রংপুরে আনন্দ র্যালি
সংবাদদাতা, রংপুর থেকে জানান, অবশেষে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে রংপুরবাসীর প্রাণের দাবি রংপুর বিভাগ বাসত্মবায়নের চূড়ানত্ম অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তাৎৰণিক বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে এ খবর রংপুরবাসীর মাঝে ছড়িয়ে পড়লে আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে ওঠে এ অঞ্চলের মানুষ। আনন্দের বহিপর্্রকাশ ঘটাতে গতকাল বিকেল থেকে রাত পর্যনত্ম জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠন, জেলা জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক সংগঠনের পৰ থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও আনন্দ র্যালি বের করা হয়।
এ ছাড়াও এ আনন্দঘন পরিবেশকে আরও আনন্দময় করে তুলতে মিষ্টি বিতরণসহ একে অপরকে জড়িয়ে ধরে আনন্দের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে দেখা যায় শহরবাসীর মাঝে। রংপুর বিভাগ অনুমোদনের বিষয়টি গতকাল সরকারীভাবে অনুমোদন পাওয়ায় বিভাগ বাসত্মবায়নের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে করে আসা আন্দোলন-সংগ্রামের সুফল পেয়েছে রংপুরসহ ৮ জেলার জনসাধারণ। পাশাপাশি রংপুর বিভাগ অনুমোদনের মধ্য দিয়ে মহাজোট সরকারের একটি নির্বাচনী ইশতেহার পূরণ হওয়ায় রংপুরের বিভিন্ন সত্মরের মানুষ এ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে অভিনন্দনও জানিয়েছেন। এখন তারা অধীর আগ্রহে অপেৰা করছেন বিভাগ ঘোষণার সেই মাহেন্দ্রৰণটির জন্য।ভৌগোলিক অবস্থান এবং জনসংখ্যার দিক দিয়ে রংপুর বিভাগ বাসত্মবায়নের দাবি রংপুরবাসীর অনেক পুরনো। পরে তা প্রাণের দাবিতে রূপ নেয়। এনিয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছিল। দাবি বাসত্মবায়নে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনসহ সর্বসত্মরের মানুষ এবং শিা প্রতিষ্ঠানগুলোও লাগাতার বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করতে থাকে। এসব কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে বিভাগ বাসত্মবায়নের দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠে তারা। রংপুরবাসীর ওইসব কর্মসুচীতে যোগ দেয় রংপুর ও দিনাজপুরসহ অন্য ৬ জেলার সাধারণ জনগণ। এনিয়ে বিগত সময় মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রীসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্তাব্যক্তিরা রংপুরে এসে এ অঞ্চলের মানুষকে নানাভাবে আশ্বসত্ম করলেও রংপুর বিভাগ বাসত্মবায়ন হয়নি। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে রংপুর বিভাগ ঘোষণা করা হলেও তা বাসত্মবে রূপ পায়নি।
পরবর্তীতে চারদলীয় জোট সরকার মতায় এসে বিভাগ বাসত্মবায়নের বিষয়ে কোন পদপেই গ্রহণ করেনি। ফলে রংপুর অঞ্চলের মানুষকে দীর্ঘ ৫টি বছর হতাশায় কাটাতে হয়। কিন্তু এবারের নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগ রংপুর বিভাগ বাসত্মবায়নের বিষয়টি স্থান দেয়ায় আবারও আশায় বুক বাঁধে এ অঞ্চলের মানুষ। এরই অংশ হিসেবে রাজশাহী বিভাগকে বিভক্ত করে রংপুর-দিনাজপুরের ৮ জেলা রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুর জেলা নিয়ে গতকাল প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রানত্ম জাতীয় কমিটির (নিকার) বৈঠকে রংপুর বিভাগের চূড়ানত্ম অনুমোদন দেয়া হয়। রংপুর বিভাগ গঠনের চূড়ানত্ম অনুমোদন পাওয়ার পর এখন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে রংপুর বিভাগের প্রজ্ঞাপন জারি করা হলেই বিভাগ ঘোষণার সার্বিক কার্যক্রম শুরম্ন করা হবে বলে সংশিস্নষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এর আগে মহাজোট সরকার মতা গ্রহণের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জাহিদ হোসেনকে প্রধান করে ৯ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দেয়া হয়। ওই কমিটি বিভিন্ন সময়ে বিভাগীয় সদর দপ্তরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বিভিন্ন দফতর, অধিদফতরের অফিস স্থাপন, প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ ও অর্থ বরাদ্দ, অর্থের উৎস, পুরনো এবং নতুন সীমানা নির্ধারণ করে সব ধরনের কার্যক্রম বাসত্মবায়নের পর একটি সুপারিশ তৈরি করে গত বছরের ১৩ জুলাই তা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব আবদুল আজিজের কাছে পেশ করে। দীর্ঘদিন ধরে সুপারিশটি যাচাই-বাছাইয়ের পর গতকাল তা অনুমোদনের জন্য নিকার-এর বৈঠকে উপস্থাপন করা হলে রংপুর বিভাগ বাসত্মবায়নের চূড়ানত্ম অনুমোদন দেয়া হয়।
পরিসংখ্যান বিভাগের সূত্রমতে, দেশের ৭ নম্বর বিভাগ হিসেবে সদ্য অনুমোদনপ্রাপ্ত রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় বর্তমান জনসংখ্যা আড়াই কোটিরও বেশি। বর্তমানে ওই ৮টি জেলাসহ মোট ১৬টি জেলা নিয়ে রাজশাহী বিভাগের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এদিকে গতকালের এ অনুমোদনের ঘোষণায় আনন্দে উদ্বেলিত উঠা রংপুরের সর্বসত্মরের মানুষ এখন অধীর আগ্রহে অপেৰা করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে কবে রংপুর বিভাগের ঘোষণা দেবেন।
এ প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচএম এরশাদ তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের মানুষ এবং জাতীয় পার্টিসহ আমি নিজেই প্রধানমন্ত্রী ও মহাজোট নেত্রী শেখ হাসিনার বিভাগ ঘোষণায় আনন্দিত এবং উৎফুলস্ন। তিনি বলেন, রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের ৮ জেলার প্রায় তিন কোটি মানুষের প্রাণের দাবি বাসত্মবায়নে মহাজোট ও জাতীয় পার্টির নির্বাচনী ইশতেহারে রংপুরকে আলাদ বিভাগ
ঘোষণার অঙ্গীকার ছিল। সেই দাবি অবশেষে পূরণ হওয়ায় আমরা প্রধানমন্ত্রী ও মহাজোট নেত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। তাকে আমরা রক্তিম অভিনন্দন জানাই। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অবিলম্বে বিভাগের অবকাঠামো নির্মাণসহ আনুষঙ্গিক কাজ শুরম্ন করার জন্য অনুরোধ জানান।
রংপুর-৩ (সদর) আসনের এমপি ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম রওশন এরশাদ তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, অবহেলিত রংপুর-দিনাজপুরের উন্নয়নে বিভাগ ঘোষণার কোন বিকল্প ছিল না। তিনি এই ঘোষণার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানান।
আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় নেতা ও রংপুর-৪ (কাউনিয়া-পীরগাছা) আসনের এমপি বিশিষ্ট শিল্পপতি ও মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুন্সি বলেন, রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের ৮ জেলার সংগ্রামী জনতার আশা-আকাঙ্ৰার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন রংপুরের পুত্রবধূ জননেত্রী শেখ হাসিনা বিভাগ ঘোষণার মধ্য দিয়ে রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের উন্নয়নে সার্বিক পদৰেপ গ্রহণ করেছেন। তিনি রংপুর বিভাগ ঘোষণার মধ্য দিয়ে বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কার্যক্রম আরও একধাপ এগিয়ে গেল বলে জানান। তিনি এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রংপুরবাসীর পৰ থেকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কোষাধ্যৰ ও রংপুর-৫ (মিঠাপুকুর) আসনের এমপি এইচএন আশিকুর রহমান বলেন, ২০০০ সালে আওয়ামী লীগ ৰমতায় থাকাকালে রংপুরের মিঠাপুকুরে প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনা রংপুরকে বিভাগ ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং কার্যক্রম শুরম্ন করেছিলেন। চারদলীয় জোটের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ৰমতায় এসে সে কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। মহাজোট এবার ৰমতায় আসার আগে তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বিভাগ ঘোষণার যে অঙ্গীকার করেছিল তা আজ বাসত্মবায়িত হলো। রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের খনিজ ও প্রাকৃতিক সম্পদ উত্তোলন ও ব্যবহার করে সার্বিক উন্নয়নসহ সারাদেশের সঙ্গে মঙ্গাকবলিত ও অবহেলিত এ অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়ন সারাদেশের সঙ্গে সম্পৃক্ত হবে। বিভাগ ঘোষণা সেই উন্নয়নের মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে বলে তিনি জানান।
রংপুর কারমাইকেল কলেজের অধ্যৰ প্রফেসর আব্দুল ওয়াদুদ তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, বিভাগীয় কার্যক্রম শুরম্ন হলে এ অঞ্চলের মানুষের আর্থসামজিক উন্নয়ন ঘটাসহ বর্তমান সরকারের সাফল্যের ধারাবাহিকতায় আরও একটি সাফল্য যুক্ত হবে।
রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক মুক্তিযোদ্ধা আবুল মনসুর আহমেদ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার মুখে যা বলে বাসত্মবে তাই করে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ রংপুর বিভাগ চূড়ানত্ম অনুমোদন পেল। এতে করে রংপুর অঞ্চলের আর্থ সামাজিক দৃশ্যপটও পাল্টে যাবে। সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নসহ নতুন কর্মস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ত্বরাম্বিত হবে।
জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোসত্মাফিজুর রহমান মোসত্মফা বলেন, আমরা চাই যত দ্রম্নত সম্ভব প্রধানমন্ত্রী রংপুর সফরে এসে বিভাগ ঘোষণাসহ ভিত্তিপ্রসত্মর স্থাপন করম্নক।
রংপুর পৌরসভার মেয়র একেএম আবদুর রউফ মানিক বলেন, রংপুর বিভাগ বাসত্মবায়ন এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের প্রানের দাবি। বিভাগ বাসত্মবায়ন হলে এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের ব্যাপক পরিবর্তন ঘটবে। গণতন্ত্রী পার্টির কেন্দ্রীয় সভাপতি মোহাম্মদ আফজাল বলেন, খুশি হয়েছি, অনেক আনন্দিত হয়েছি। অভিনন্দন জানাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারকে। যেহেতু তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে রংপুরকে বিভাগ করার অঙ্গীকার ছিল আজ সে অঙ্গীকার পুরণ হলো। এখন এর দ্রম্নত বাসত্মবায়নের দাবি জানান তিনি।
রংপুর প্রেসকাবের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সদরম্নল আলম দুলু তার প্রতিক্রিয়ায় রংপুরে কর্মরত সকল সাংবাদিকদের পৰ থেকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে বিভাগ বাসত্মবায়নের সার্বিক কর্মকা- দ্রম্নত সম্পন্ন করার আহ্বান জানিয়েছেন।
রংপুর চেম্বারের প্রেসিডেন্ট এটিএম শাহ্ নেওয়াজ বাবলু বর্তমান সরকারের এই উদ্যোগ রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের মানুষের আর্থ ও সমাজিক উন্নয়ন ঘটাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, বিভাগ বাসত্মবায়নের পাশাপাশি পাইপ লাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ করা হলে রংপুর অঞ্চলে ব্যাপক শিল্পকারখানা গড়ে তোলা সম্ভব হতো। এতে করে বেকারত্বসহ মঙ্গা নিরসন আরও সহজ হতো।
রংপুর জেলা উন্নয়ন সমন্বয় পরিষদের আহবায়ক চৌধুরী খালেকুজ্জামান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অঞ্চলের মানুষের আন্দোলন-সংগ্রামের প্রতি সম্মান জানিয়ে রংপুর বিভাগ ঘোষণা করতে শীঘ্রই রংপুর সফরে আসবেন এটাই আমাদের বিশ্বাস।
অভিযাত্রিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সভাপতি এ্যাডভোকেট এমএ বাশার টিপু তাঁর প্রতিক্রিয়ায় রংপুরবাসীর পৰ থেকে বর্তমান সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব রংপুরের মানুষের প্রাণের দাবি রংপুর বিভাগ ঘোষণা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আহ্বান জানিয়ে বলেন, এতে করে রংপুর অঞ্চলের মানুষের কাছে এ সরকারের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হবে।
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ডা. দেলওয়ার হোসেন বলেন, রংপুরসহ ৮ জেলার মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ও প্রত্যাশা পূরণ হলো। বিভাগ বাসত্মবায়নের মাধ্যমে এ অঞ্চলের মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে। এখন এর দ্রম্নত বাসত্মবায়ন প্রয়োজন।
বিশিষ্ট শিৰক মোনাব্বর হোসেন মনা বিভাগ অনুমোদনের ঘোষণায় এ অঞ্চলে শিৰার পরিবেশ আরও উন্নত হওয়াসহ সার্বিক উন্নয়ন ত্বরাম্বিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিশিষ্ট ছড়াকার ও লেখক এসএম খলিল বাবু তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বিভাগ বাসত্মবায়নের মাধ্যমে রংপুর অঞ্চলে সাংস্কৃতিক অঙ্গনের আমূল পরিবর্তন ঘটবে।
রিকশাচালক তমিজ উদ্দিন তার আনন্দের বহিপর্্রকাশ ঘটাতে স্থানীয় ভাষায় বলে ওঠেন শেখের বেটি হাসিনা ভোটের আগোত বিভাগ করার যে ওয়াদা করছিল মানুষের মুখত শোনতোছ আইজ সেই ওয়াদা নাকি পূরণ করিল। অমপুর বিভাগ হইলে হামার মতোন গরিব মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হইবে ইনশালস্নাহ।
No comments