অনেক শিক্ষক থাকেন শহরে বর্ষায় কমে যায় শিক্ষার্থীও by শফিক আদনান,
সমস্যার পাহাড় মাথায় নিয়ে কোনো রকমে চলছে কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলের শিক্ষা। পরিবারের দারিদ্র্য, বিরূপ পরিবেশ ও অনুন্নত যোগাযোগব্যবস্থার কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পার হতে না পেরে ঝরে পড়ে অনেক শিক্ষার্থী। আছে শিক্ষকস্বল্পতা, অবকাঠামোর সমস্যা ও যথাযথ তদারকির অভাব। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিগুলো কার্যত নিষ্ক্রিয়। অনুসন্ধানে জানা গেছে, যেসব এলাকায় যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো সেখানেও শিক্ষকরা দেরিতে স্কুলে
যান, কাজে ফাঁকি দেন। এমন অনেক শিক্ষক আছেন, যাঁরা জেলা শহরে বসবাস করে হাওরাঞ্চলের বিদ্যালয়গুলোতে চাকরি করেন। তাঁদের বিরুদ্ধেই কাজে ফাঁকি দেওয়া ও দেরিতে বিদ্যালয়ে যাওয়ার অভিযোগ বেশি। স্থানীয় শিক্ষা অফিসও বিদ্যালয়গুলোতে প্রয়োজনীয় মনিটরিং করতে পারে না।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ জেলার ১৩টি উপজেলায় ৮০৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৪৪৫টি রেজিস্টার্ড (বেসরকারি) প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। ১৩ উপজেলার মধ্যে ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলার পুরোটাই হাওর। অন্যদিকে করিমগঞ্জ, তাড়াইল, নিকলী, বাজিতপুর উপজেলার আংশিক হাওর এলাকা।
গত সোমবার করিমগঞ্জের হাওরাঞ্চলের দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে শিক্ষার দৈন্যদশা চোখে পড়ে। সকাল ১০টার দিকে পুরান চামটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, প্রাধান শিক্ষক ও দুই সহকারী শিক্ষক অফিসে বসে উপবৃত্তির কাজ করছেন। বাইরে শিশুরা চিৎকার-চেঁঁচামেচি করছে। প্রধান শিক্ষক আবদুস ছোবহান বলেন, 'এখানে এগুলোই গুরুত্বপূর্ণ। কোনো কারণে উপবৃত্তির টাকা বিতরণে এক দিন দেরি হলে অভিভাবকরা ছেড়ে কথা বলবেন না। তাই ক্লাস রেখে এ কাজটি এগিয়ে রাখা হচ্ছে।'
প্রধান শিক্ষক জানান, বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত বেঞ্চ নেই, সব মিলিয়ে ২৫ জোড়া বেঞ্চ হবে। বেঞ্চে জায়গা না পেয়ে মেঝেতে বসে ও দাঁড়িয়ে ক্লাস করে শিশুরা। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, '২০০৯ সালে ঘূর্ণিঝড়ে বিদ্যালয়ের চালের টিন উড়িয়ে নিয়ে যায়। কিন্তু পরে এটি আর মেরামত হয়নি। অনেক তদবিরের পর এক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হলে তা দিয়ে টিনগুলো লাগানো হয়।' তিনি জানান, বিদ্যালয়ের সব দরজা-জানালা ভাঙা। ২৬৫ জন শিক্ষার্থীর বেশির ভাগই বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসে। বর্ষায় তাদের উপস্থিতি কমে যায়।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাছিরা আক্তার জানান, দারিদ্র্যের কারণে এখানকার মানুষ শিশুদের পড়াশোনার খুব একটা খোঁজখবর রাখতে পারে না। তাই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি, অভিভাবক কমিটি, উন্নয়ন কমিটি ও সামাজিক মূল্যায়ন কমিটি_এ চারটি কমিটি থাকলেও এগুলো সক্রিয় নয়।
দ্বিতীয় শ্রেণীর ইমন, তানিয়া, সোমা ও প্রিয়াংকা জানায়, বর্ষার সময় তাদের বিদ্যালয়ে যেতে ভয় করে। বর্ষার সময় তারা খুব একটা বিদ্যালয়ে যায় না। আবহাওয়া ভালো থাকলে এবং হাওরে ঢেউ কম থাকলে যায়।
করিমগঞ্জের সুতারপাড়া ইউনিয়নে অবস্থিত খাকশ্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে জানা যায়, এ বিদ্যালয়ে তিনজন শিক্ষক থাকলেও দুজনই প্রেষণে কাজ করছেন। হাওর এলাকা বলে এখানে কেউ থাকতে চান না। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী সহকারী শিক্ষক আলী হোসেন জানান, বিদ্যালয়ের আরো করুণ অবস্থা গেছে। দীর্ঘদিন তিনি একা প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থীকে সামলেছেন। তিনি জানান, বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী সংখ্যা বর্তমানে ২৮৯। শিশুদের বসার কোনো জায়গা নেই। বেঞ্চ নেই ও খেলার মাঠ।
আলী হোসেন জানান, বিদ্যালয়ে যে চারটি কমিটি আছে, সেগুলো ঠিকমতো কাজ করলে শিক্ষার মান আরো বাড়ত। কমিটিতে ঢোকার জন্য সবাই উন্মুখ হয়ে থাকেন, কিন্তু কাজ করতে চান না।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্ষা মৌসুমে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি অনেক কমে যায়। আর বৈশাখ মাসে ফসল কাটার সময় হাওরের বিদ্যালয়গুলো একরকম বন্ধই থাকে। হাওরের ৯০ শতাংশ মানুষ গরিব। কার্তিক মাস থেকে কাজের উদ্দেশ্যে বিশেষ করে ইটখোলায় কাজ করতে পরিবার-পরিজন নিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় চলে যায় শত শত লোক। ফিরে আসে বৈশাখ মাসে। তাই এখানকার শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা দেওয়া যায় না।
কয়েকজন প্রধান শিক্ষক অভিযোগ করেন, কমিটির সভা আহ্বান করলেও অনেক সময় সভার কোরাম পর্যন্ত হয় না। কমিটির লোকজন উদ্যোগী হলে হাওরের শিক্ষার মান বাড়বে। অনেক সমস্যা এমনিতেই কেটে যাবে।
ইটনা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা ফজলুর রহমান জানান, তাঁর উপজেলায় ৪৪টি সরকারি ও ২১টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। তিনি বলেন, 'হাওরের স্কুলগুলোতে শিক্ষকদের যেন মন বসে না। তাঁরা এখানে এসেই বদলির চেষ্টা করতে থাকেন। আমরাও ঠিকমতো বিদ্যালয়গুলো মনিটরিং করতে পারি না। প্রত্যন্ত অঞ্চল; কিন্তু যাতায়াত ভাতা মাসে মাত্র ৫০০ টাকা। এ টাকায় হওরে দুদিন বিদ্যালয় মনিটরিং করা যায় না।'
মিঠামইন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আফজাল হোসেন জানান, তাঁর উপজেলায় ৩৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও চালু আছে ৩৬টি। বেসরকারি স্কুল আছে ৩১টি।
অষ্টগ্রাম উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, অষ্টগ্রামে ৪৫টি সরকারি ও ২৫টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। আফজাল হোসেন ও রেজাউল করিম জানান, হাওরের চিরকালীন সমস্যা হচ্ছে যোগাযোগ। একটি গ্রাম আরেকটি গ্রাম থেকে বিচ্ছিন্ন। বর্ষায় দ্বীপের মতো ভাসতে থাকে এগুলো। এ ছয় মাস মানুষের কোনো কাজ থাকে না। রীতিমতো গৃহবন্দি অবস্থা। শিশুদেরও তাদের অভিভাবকরা ঘর থেকে বের হতে দিতে চান না। তাই এ সময় বিদ্যালয়ে উপস্থিতি কম থাকে। তাঁরা জানান, বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদসহ সবগুলো কমিটিকে সক্রিয় করার চেষ্টা হচ্ছে। মানুষ সচেতন হলে দারিদ্র্য পড়াশোনায় তেমন সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে না।
করিমগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মুখলেছুর রহমান বলেন, হাওরের সমস্যাগুলো সারা দেশের সঙ্গে একরকম করে বিবেচনা না করে অন্যভাবে দেখা প্রয়োজন।
ইটনা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবু সাদাত মো. সায়েম বলেন, শিক্ষকদের হাওর ভাতা, শিক্ষার্থীদের শতভাগ উপবৃত্তি, স্কুলে একবেলা আহারের ব্যবস্থা করা গেলে হাওরাঞ্চলের ভঙ্গুর শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতি হবে। শিক্ষকদের প্রণোদনা দেওয়া গেলে তাঁরা শিক্ষা কাজে মনোযোগী হবেন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ জেলার ১৩টি উপজেলায় ৮০৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৪৪৫টি রেজিস্টার্ড (বেসরকারি) প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। ১৩ উপজেলার মধ্যে ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলার পুরোটাই হাওর। অন্যদিকে করিমগঞ্জ, তাড়াইল, নিকলী, বাজিতপুর উপজেলার আংশিক হাওর এলাকা।
গত সোমবার করিমগঞ্জের হাওরাঞ্চলের দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে শিক্ষার দৈন্যদশা চোখে পড়ে। সকাল ১০টার দিকে পুরান চামটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, প্রাধান শিক্ষক ও দুই সহকারী শিক্ষক অফিসে বসে উপবৃত্তির কাজ করছেন। বাইরে শিশুরা চিৎকার-চেঁঁচামেচি করছে। প্রধান শিক্ষক আবদুস ছোবহান বলেন, 'এখানে এগুলোই গুরুত্বপূর্ণ। কোনো কারণে উপবৃত্তির টাকা বিতরণে এক দিন দেরি হলে অভিভাবকরা ছেড়ে কথা বলবেন না। তাই ক্লাস রেখে এ কাজটি এগিয়ে রাখা হচ্ছে।'
প্রধান শিক্ষক জানান, বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত বেঞ্চ নেই, সব মিলিয়ে ২৫ জোড়া বেঞ্চ হবে। বেঞ্চে জায়গা না পেয়ে মেঝেতে বসে ও দাঁড়িয়ে ক্লাস করে শিশুরা। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, '২০০৯ সালে ঘূর্ণিঝড়ে বিদ্যালয়ের চালের টিন উড়িয়ে নিয়ে যায়। কিন্তু পরে এটি আর মেরামত হয়নি। অনেক তদবিরের পর এক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হলে তা দিয়ে টিনগুলো লাগানো হয়।' তিনি জানান, বিদ্যালয়ের সব দরজা-জানালা ভাঙা। ২৬৫ জন শিক্ষার্থীর বেশির ভাগই বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসে। বর্ষায় তাদের উপস্থিতি কমে যায়।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাছিরা আক্তার জানান, দারিদ্র্যের কারণে এখানকার মানুষ শিশুদের পড়াশোনার খুব একটা খোঁজখবর রাখতে পারে না। তাই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি, অভিভাবক কমিটি, উন্নয়ন কমিটি ও সামাজিক মূল্যায়ন কমিটি_এ চারটি কমিটি থাকলেও এগুলো সক্রিয় নয়।
দ্বিতীয় শ্রেণীর ইমন, তানিয়া, সোমা ও প্রিয়াংকা জানায়, বর্ষার সময় তাদের বিদ্যালয়ে যেতে ভয় করে। বর্ষার সময় তারা খুব একটা বিদ্যালয়ে যায় না। আবহাওয়া ভালো থাকলে এবং হাওরে ঢেউ কম থাকলে যায়।
করিমগঞ্জের সুতারপাড়া ইউনিয়নে অবস্থিত খাকশ্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে জানা যায়, এ বিদ্যালয়ে তিনজন শিক্ষক থাকলেও দুজনই প্রেষণে কাজ করছেন। হাওর এলাকা বলে এখানে কেউ থাকতে চান না। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী সহকারী শিক্ষক আলী হোসেন জানান, বিদ্যালয়ের আরো করুণ অবস্থা গেছে। দীর্ঘদিন তিনি একা প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থীকে সামলেছেন। তিনি জানান, বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী সংখ্যা বর্তমানে ২৮৯। শিশুদের বসার কোনো জায়গা নেই। বেঞ্চ নেই ও খেলার মাঠ।
আলী হোসেন জানান, বিদ্যালয়ে যে চারটি কমিটি আছে, সেগুলো ঠিকমতো কাজ করলে শিক্ষার মান আরো বাড়ত। কমিটিতে ঢোকার জন্য সবাই উন্মুখ হয়ে থাকেন, কিন্তু কাজ করতে চান না।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্ষা মৌসুমে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি অনেক কমে যায়। আর বৈশাখ মাসে ফসল কাটার সময় হাওরের বিদ্যালয়গুলো একরকম বন্ধই থাকে। হাওরের ৯০ শতাংশ মানুষ গরিব। কার্তিক মাস থেকে কাজের উদ্দেশ্যে বিশেষ করে ইটখোলায় কাজ করতে পরিবার-পরিজন নিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় চলে যায় শত শত লোক। ফিরে আসে বৈশাখ মাসে। তাই এখানকার শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা দেওয়া যায় না।
কয়েকজন প্রধান শিক্ষক অভিযোগ করেন, কমিটির সভা আহ্বান করলেও অনেক সময় সভার কোরাম পর্যন্ত হয় না। কমিটির লোকজন উদ্যোগী হলে হাওরের শিক্ষার মান বাড়বে। অনেক সমস্যা এমনিতেই কেটে যাবে।
ইটনা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা ফজলুর রহমান জানান, তাঁর উপজেলায় ৪৪টি সরকারি ও ২১টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। তিনি বলেন, 'হাওরের স্কুলগুলোতে শিক্ষকদের যেন মন বসে না। তাঁরা এখানে এসেই বদলির চেষ্টা করতে থাকেন। আমরাও ঠিকমতো বিদ্যালয়গুলো মনিটরিং করতে পারি না। প্রত্যন্ত অঞ্চল; কিন্তু যাতায়াত ভাতা মাসে মাত্র ৫০০ টাকা। এ টাকায় হওরে দুদিন বিদ্যালয় মনিটরিং করা যায় না।'
মিঠামইন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আফজাল হোসেন জানান, তাঁর উপজেলায় ৩৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও চালু আছে ৩৬টি। বেসরকারি স্কুল আছে ৩১টি।
অষ্টগ্রাম উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, অষ্টগ্রামে ৪৫টি সরকারি ও ২৫টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। আফজাল হোসেন ও রেজাউল করিম জানান, হাওরের চিরকালীন সমস্যা হচ্ছে যোগাযোগ। একটি গ্রাম আরেকটি গ্রাম থেকে বিচ্ছিন্ন। বর্ষায় দ্বীপের মতো ভাসতে থাকে এগুলো। এ ছয় মাস মানুষের কোনো কাজ থাকে না। রীতিমতো গৃহবন্দি অবস্থা। শিশুদেরও তাদের অভিভাবকরা ঘর থেকে বের হতে দিতে চান না। তাই এ সময় বিদ্যালয়ে উপস্থিতি কম থাকে। তাঁরা জানান, বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদসহ সবগুলো কমিটিকে সক্রিয় করার চেষ্টা হচ্ছে। মানুষ সচেতন হলে দারিদ্র্য পড়াশোনায় তেমন সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে না।
করিমগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মুখলেছুর রহমান বলেন, হাওরের সমস্যাগুলো সারা দেশের সঙ্গে একরকম করে বিবেচনা না করে অন্যভাবে দেখা প্রয়োজন।
ইটনা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবু সাদাত মো. সায়েম বলেন, শিক্ষকদের হাওর ভাতা, শিক্ষার্থীদের শতভাগ উপবৃত্তি, স্কুলে একবেলা আহারের ব্যবস্থা করা গেলে হাওরাঞ্চলের ভঙ্গুর শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতি হবে। শিক্ষকদের প্রণোদনা দেওয়া গেলে তাঁরা শিক্ষা কাজে মনোযোগী হবেন।
No comments