বাদী আ.লীগ নেতা, ১১ বছর আগে চাঁদা দাবির অভিযোগ-মধ্যরাতে ইলিয়াস আলীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা!
নিখোঁজ’ বিএনপির নেতা এম ইলিয়াস আলীর বিরুদ্ধে তাঁর নিজ এলাকা সিলেটের বিশ্বনাথ থানায় আওয়ামী লীগের এক নেতা দুটি মামলা করেছেন। গত বুধবার মধ্যরাতে দলের বিশ্বনাথ উপজেলা শ্রমবিষয়ক সম্পাদক বশারত আলী ওরফে বাশা মামলাটি করেন। মামলায় ইলিয়াসের বিরুদ্ধে ২০০১ সালে চাঁদা দাবি করে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ আনা হয়েছে।
বিশ্বনাথ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ দুটি মামলা রাতেই লিপিবদ্ধ করার কথা স্বীকার করেন। একটি এজাহার কপিতে দাখিল করা অভিযোগ দুটি মামলা হিসেবে লিপিবদ্ধ করা হয়। একটি চাঁদাবাজি (নম্বর ১০) এবং অপরটি বিস্ফোরক মামলা (নম্বর ১১)। মামলায় ইলিয়াস ছাড়াও বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি সোহেল আহমদ চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক কলমদর আলী, উপজেলা যুবদলের সদস্য আজাদ নূরকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় আরও ১৪ থেকে ১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি উল্লেখ করা হয়।
মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, বিশ্বনাথের রামপাশা রোডে ‘সোনার বাংলা হোটেল’ নামে বশারতের মালিকানাধীন রেস্তোরাঁয় ইলিয়াস আলী ২০০১ সালের ১০ অক্টোবর লোক মারফত ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদার টাকা না দেওয়ায় ১৫ অক্টোবর ইলিয়াস সশস্ত্র অবস্থায় দলবলসহ রেস্তোরাঁয় গিয়ে ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগ করেন। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে।
মামলার অভিযোগে বর্ণিত ওই ঘটনার সময় ইলিয়াস সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-বালাগঞ্জ) আসনে চারদলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে সদ্য নির্বাচিত সাংসদ ছিলেন। প্রায় ১১ বছর আগের ঘটনা এবং ইলিয়াস নিখোঁজ হওয়ার পরপরই মামলা দায়ের করা নিয়ে থানায় কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে বিসঞ্চয়ের সৃষ্টি হয়। রাত প্রায় দুইটায় বাদী বশারত থানায় উপস্থিত হলে পুলিশের স্থানীয় কর্মকর্তারা প্রায় আধা ঘণ্টা এ বিষয়ে পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে নির্দেশনা পেয়ে মামলা লিপিবদ্ধ করা হয় বলে থানা সূত্র জানায়।
তবে এ ব্যাপারে রাতে সিলেটের পুলিশ সুপার শাখাওয়াত হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, ‘যেহেতু বাদী অভিযোগ দিয়েছেন, সে জন্য মামলা হিসেবে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে তদন্ত করে দেখা হবে।’
মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে বাদী বশারত আলী বলেন, ‘অতীতে বিভিন্ন সময় আমি মামলা করার জন্য আবেদন করেছিলাম। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। এখন সময় এসেছে, তাই মামলা করেছি।’ বশারত বলেন, ‘ওই ঘটনায় ইলিয়াস ক্ষমতার দাপটে উল্টো মামলা করেছিলেন। মামলায় আমি ও আমার ছেলে জেল পর্যন্ত খেটেছিলাম।’
মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, বিশ্বনাথের রামপাশা রোডে ‘সোনার বাংলা হোটেল’ নামে বশারতের মালিকানাধীন রেস্তোরাঁয় ইলিয়াস আলী ২০০১ সালের ১০ অক্টোবর লোক মারফত ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদার টাকা না দেওয়ায় ১৫ অক্টোবর ইলিয়াস সশস্ত্র অবস্থায় দলবলসহ রেস্তোরাঁয় গিয়ে ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগ করেন। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে।
মামলার অভিযোগে বর্ণিত ওই ঘটনার সময় ইলিয়াস সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-বালাগঞ্জ) আসনে চারদলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে সদ্য নির্বাচিত সাংসদ ছিলেন। প্রায় ১১ বছর আগের ঘটনা এবং ইলিয়াস নিখোঁজ হওয়ার পরপরই মামলা দায়ের করা নিয়ে থানায় কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে বিসঞ্চয়ের সৃষ্টি হয়। রাত প্রায় দুইটায় বাদী বশারত থানায় উপস্থিত হলে পুলিশের স্থানীয় কর্মকর্তারা প্রায় আধা ঘণ্টা এ বিষয়ে পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে নির্দেশনা পেয়ে মামলা লিপিবদ্ধ করা হয় বলে থানা সূত্র জানায়।
তবে এ ব্যাপারে রাতে সিলেটের পুলিশ সুপার শাখাওয়াত হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, ‘যেহেতু বাদী অভিযোগ দিয়েছেন, সে জন্য মামলা হিসেবে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে তদন্ত করে দেখা হবে।’
মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে বাদী বশারত আলী বলেন, ‘অতীতে বিভিন্ন সময় আমি মামলা করার জন্য আবেদন করেছিলাম। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। এখন সময় এসেছে, তাই মামলা করেছি।’ বশারত বলেন, ‘ওই ঘটনায় ইলিয়াস ক্ষমতার দাপটে উল্টো মামলা করেছিলেন। মামলায় আমি ও আমার ছেলে জেল পর্যন্ত খেটেছিলাম।’
No comments