই অবরুদ্ধ।
শুধু ওই এলাকা নয়, তিন দিনের হরতাল শেষে গতকাল ঢাকা শহর ফিরে আসে সেই চিরপরিচিত অসহনীয় যানজটের নগরের চেহারা নিয়ে। খুব সকালেই যাত্রীবাহী বাসসহ বিভিন্ন যানবাহন নেমে আসে রাস্তায়। এর মধ্যে প্রচণ্ড গরম।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, গতকাল ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে যানবাহনের আধিক্য এই গরম আরও বাড়িয়ে তোলে।
বেলা ১১টার দিকে দেখা যায়, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কার্যালয় থেকে মতিঝিল শাপলা চত্বর হয়ে আরামবাগ, ফকিরাপুল, কাকরাইল মোড়সহ পুরো এলাকা, অন্যদিকে দৈনিক বাংলার মোড় হয়ে পুরানা পল্টন, তোপখানা, জাতীয় প্রেসক্লাব—সব সড়কেই যানজট।
দক্ষিণখান এলাকার বাসিন্দা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আবদুস সাত্তার জানান, হরতালের কারণে তিন দিন দরকারি কাজ সারতে পারেননি। যানজটের কারণে সকালে কারওয়ান বাজার আসেন প্রায় দুই ঘণ্টায়।
একই ধরনের যানজট ছিল শাহবাগ থেকে ফার্মগেট, বিজয় সরণি, মণিপুরিপাড়া, মগবাজার, মৌচাক, রামপুরা, বাড্ডা, আগারগাঁও থেকে রোকেয়া সরণি, শেওড়াপাড়া, মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর, নিউমার্কেট এলাকা, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, মিরপুর রোড, শ্যামলী, কল্যাণপুরসহ বিভিন্ন এলাকা। এ ছাড়া ঢাকার প্রবেশপথগুলো, বিশেষ করে আমিনবাজার-গাবতলী, কাঁচপুর-সায়েদাবাদ, টঙ্গী-উত্তরা এলাকা ছিল দুঃসহ যানজটে।
বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা শরিফুল কবির জানান, মোহাম্মদপুর থেকে তিনি মতিঝিলে যাওয়ার জন্য দুপুর ১২টায় বের হন। পৌঁছান বেলা আড়াইটায়।
এদিকে, দিনভর প্রচণ্ড গরমে নগরবাসীর নাভিশ্বাস অবস্থা হলেও গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নেমে আসে বৃষ্টি। ঢাকায় বৃষ্টি নামে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে। সে সঙ্গে বজ্রপাত ও দমকা হওয়া। এ অবস্থা নগরবাসীকে নিয়ে যায় আরেক দুর্ভোগে। বৃষ্টির মধ্যে যানজট আরও বেড়ে যায়। যাত্রী ছাউনি এবং বিভিন্ন ভবনের বারান্দায় ঠাঁই নেয় অগণিত মানুষ। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও তাঁরা গাড়ি পাচ্ছিলেন না।
No comments