সম্পাদকীয় সমীপে- উদ্বেগের বিষয়
সংবাদপত্রে প্রকাশিত বিভিন্ন তথ্যাদি অনুযায়ী বর্তমানে পাকিস্তানের অস্ত্রভা-ারে পরমাণু বোমার সংখ্যা বহু আগেই একশত ছাড়িয়ে গেছে। এবং শীঘ্রই তা দ্বিগুণ হবে। যা নাকি ভারতের পরমাণু বোমা সংখ্যার প্রায় দ্বিগুণ।
এসব পরমাণু বোমা বহনক্ষম পর্যাপ্ত ক্ষেপণাস্ত্রও তৈরি রয়েছে। পাক-ভারত সম্পর্ক সাম্প্রতিককালে বাহ্যিকভাবে অনুকূল মনে হলেও বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ভেতরে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। অপরদিকে চীন-ভারত সীমান্তে উভয় দেশের সমরপ্রস্তুতি ক্রমেই জোরদার হচ্ছে। এবং চীন ভারতের এক বিস্তীর্ণ এলাকা নিজের বলে দাবি করছে। অনুরূপ প্রেক্ষাপটে চীন-ভারত সীমান্ত সংঘর্ষ যে কোন সময় ত্রিদেশীয় রূপ নিতে পারে এবং তা পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র যুদ্ধের রূপ নেয়া বিচিত্র নয়। এ ধরনের এক অবস্থায় পাকিস্তানের কোন ক্ষেপণাস্ত্র বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে যাকে পাকিস্তান ‘দুর্ঘটনাবশত’ ঘটেছে বলে চালিয়ে দিতে পারে। বিশেষত স্বাধীনতার পক্ষে কোন সরকার যদি তখন ক্ষমতাসীন থাকে। আমাদের প্রতি তাদের ক্রোধ মিটানোর সুযোগ হিসাবে তারা একে গ্রহণ করতে পারে। কিন্তু, প্রশ্ন হলো অনুরূপ অবস্থায় আমাদের দেশে তথা জনগণকে রক্ষার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা কি?মীর মাহফুজুর রহমান
কাঁঠালবাগান, ঢাকা।
No comments