ডিজিটাল যুগের পেশা ॥ ইন্টারনেটই মূল কেন্দ্র
অনেক দেরিতে হলেও আমরা আমাদের দেশ-কাল-সমাজের ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচী ঘোষণা করেছি। এখন নানাভাবে সেই কর্মসূচীকে আমরা ব্যাখ্যা করছি। এর বিভিন্ন দিক আলোচিত হচ্ছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশের নানাদিক প্রয়োগ করা নিয়েও আমরা কম কথা বলিনি। ডিজিটাল সরকার, ডিজিটাল সেবা, ডিজিটাল শিক্ষাব্যবস্থা সবই আমাদের আলোচনায় আসছে। দিন যতই যাবে এটি হয়ত চলতেই থাকবে। সম্ভবত এখনও আমরা এই কর্মসূচীর সঙ্গে মানুষের পেশার পরিবর্তনের বিষয়টি ব্যাখ্যা করিনি। আমার কাছে মনে হচ্ছে বিষয়টি খুবই জরুরী। অন্ততপক্ষে আমাদের এই বিষয়টি আলোচনা করে নিশ্চিত হওয়া দরকার যেÑযুগ পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যমান পেশাগুলোর রূপান্তর কেমন হবে এবং নতুন পেশার উদ্ভব কেমন করে হবে। এর সঙ্গে আমাদের নতুন প্রজন্মের ভবিষ্যতের জীবন ও শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তনের বিষয়টি যুক্ত রয়েছে। কারণ আমরা যদি পেশার পরিবর্তনের সঙ্গে শিক্ষার পরিবর্তনকে সম্পৃক্ত ও সমন্বিত করতে না পারি তবে শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে।এই সময় আমাদের দেশে আউটসোর্সিং নিয়ে প্রচুর কথাবার্তা হচ্ছে। এটি একেবারেই নতুন পেশা। বস্তুত এটি পেশা নয়। এটি একটি পদ্ধতি, যার সঙ্গে যুক্ত আছে প্রায় পাঁচ হাজার রকমের পেশা। কালক্রমে এমন অনেক পেশার জন্ম হবে। অন্যদিকে বিদ্যমান বা নবাগত অনেক পেশা বিলুপ্ত হবে। বিশেষ করে কৃষি যুগ ও শিল্প যুগে যেসব পেশার বিস্তার ঘটেছিল সেসব পেশা বিলুপ্ত বা রূপান্তর হতে বাধ্য।
আমি লক্ষ্য করেছি, চলমান পেশা পরিবর্তনের বিষয়টি অনেকেই বিশ্বাস করতে পারেন না। অথচ ২০০০ সালের মে মাসের টাইম পত্রিকায় যেমনটি বলা হয়েছিল তার চাইতেও স্পষ্টভাবে আমি বলে এসেছি; পেশার পরিবর্তনটা অনিবার্য। ১২ বছর পর এখন অনেকে অনুভব করতে শুরু করেছেন যে আমরা একযুগ আগে সঠিক কথাই বলেছিলাম।
কয়েক বছর আগেও আমরা ভাবতেই পারতাম না যে, ইন্টারনেট আমাদের আয়ের উৎস বা কাজের ক্ষেত্র হতে পারে। অথচ অনেকে এরই মাঝে এ কাজে যুক্ত হয়েছেন। অনেকেই এতে যুক্ত হবার অপেক্ষায়। কিন্তু কারও কাছেই নতুন এই পেশার তত্ত্বীয় ও প্রায়োগিক কোন বিষয় সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা নেই। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে ব্যাপকভাবে। সেমিনার-সিম্পোজিয়াম হচ্ছে। সরকারের সাপোর্ট টু ডিজিটাল বাংলাদেশ বা এটুআই বিষয়টি নিয়ে ব্যাপকভাবে মাঠে নেমেছে। বেসরকারী সংস্থাগুলোও আউটসোর্সিং নিয়ে কাজ করছে। নানা ধরনের কোম্পানির জন্ম হচ্ছে। প্রশিক্ষণ হচ্ছে। আবার প্রতারণাও হচ্ছে। সে কথাটি মাথায় রেখে আমি দু’টি ভাগে ডিজিটাল বাংলাদেশের পেশার পরিবর্তন ও নতুন পেশার উদ্ভব নিয়ে লিখছি।
এই লেখাটি আমি দু’টি অংশে বিভক্ত করছি। প্রথম অংশটি হচ্ছেÑ ডিজিটাল যুগের পেশার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা; যার শিরোনাম হচ্ছেÑপেশার বিবর্তন ও ডিজিটাল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় অংশটি হলোÑফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং। আমাদের নতুন প্রজন্মের মানুষ বিশেষত শিক্ষার্থী ও নিজের পেশা গড়ে তোলায় আগ্রহী মানুষরা লেখাটি থেকে নানাভাবে উপকৃত হবেন বলে আশা করি।
পেশার বিবর্তন ও ডিজিটাল বাংলাদেশ: এরই মাঝে আমরা একুশ শতক তথা তথ্যযুগে প্রবেশ করে এক দশকেরও বেশি সময় পার করে ফেলেছি। ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলেছি, সেটিও কয়েক বছর পার হলো। আমাদের সামনে একদিকে শত সম্ভাবনা ও শত আকর্ষণ; অন্যদিকে শত সমস্যা, অনেক চ্যালেঞ্জ ও শত সঙ্কট। আমাদের চোখের সামনে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কাসহ প্রায় সবাই এই ডিজিটাল রেসে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। মাল্টিমিডিয়া, সফটওয়্যারের কাজ, ব্যাক অফিস প্রসেসিং ইত্যাদি খাতে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করছে তারা। অথচ ডাটা এন্ট্রি, ওয়াপ কনর্ভাসন, ওয়াই টু কের কাজসহ আমরা কয়েকটি মহাসুযোগ এরই মাঝে হাতছাড়া করেছি। একে তো আমরা নিজেরা এর জন্য প্রস্তুত ছিলাম না; অন্যদিকে আমাদের রাষ্ট্র ও সরকার এজন্য মোটেই সহায়ক ছিল না।
আমরা নীতি ও পরিকল্পনায় পিছিয়ে ছিলাম দারুণভাবে। ১৯৮৬ সালে যেখানে ভারতের আইসিটি নীতিমালা প্রণীত হয় আমরা সেখানে একটি কার্যকর নীতিমালা পাই ২০০৯ সালে। ১৯৯২ সালে আমাদের যে ফাইবার অপটিক্স ব্যাকবোনে যুক্ত হবার কথা, তা ২০০৬ সালে চালু হয়। এখনও (২০১২ সালে) একটি মাত্র কেবলের ওপর ভরসা আমাদের। যদিও ৬টি টেরিস্টোরিয়াল লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে তবুও তার কার্যকারিতা এখনও আমরা দেখছি না। এমনকি ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং, আইটি এনেবল সার্ভিসেস-এর মেডিক্যাল-লিগ্যাল ট্রান্সক্রিপশন, কল সেন্টার, ব্যাক অফিস প্রসেসিং, গ্রাফিক্স সেবা, ২ডি-৩ডি এনিমেশন, ক্যাড কনভারশন, ই-লানির্ং, মাল্টিমিডিয়া প্রোগ্রামিং ইত্যাদি ক্ষেত্রেও এখন যেসব সম্ভাবনা রয়েছে তার কোনটির ক্ষেত্রেই আমরা তেমন কোন বড় সফলতার পরিকল্পনা করতে পারিনি। আমরা একেকবার একেকটি হুজুগে মাতি এবং সেই হুজুগ শেষ হলে আবার ঝিমিয়ে পড়ি। অথচ ২০১১ সালের ২ ডিসেম্বর (ই-এশিয়া সম্মেলনে) বিদেশীরা ঢাকায় বসে বলে গেলেন যে, আমরা খুব সহজেই বছরে ৫ বিলিয়ন ডলার আয় করতে পারি বিদেশের কাজ করে। গত ২১ নবেম্বর ২০১১ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতও বললেন, আগামী ৫ বছরে আমরা আইসিটি খাত থেকে গার্মেন্টসের চাইতে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আয় করব। অথচ এই খাত থেকে আমাদের এখনকার আয় মাত্র ১০০ মিলিয়নের কাছাকাছি। এই খাতে আমাদের প্রবৃদ্ধি শতকরা ২০ বা ২৫ ভাগের বেশি নয়। এমন অবস্থায় এটি প্রায় অবিশ্বাস্য মনে হয় যে, কেমন করে আমরা ৫০ মিলিয়ন থেকে ৫ বিলিয়নে যেতে পারব। শত শত বা কয়েক হাজার মানুষ এই পরিবর্তনটি করতে পারবে না। যেমনটি গার্মেন্টস শিল্প খাতে হয়েছে তেমনটি না হলেও একটি কাছাকাছি অ্েঙ্কর মানুষ যদি এই খাতে যুক্ত হতে না পারে তবে আমরা বিলিয়ন ডলারের স্বপ্ন দেখতেই পাব না।
শিক্ষিত তরুণের বেকারত্ব: বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যাটি আমরা বলতে গেলে আলোচনাই করি না। সমস্যাটি হলো: শিক্ষিত মানুষের বেকারত্ব। এর সংখ্যা কত সেটি বিবেচনার চাইতে গুরুত্বপূর্ণ হলো বাস্তব অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা। আমার জানা মতে, বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক মাস্টার্স করা মেয়ে এখন প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকতা করে। এসব মেয়ের কেউ কেউ হাজারচারেক টাকা বেতনের এই চাকরির জন্য তিন লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিয়েছে। আমি কিছু মেয়েকে জানি যারা কেজি স্কুলে শিক্ষকতা করে মাসিক ৮ শ’ টাকা বেতনে। ছেলেদের বেকারত্ব আরও অসহনীয়। মাত্র ৪ হাজার বিসিএস চাকরির জন্য কয় লাখ তরুণ-তরুণী পরীক্ষা দেয় সেটি আমরা পত্রিকার পাতায় প্রতিবছরই দেখি। এসব বাস্তবতা এটিই প্রমাণ করে, দেশে শিক্ষিত মানুষের কর্মসংস্থান নেই। যেটুকু কর্মসংস্থান আছে সেটিও যোগ্যতার তূলনায় নিম্নমানের। সেটি অর্ধ বেকারত্ব।
যাহোক, আমাদের জন্য এখন যেমন রফতানি আয় বাড়ানো প্রয়োজন তেমনি জাতীয় সঙ্কট হচ্ছে বেকারত্ব দূর করা। জাতীয় উন্নয়ন বা রফতানি বাজার সম্প্রসারণের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন আমাদের তরুণদের আপন অস্তিত্ব বাঁচিয়ে রাখা।
বেকারত্বের দিকে তাকালে এটি মনে হতে পারে, আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্র একটি টাইমবোমা বা আগ্নেয়গিরির ওপর বসে আছে। যেকোন সময় বোমাটির প্রচ- বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। সেই বোমাটির নাম শিক্ষিত তরুণের বেকারত্ব। ২০০২ সালে বাংলাদেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা ছিল দেড় কোটি। এফবিসিসিআইয়ের মতে, প্রতিবছর ২৭ লাখ শিক্ষিত লোকের মাত্র ৭ লাখের কর্ম সংস্থান হতে পারে। ফলে অন্য ২০ লাখ শিক্ষিত লোক বেকারের খাতায় নাম লেখায়। ফলে বিগত দশ বছরে আরও ২ কোটি নতুন বেকার তৈরি হবার কথা। আমাদের ধারণা, দশ বছরে নানাভাবে এই বেকারত্ব ২০০২ সালের গতিতে প্রবাহিত হয়নি। বরং অনুমিত হচ্ছে, বেকারের সংখ্যা এখনও দুই কোটির কাছাকাছিতেই আছে। এই সংখ্যাটিও ছোট নয়, আমাদের মতো দরিদ্র দেশের জন্য বরং ভয়ঙ্কর। জাতীয় সংসদে প্রদত্ত হিসাব অনুসারে দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকা ১৯৯৮ সালের জুন পর্যন্ত শিক্ষিত বেকারের একটি হিসাব প্রদান করেছিল। অনেক পুরনো সেই হিসাবটি এ রকম: এসএসসি বা তার নিচে ৬৪ লাখ ৪৪ হাজার, এসএসসি পাস ২১ লাখ ১৯ হাজার, এইচএসসি পাস ১৩ লাখ ৩৭ হাজার, গ্র্যাজুয়েট ১ লাখ ১০ হাজার, মাস্টার্স ২৬ হাজার।
যদিও সরকারী কোন হিসাব এরপরে আমরা পাইনি, তবুও বিগত বছরগুলোতে এই হিসাবটির অবয়ব কি হয়েছে তা সহজেই অনুমেয়। পাস করা শিক্ষিত লোকের বাইরে যদি ফেল করাদেরও যোগ করা হয় তবে অবস্থার স্বরূপটি কি হবে তা ভাবলে গা শিউরে ওঠে। কিন্তু তারপরও আমাদের রাষ্ট্রে, সমাজে সরকারের এ নিয়ে কি গভীর কোন ভাবনা আমরা দেখতে পাই? জবাবটি নিঃসন্দেহে, না।
আমাদের সম্পদ সীমিত। নেই প্রযুক্তিকে বিকশিত করার মতো পর্যাপ্ত অর্থ। নেই সুষ্ঠু স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতি। এক সরকার তথ্য প্রযুক্তিকে গুরুত্ব দিলে পরের সরকার তাকে হিমঘরে পাঠায়। বিশেষ করে বেগম খালেদা জিয়ার সরকার ২০০১ থেকে ২০০৬ সময়কালে তথ্যপ্রযুক্তির সকল সম্ভাবনাকে নিশ্চিহ্ন করে রেখে গেছেন। বর্তমান সরকার সেই প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া আইসিটি খাতে একটু সচল করতে ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা দিয়েছে এবং তিন বছরে অনেকটাই গতি ফিরিয়ে এনেছে। কিন্তু একবার যদি পিছিয়েপড়া যায় তবে সামনে এগিয়ে আসা কঠিন হয়ে পড়ে।
এ দেশে ভারি শিল্পের বিকাশ ঘটার অনুকূল পরিবেশ কখনও তৈরি হয়নি। ফলে আমরা ভারি শিল্প গড়ে তুলতে পারিনি। ফলে শিল্প বলতে আমরা বুঝি গার্মেন্টস। কিন্তু সেই খাতেও আর কত প্রবৃদ্ধি হতে পারে এটি নিশ্চিত করে বলা যায় না। তাছাড়া এই খাতে শিক্ষিত লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সীমিত। এখানে স্বল্পশিক্ষিত বা অশিক্ষিত মহিলাদের কর্মসংস্থান হয়ে থাকে। শিক্ষিত লোকের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র হিসেবে ক্ষুদ্র বা কৃষিভিত্তিক শিল্প থেকেও তেমন বড় কোন সাফল্য আসছে না। আদমজী পাটকলের সঙ্গে সঙ্গে পাট তো বিদায় হয়েছে। বিদায়ের পথে রয়েছে চা। এমন অবস্থায় মেধাভিত্তিক শিল্প গড়ে তোলা বা আইসিটি প্রফেশনাল রফতানি করা ছাড়া এদেশের ভবিষ্যত সমৃদ্ধির আর কোন উপায় আছে বলে আমার মনে হয় না।
বাংলাদেশের জন্য মানবসম্পদকে কেন্দ্র করে এই মুহূর্তে একটি বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এই চ্যালেঞ্জটি মোকাবেলা করতে না পারলে এই দেশ তার নিজের মানবসম্পদকে বিশ্ববাজারের উপযোগী করতে পারবে না।
চ্যালেঞ্জ হলো গার্মেন্টস খাতে স্বল্পশিক্ষিত ও প্রায় অদক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান করে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের মতোই বিপুলসংখ্যক শিক্ষিত মানুষদের কর্মসংস্থান করে আরও একটি রফতানিমুখী শিল্প গড়ে তোলা। এটি কেবল গার্মেন্টসের একটি বিকল্প তৈরি করা নয় বরং এটি হলো দেশকে মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত করার জন্য জাতীয় সম্পদ সৃষ্টির একটি উপায়। ডিজিটাল যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এই শিল্প এলাকাটি হবে মেধাভিত্তিক শিল্প। আমাদের বিদ্যমান আর্থ- সামাজিক অবস্থার প্রেক্ষিতে এটি কেবল একটি স্বপ্ন নয় একটি ভীষণ প্রয়োজনীয় আকাক্সক্ষা। যদি শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের কর্মসংস্থান দেয়া না যায় তবে এই একটি সঙ্কটই দেশের সকল অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দেবে।
অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, চ্যালেঞ্জটি মোকাবেলার জন্য বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করা। এর প্রকৃত উদ্দেশ্য, শিক্ষিত লোকদের কর্মসংস্থানের মূল ভিত্তি দক্ষতা সৃষ্টি করা।
এটি চূড়ান্ত পর্যায়ের চ্যালেঞ্জ। এজন্য যে একদিকে প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা শিক্ষিত লোকদের দক্ষতা তৈরিতে সহায়ক নয়, দ্বিতীয়ত দক্ষতা না থাকলে সার্টিফিকেট দিয়ে কর্মসংস্থান হতে পারে না। তৃতীয়ত প্রত্যহ নতুন নতুন সার্টিফিকেটধারী কৃষি ও অদক্ষ শ্রমিক খাত থেকে শিক্ষিত খাতে উত্তীর্ণ হচ্ছে।
ঢাকা, ১৭ জানুয়ারি ২০১৩ ॥ লেখক: তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, কলামিস্ট, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাস-এর চেয়ারম্যান- সাংবাদিক, বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যার এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারণা ও কর্মসূচীর প্রণেতা ॥ ই-মেইল : সঁংঃধভধলধননধৎ@মসধরষ.পড়স, ওয়েবপেজ: িি.িনরলড়ুবশঁংযব.হবঃ
No comments