দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসুক-ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ
রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক ছাত্রীর ওপর একজন শিক্ষকের যৌন নির্যাতনের অভিযোগকে কেন্দ্র করে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, নৈতিক দিক থেকে তা অপূরণীয় ক্ষতির কারণ হতে পারে, যদি সংঘটিত অপরাধের যথাযথ প্রতিকার করা না হয়।
ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষকের চাকরিচ্যুতি ও গ্রেপ্তার, পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে ঢাকার জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে একটি অস্থায়ী পরিচালনা পর্ষদ গঠন, অধ্যক্ষ হোসনে আরার অপসারণ, আম্বিয়া খাতুন নামের অন্য এক শিক্ষকের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহণ—এসব পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে সমস্যার সমাধান হয়ে গেলে ভালো হতো। কিন্তু আশঙ্কা হচ্ছে, সমস্যা মিটে যায়নি। পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি এই মুহূর্তে দেশের বাইরে। তাঁর অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দিলীপ রায়ের পর্ষদের সভা আহ্বান করার কথা। কিন্তু তাঁর আহ্বানের অপেক্ষায় না থেকে পরিচালনা পর্ষদের পাঁচজন সদস্য এক সভায় মিলিত হয়ে অধ্যক্ষ হোসনে আরাকে অপসারণ করেছেন বলে এ পদক্ষেপের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। আর অধ্যক্ষের নামফলক সরিয়ে ফেলে আম্বিয়া খাতুনের দ্রুত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহণের বিষয়টি ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভেতরে দলাদলির আভাস দেয়। হোসনে আরার অপসারণে শিক্ষার্থীদের অনেকে খুশি, এমন খবর পাওয়া গেছে। এটা কোনো শিক্ষকের জন্য ভালো খবর নয়। আবার হোসনে আরা অন্যকলেজ থেকে এসেছেন বলে তাঁকে মেনে না নেওয়ার বিষয়টিও সমর্থনযোগ্য নয়। ইতিমধ্যে তিনি তিন মাসের ছুটিতে চলে গেছেন। আরেকজন শিক্ষককে অধ্যক্ষের চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা ব্যবস্থায় রাজনৈতিক বা অন্য কোনো মহলের প্রভাব বা হস্তক্ষেপ থেকে থাকলে তা দূর করা প্রয়োজন। পরিচালনা পর্ষদ ও শিক্ষকমণ্ডলীর মধ্যে ক্ষমতা, প্রভাব, প্রতিপত্তি ইত্যাদি নিয়ে দলাদলি বা কায়েমি স্বার্থবাদী ঐক্যবদ্ধতা—কোনোটাই গ্রহণযোগ্য নয়। এটা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্যই প্রযোজ্য। আমাদের মনে রাখা উচিত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আমরা আমাদের সন্তানদের গড়ে তুলছি। দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে তাদের ওপর। কেবল পাঠ্যপুস্তকের বিদ্যা থেকেই তারা শিক্ষা গ্রহণ করছে না, আমাদের প্রতিটি আচরণই তারা লক্ষ করছে। বিদ্যালয় পরিচালনায়, শিক্ষকের দায়িত্ব পালনে—কোনো ক্ষেত্রেই কোনো অন্যায্য, অনৈতিক আচরণ করার সুযোগ যেন না থাকে, তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। অচলাবস্থা কাটিয়ে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে, সেটাই প্রত্যাশিত।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা ব্যবস্থায় রাজনৈতিক বা অন্য কোনো মহলের প্রভাব বা হস্তক্ষেপ থেকে থাকলে তা দূর করা প্রয়োজন। পরিচালনা পর্ষদ ও শিক্ষকমণ্ডলীর মধ্যে ক্ষমতা, প্রভাব, প্রতিপত্তি ইত্যাদি নিয়ে দলাদলি বা কায়েমি স্বার্থবাদী ঐক্যবদ্ধতা—কোনোটাই গ্রহণযোগ্য নয়। এটা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্যই প্রযোজ্য। আমাদের মনে রাখা উচিত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আমরা আমাদের সন্তানদের গড়ে তুলছি। দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে তাদের ওপর। কেবল পাঠ্যপুস্তকের বিদ্যা থেকেই তারা শিক্ষা গ্রহণ করছে না, আমাদের প্রতিটি আচরণই তারা লক্ষ করছে। বিদ্যালয় পরিচালনায়, শিক্ষকের দায়িত্ব পালনে—কোনো ক্ষেত্রেই কোনো অন্যায্য, অনৈতিক আচরণ করার সুযোগ যেন না থাকে, তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। অচলাবস্থা কাটিয়ে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে, সেটাই প্রত্যাশিত।
No comments