যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের এ কেমন আচরণ?-শোকের দিনে সংবর্ধনা
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে অকালে ঝরে যাওয়া শিশুদের শোকে শোকার্ত দেশ, শোকার্ত সমবয়সী শিক্ষার্থীরা, শোকার্ত শিক্ষক ও অভিভাবকেরা—কেবল দুজনের মনে কোনো শোক নেই। তাঁরা আনন্দ-সংবর্ধনা-জৌলুশেই কাটিয়েছেন দিনটি। সরকারি উদ্যোগে গত বুধবার দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শোক পালনের কথা ছিল।
কথামতো সারা দেশের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা কালো ব্যাজ পরে শামিল হয়েছিল মিরসরাই ট্র্যাজেডির শোকে। কেবল যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং কুষ্টিয়া সদরের বারখাদা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির আচরণে শোকের কোনো চিহ্ন ছিল না। তাঁরা সেদিন ‘ফুলেল সংবর্ধনা’ নেওয়া-দেওয়ায় ব্যস্ত ছিলেন।
শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান নিজে শুধু গুরুদায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাই নন, তিনি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকও বটে। স্বাভাবিকভাবেই প্রত্যাশিত ছিল, ৪৫টি শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যুর ছাপ তাঁর আচরণে প্রতিফলিত হবে। সরকারের তরফে সেদিন শোক পালনের জন্য নির্দেশও ছিল। কিন্তু তা উপেক্ষা করে সংবর্ধনার আনন্দযজ্ঞ আয়োজন করেন বিদ্যালয়টির ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সেই শোকের দিনে সংবর্ধনা গ্রহণে কোনো অসুবিধাও হয়নি যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের। কোনো কিছুই তাঁর মনে দাগ কাটেনি, তিনি ব্যস্ত ছিলেন গলায় ফুলের মালা পরে সংবর্ধনা নেওয়ার কাজে। অথচ ওই ফুলগুলো হওয়ার কথা ছিল নিষ্পাপ শিশুদের জন্য নিবেদিত শোকাঞ্জলি।
কেবল তা-ই নয়, এই গর্হিত কাজে জড়িত করেছেন বিদ্যালয়টির সব শিক্ষক ও শিক্ষার্থীকে। তাঁরা কেউই কালো ব্যাজ পরতে পারেনি, উপরন্তু কয়েক শ শিক্ষার্থীকে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে, তাদের দিয়ে করানো হয়েছে নাচ-গান। তারা বুঝতে পারছে না যে শোকের সহানুভূতি না থাকুক, নির্বিকারচিত্তে রংদার সংবর্ধনা গ্রহণে মানবিকতাবোধের অপমান হয়। শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের যদি নৈতিক ও মানবিকবোধের ঘাটতি ঘটে, তখন চিন্তিত না হয়ে পারা যায় না। তা ছাড়া এই প্রশ্নও উঠবে যে একজন সরকারি পেশাজীবী, যিনি একটি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, কোন কৃতিত্বের জন্য সংবর্ধিত হবেন? সংবর্ধনার নামে তোষামোদের পথে সুবিধা আদায়ের চল আছে। সে জন্যই সরকারি কর্মকর্তাদের সংবর্ধনা দেওয়া বা নেওয়ার বেলায় বিধিনিষেধও থাকা উচিত।
শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান নিজে শুধু গুরুদায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাই নন, তিনি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকও বটে। স্বাভাবিকভাবেই প্রত্যাশিত ছিল, ৪৫টি শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যুর ছাপ তাঁর আচরণে প্রতিফলিত হবে। সরকারের তরফে সেদিন শোক পালনের জন্য নির্দেশও ছিল। কিন্তু তা উপেক্ষা করে সংবর্ধনার আনন্দযজ্ঞ আয়োজন করেন বিদ্যালয়টির ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সেই শোকের দিনে সংবর্ধনা গ্রহণে কোনো অসুবিধাও হয়নি যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের। কোনো কিছুই তাঁর মনে দাগ কাটেনি, তিনি ব্যস্ত ছিলেন গলায় ফুলের মালা পরে সংবর্ধনা নেওয়ার কাজে। অথচ ওই ফুলগুলো হওয়ার কথা ছিল নিষ্পাপ শিশুদের জন্য নিবেদিত শোকাঞ্জলি।
কেবল তা-ই নয়, এই গর্হিত কাজে জড়িত করেছেন বিদ্যালয়টির সব শিক্ষক ও শিক্ষার্থীকে। তাঁরা কেউই কালো ব্যাজ পরতে পারেনি, উপরন্তু কয়েক শ শিক্ষার্থীকে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে, তাদের দিয়ে করানো হয়েছে নাচ-গান। তারা বুঝতে পারছে না যে শোকের সহানুভূতি না থাকুক, নির্বিকারচিত্তে রংদার সংবর্ধনা গ্রহণে মানবিকতাবোধের অপমান হয়। শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের যদি নৈতিক ও মানবিকবোধের ঘাটতি ঘটে, তখন চিন্তিত না হয়ে পারা যায় না। তা ছাড়া এই প্রশ্নও উঠবে যে একজন সরকারি পেশাজীবী, যিনি একটি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, কোন কৃতিত্বের জন্য সংবর্ধিত হবেন? সংবর্ধনার নামে তোষামোদের পথে সুবিধা আদায়ের চল আছে। সে জন্যই সরকারি কর্মকর্তাদের সংবর্ধনা দেওয়া বা নেওয়ার বেলায় বিধিনিষেধও থাকা উচিত।
No comments