বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক-সমতার ভিত্তিতে সমস্যার সমাধান হোক
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সীমান্ত সমস্যা নিয়ে দুই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনা এবং বেশ কিছু মতৈক্য হয়েছে। বৈঠক শেষে উভয় দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই অনেক বিরোধ নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। আশা করা যাচ্ছে, আগামী সেপ্টেম্বরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফরের সময় অনিষ্পন্ন বিষয়গুলোও চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হবে এবং চুক্তি সই হবে।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রায় চার হাজার কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। প্রচুর ছিটমহল রয়েছে এবং সেগুলোতে দুই দেশের ৫১ হাজার অধিবাসী দীর্ঘর্দিন ধরে মানবেতর জীবনযাপন করছে। মাদকসহ বিভিন্ন পণ্যের চোরাচালান, নারী ও শিশু পাচার, এক দেশের অপরাধীদের অন্য দেশে আশ্রয় গ্রহণ ইত্যাদি দুটি দেশেরই অর্থনীতি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ঝুঁকি বাড়িয়ে চলেছে। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী তথা বিএসএফের গুলিতে প্রতিবছরই বহু বাংলাদেশি মারা পড়ছে। দীর্ঘদিন ধরে এসব সমস্যা ব্যাপকভাবে আলোচিত হলেও কোনো সমাধানের দিকে এগোচ্ছিল না। এর অন্যতম কারণ ছিল, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের শীতলতা। বর্তমান মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক পুনরায় স্বাভাবিকতা পেতে শুরু করে। তারই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ দুই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে অত্যন্ত সফল একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো। আমরা আশা করি, এই ধারাবাহিকতা ভবিষ্যতেও অক্ষুণ্ন থাকবে এবং উন্নয়নশীল প্রতিবেশী দুটি দেশ পরস্পরের হাত ধরাধরি করে উন্নতির শিখরের দিকে এগিয়ে যাবে।
শুধু সীমান্ত সমস্যাই নয়, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অর্ধশতাধিক অভিন্ন নদী রয়েছে। বেশ কিছু নদীতে ভারত একতরফাভাবে বাঁধ তৈরি করায় বাংলাদেশের কৃষি ও পরিবেশ মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। এ সমস্যার সমাধানও অত্যন্ত জরুরি। অপরদিকে, পরিবেশের ক্ষতি না করে অভিন্ন নদীগুলোকে কাজে লাগিয়ে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনসহ আর কী কী উপায়ে দুটি দেশই উপকৃত হতে পারে, সেসব বিষয়ে ভাবতে হবে। ভারত যেমন বাংলাদেশের ওপর দিয়ে পণ্য পরিবহনের সুযোগ চায়, তেমনি বাংলাদেশও ভারতের ওপর দিয়ে নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে কানেক্টিভিটির মাধ্যমে ব্যাপকভাবে উপকৃত হতে পারে। আর তা করা গেলে মংলা বন্দরকে পুনরায় সচল করার মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেকটাই লাভবান হতে পারে। দুই দেশের মধ্যে বন্দি বিনিময় এবং চোরাচালান রোধে কার্যকর ও সম্মিলিত উদ্যোগ থাকা প্রয়োজন। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ আজ সারা দুনিয়ায়ই অন্যতম প্রধান সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। দুটি দেশের নিরীহ নাগরিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায়ও উভয়কে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে। সর্বোপরি দুটি দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে যে বিশাল ঘাটতি রয়েছে, তা কমিয়ে আনার জন্য কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।
ভারতের ক্ষমতাসীন জাতীয় কংগ্রেস দলের প্রধান সোনিয়া গান্ধীর সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফরের মাধ্যমেও সম্পর্কোন্নয়নের ক্ষেত্রে দুটি দেশের আন্তরিকতার অনেক পরিচয় পাওয়া গেছে। এই আন্তরিকতাকে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজে লাগাতে হবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার অব্যবহিত পরে দুটি দেশের মধ্যে যে ধরনের ভ্রাতৃত্বপূর্ণ ও সৌহার্দ্যমূলক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং যার ভিত্তিতে মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, প্রতিবেশী দুটি দেশের মধ্যে তেমন একটা কার্যকর সম্পর্কই আমাদের কাম্য। এখানে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ থাকবে, সহযোগিতার মনোভাব থাকবে এবং আলোচনার মাধ্যমে ন্যায়সংগতভাবে সব সমস্যার সমাধান হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, প্রতিবেশীর সঙ্গে বৈরিতার মাধ্যমে কোনো পক্ষই লাভবান হতে পারে না, বরং সহযোগিতার মাধ্যমে উভয় দেশই উপকৃত হতে পারে।
শুধু সীমান্ত সমস্যাই নয়, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অর্ধশতাধিক অভিন্ন নদী রয়েছে। বেশ কিছু নদীতে ভারত একতরফাভাবে বাঁধ তৈরি করায় বাংলাদেশের কৃষি ও পরিবেশ মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। এ সমস্যার সমাধানও অত্যন্ত জরুরি। অপরদিকে, পরিবেশের ক্ষতি না করে অভিন্ন নদীগুলোকে কাজে লাগিয়ে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনসহ আর কী কী উপায়ে দুটি দেশই উপকৃত হতে পারে, সেসব বিষয়ে ভাবতে হবে। ভারত যেমন বাংলাদেশের ওপর দিয়ে পণ্য পরিবহনের সুযোগ চায়, তেমনি বাংলাদেশও ভারতের ওপর দিয়ে নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে কানেক্টিভিটির মাধ্যমে ব্যাপকভাবে উপকৃত হতে পারে। আর তা করা গেলে মংলা বন্দরকে পুনরায় সচল করার মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেকটাই লাভবান হতে পারে। দুই দেশের মধ্যে বন্দি বিনিময় এবং চোরাচালান রোধে কার্যকর ও সম্মিলিত উদ্যোগ থাকা প্রয়োজন। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ আজ সারা দুনিয়ায়ই অন্যতম প্রধান সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। দুটি দেশের নিরীহ নাগরিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায়ও উভয়কে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে। সর্বোপরি দুটি দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে যে বিশাল ঘাটতি রয়েছে, তা কমিয়ে আনার জন্য কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।
ভারতের ক্ষমতাসীন জাতীয় কংগ্রেস দলের প্রধান সোনিয়া গান্ধীর সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফরের মাধ্যমেও সম্পর্কোন্নয়নের ক্ষেত্রে দুটি দেশের আন্তরিকতার অনেক পরিচয় পাওয়া গেছে। এই আন্তরিকতাকে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজে লাগাতে হবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার অব্যবহিত পরে দুটি দেশের মধ্যে যে ধরনের ভ্রাতৃত্বপূর্ণ ও সৌহার্দ্যমূলক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং যার ভিত্তিতে মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, প্রতিবেশী দুটি দেশের মধ্যে তেমন একটা কার্যকর সম্পর্কই আমাদের কাম্য। এখানে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ থাকবে, সহযোগিতার মনোভাব থাকবে এবং আলোচনার মাধ্যমে ন্যায়সংগতভাবে সব সমস্যার সমাধান হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, প্রতিবেশীর সঙ্গে বৈরিতার মাধ্যমে কোনো পক্ষই লাভবান হতে পারে না, বরং সহযোগিতার মাধ্যমে উভয় দেশই উপকৃত হতে পারে।
No comments