আওয়ামী লীগ কাজ করে মানুষের উন্নয়নের জন্য ॥ প্রধানমন্ত্রী- গোপালগঞ্জে মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও বৃত্তি প্রদান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার সব সময়ই দেশ ও দেশের মানুষের জন্য পরিকল্পিত উন্নয়নের কাজ করে, কিন্তু অন্যরা করে নিজেদের জন্য।
আমাদের সংবিধানে বর্ণিত যেসব মৌলিক চাহিদার কথা বলা হয়েছে, আমরা তা নিশ্চিত করতে চাই। কিন্তু স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি বার বার সে উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করছে। যাদের চেতনা ও আদর্শ নিয়ে আমরা দেশ গড়ব, সেই চেতনা ও আদর্শকে নস্যাত করে দেয়া হয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে যাদের আমরা পরাজিত করেছিলাম, ১৫ আগস্টের পরবর্তী সরকার সেই পরাজিত শক্তির নীতি ও আদর্শকে পুনর্বাসিত করেছে। ফলে সেই পরাজিত শক্তির পদাঙ্ক অনুসরণের কারণেই বাংলাদেশ যে গতিতে এগোনোর কথা ছিল, তা এগোয়নি। তারপরও আমরা দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। শনিবার বেলা ১১টা ২২ মিনিটে গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় বঙ্গবন্ধু মাজার মসজিদ কমপ্লেক্সের বটতলায় ঢাকার গোপালগঞ্জ জেলা সমিতি আয়োজিত এইচএসসি, এসএসসি ও সমমানের জিপিএ-৫ প্রাপ্ত মেধাবী শিক্ষার্থীদের এক সংবর্ধনা ও বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তৃতাদানকালে তিনি এসব কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনের পর দেশে এক টাকাও রিজার্ভ ছিল না। সে সময় বঙ্গবন্ধু এ দেশকে গড়তে গিয়ে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন শিক্ষাকে। এ জন্য তিনি প্রাথমিক শিক্ষা অবৈতনিক করে দেন, প্রায় ৩৬ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সরকারীকরণ করেন এবং ১ লাখ ৫০ হাজার শিক্ষককে সরকারী চাকরির মর্যাদা দিয়েছিলেন। অথচ ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে এ দেশকে পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। আমাদের হাতে যদি পর্যাপ্ত অর্থ থাকতো, সকল শিক্ষা অবৈতনিক করে দিতাম। কারণ এটা হলো রাষ্ট্রের বিনিয়োগ।
বর্তমান শিক্ষার্থীরাই জাতির নেতৃত্ব দেবে এমন আকাক্সক্ষা ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, শিক্ষাই একমাত্র সম্পদÑ যা কেউ কেড়ে নিতে পরে না। শিক্ষা না থাকলে কোন দেশ বা জাতি উন্নত হতে পারে না। সে জন্য আমাদের সরকার সেদিকে লক্ষ্য রেখে সকল পদক্ষেপ নিচ্ছে। সেজন্য আমরা দেশের প্রায় প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিল্ডিং করে দিয়েছি, মসজিদ ও মন্দিরভিত্তক শিক্ষার ব্যবস্থা করেছি, এক কামরাবিশিষ্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে তিন কামরাবিশিষ্ট করে দিয়েছি। পার্বত্য এলাকায় আনন্দ স্কুল করে দিয়েছি। ১ লাখ ৪ হাজার শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করেছি। সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষার উপর আমরা বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছি। ১টা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৪টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় করেছি। লেদার টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয় করেছি। মেডিক্যাল কলেজসহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়িয়েছি। দেশে এখন ৪০ ভাগ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেয়া হচ্ছে। ঘরের ছেলেমেয়েরা ঘরে বসেই যাতে শিক্ষা নিতে পারে আমাদের সরকার সেভাবেই কাজ করে যাচ্ছে। সারাদেশে প্রথম পর্যায়ে মাধ্যমিক স্কুলগুলোয় এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রাথমিক স্কুলগুলোয় মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম করে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির দিনে আমাদের ছেলেমেয়েরা যাতে পিছিয়ে না থাকে সেজন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এখন থেকে ঘরে ঘরে আমাদের ছেলেমেয়েদের হাতে ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, আই ফোন, আইপড থাকবে। প্রযুক্তি শিক্ষার জন্য ইতিমধ্যে আমরা ২০ হাজার স্কুলে কম্পিউটার ল্যাব খুলে দিয়েছি। দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে তথ্য ও সেবাকেন্দ্র খুলে দেয়া হয়েছে। বেসরকারী খাতে মোবাইল ফোন উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। কম্পিটারের ট্যাক্স আগেই মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। মানুষের জীবনযাত্রা সহজ করে দিতে আমাদের সরকার সুপরিকল্পিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার পাশাপাশি খেলাধুলা, সাহিত্য চর্চা ও সাংস্কৃতিক চর্চার উপরও বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। এ জন্য তিনি শিক্ষক ও অভিভাবকদেরও অধিকতর যতœবান হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সোনার ছেলে চেয়েছিলেন। আমাদের ছেলেমেয়েরা সেভাবেই গড়ে উঠছে এবং গড়ে উঠবে। আমরা বাংলাদেশকে ক্ষুধামুক্ত ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তুলব। কৃষি খাতে আমরা যথেষ্ট উন্নয়ন করেছি এবং এ বছর ৩ কোটি ৪০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য উৎপাদন করেছি। এখন থেকে আমাদের খাদ্য সমস্যাও কমে যাবে।
ভাষণ শেষে প্রধানমন্ত্রী মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাতে মেডেল, সনদপত্র, বৃত্তির টাকা ও বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনীমূলক বই তুলে দেন।
ঢাকায় গোপালগঞ্জ জেলা সমিতির সভাপতি ও বাংলাদেশ রেড-ক্রিসেন্ট সোসাইটির সাবেক চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ম-লীর সদস্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি শেখ ফজলুল করিম সেলিম। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী লে. কর্নেল (অব) মুহাম্মদ ফারুক খান, প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ডা. মোদাচ্ছের আলী, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি এ্যাডভোকেট মোল্লা মোহম্মদ আবু কাওসার, সরকারী বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ এমএ হাই, এসএম মডেল গভঃ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শুকদেব ভক্ত, শিক্ষার্থী চৌধুরী সাজিদ আলম ও ফাতেমা-তুজ-জোহরা। শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্যে সোনার মানুষ হবই বলে প্রতিজ্ঞা করে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সমিতির সেক্রেটারি শৈলেন্দ্রনাথ মুজমদার। অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির সভাপতি ম-লীর সদস্য এ্যাডভোকেট কাজী ফিরোজ রশীদ উপস্থিত ছিলেন।
এরপর প্রধানমন্ত্রী ওই ভেন্যুতে থেকেই স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের টুঙ্গীপাড়া শাখার উদ্বোধন ঘোষণা করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআই সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ। এ সময় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএ ফারুকীসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী কোটালীপাড়ার ভাঙ্গারহাট ও রাধাগঞ্জ বাজারে অগ্নিকা-ে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানমালিক ও ব্যবসায়ীদের মাঝে চেক বিতরণ করেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জ ও টুঙ্গীপাড়ার বিভিন্ন কর্মসূচীতে অংশগ্রহণের উদ্দেশে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে রওনা হয়ে সকাল সোয়া ১০টায় টুঙ্গীপাড়ায় পৌঁছেন। সকাল সাড়ে ১০টায় তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিবেদীতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর তিনি সেখানে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করেন। এ সময় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী লে. কর্নেল (অব) মুহাম্মদ ফারুক খান, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সামসুল হক টুকু, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান, মহিলা ও শিশু-বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ড. শিরীন সারমিন চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ডা. মোদাচ্ছের আলী, আওয়ামী লীগের সভাপতি ম-লীর সদস্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য ও এফবিসিসিআই সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর নিজ নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জ-৩ এর দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি শেখ মোহম্মদ আব্দুল্লাহ, গোপালগঞ্জ জেলা সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেন, গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রশাসক এ্যাডভোকেট কাজী আব্দুর রশিদ, শেখ হেলাল এমপি, প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি এ্যাডভোকেট মোল্লা মোহম্মদ আবু কাওসার, জেলা প্রশাসক মোঃ খলিলুর রহমান, পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি রাজা মিয়া বাটু, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী এমদাদুল হক, যুগ্ম-সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ লুৎফর রহমান বাচ্চু, গোপালগঞ্জ পৌর মেয়র রেজাউল হক সিকদার রাজু, কোটালীপাড়ার উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র জয়ধর ও পৌর মেয়র এইচএম অহিদুল ইসলাম টুঙ্গীপাড়ার উপজেলা চেয়ারম্যান সোলায়মান বিশ্বাস, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ আব্দুল হালিম ও পৌর মেয়র এসএম ইলিয়াস হোসেন, মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান মিয়া, উপজেলা চেয়ারম্যান রবিউল আলাম সিকদার এবং আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সরকারী ও বেসরকারী বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
পরে বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে, প্রধানমন্ত্রী গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরা এলাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও একাডেমিক কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. এম খায়রুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি ম-লীর সদস্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি শেখ ফজলুল করিম সেলিম, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. একে আজাদ চৌধুরী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর দীলিপ কুমার নাথ। এ সময় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী লে. কর্নেল (অব) মুহাম্মদ ফারুক খান, প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, এফবিসিসিআই সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ হেল আজাদ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব কামাল আব্দুল নাছের চৌধুরী, নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ছাদেকুর রহমান ও মোঃ আমিনুর রহমান সেখানে উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ২০০১ সালে ক্ষমতা ছাড়ার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন এবং ২০১১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্লাসসহ আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।
অনুষ্ঠানের শেষ দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ভেন্যুতে থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশনের গোপালগঞ্জ রিজিওনাল অফিসের কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন এবং জাতীয় মহিলা সংস্থা গোপালগঞ্জের কমপ্লেক্স ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এ সময় হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মোঃ ইয়াছিন আলী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোঃ নূরুল আলম তালুকদার, মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ড. শিরীন সারমিন চৌধুরী, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান মমতাজ বেগমসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এরপর বিকেল ৫টায় প্রধানমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চলে আসেন শহরের শিশুবন এলাকায়। সেখানে তিনি নবনির্মিত গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ভবনের উদ্বোধন করেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে বহির্গমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক আব্দুল মাবুদ, পিপিএম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সিকিউকে মোস্তাক আহম্মেদ, পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মোঃ হাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। বিকেল সোয়া ৫টায় তিনি গোপালগঞ্জ হেলিপ্যাড থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।
No comments