প্রশ্ন মনোযোগ সহকারে পড়বে- বশির আহাম্মেদ ভূঁইয়া অধ্যক্ষ, ট্রাস্ট কলেজ, ঢাকা
এসএসসি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। এ পরীক্ষায় ভাল ফল উচ্চ শিক্ষার পথকে প্রসারিত করবে। আর বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় এ+ প্রত্যাশীরা প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য তোমাদেরকে কতগুলো কৌশল গ্রহণ করতে হবে।
সেগুলো হলোÑ * প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়ার আগেই খাতায় সুন্দর করে পেন্সিল দিয়ে মার্জিন টানতে হবে। মার্জিন খাতার ওপরে ও নিচে এবং বাম দিকে টানবে। ডান দিকে মার্জিন টানার প্রয়োজন নেই।* প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়ার পর প্রত্যেকটি প্রশ্ন মনোযোগ সহকারে পড়বে এবং যে প্রশ্নটির উত্তর সবচেয়ে ভাল পারো সেটির উত্তর প্রথমে লিখবে।
* সৃজনশীল পরীক্ষা পদ্ধতিতে দুই ধারায় প্রশ্ন দেয়া থাকবে। ১। সৃজনশীল প্রশ্ন; ২। বহু নির্বাচনী প্রশ্ন। সৃজনশীল প্রশ্নের ভাল উত্তর করার প্রধান উপায় হচ্ছে মুখস্থ নয়, নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় নিয়মিত পড়াশোনার মাধ্যমে অধিক অনুশীলন করা।
* এ পদ্ধতিতে একজন শিক্ষার্থীকে গৎবাঁধা গাইড বইয়ের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে নিজের চিন্তা-চেতনা, মেধা ও মননের বিকাশ ঘটাতে হবে নতুন কিছু সৃষ্টির মাধ্যমে। তাই একজন শিক্ষার্থীকে প্রতিটি অধ্যায়ের গভীরে প্রবেশ করতে হবে এবং অর্জন করতে হবে নিজে নিজে লিখতে পারার শক্তি। মনে রাখতে হবে, অন্যদের থেকে আলাদাভাবে নিজস্ব চিন্তার বহির্প্রকাশ করার মাধ্যমেই এ পদ্ধতিতে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া সম্ভব।
* তিন ঘণ্টা সময়ের মধ্যে যেহেতু সব প্রশ্নের উত্তর যথাযথভাবে লিখতে হবে ফলে দ্রুত লিখতে গিয়ে অনেক সময় দেখা যায়, লেখা অস্পষ্ট হয়ে যায়। তাই উত্তর যেমন দ্রুত লিখতে হবে, তেমনি হাতের লেখাও যাতে সুন্দর থাকে সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
* বানান নির্ভুল হতে হবে। তারপরও বানান ভুল হয়ে গেলে সেটাকে একটানে কেটে দিয়ে শুদ্ধ বানানটি পাশে লিখতে হবে।
* ভাষা সহজ, সরল ও প্রাঞ্জল হতে হবে। সর্বোপরি, ভাষার মাধুর্য ও লালিত্য বজায় রাখতে হবে।
* যে-কোন প্রশ্নের উত্তর লেখার সময় সাধু ও চলিত ভাষারীতির মিশ্রণ করা যাবে না। কেননা এতে গুরু“চ ালী দোষ হয়। ফলে প্রশ্নের উত্তর সঠিক হলেও নম্বর কমে যায়। তাই সম্পূর্ণ প্রশ্নের উত্তর চলিত ভাষারীতিতে লেখাই বাঞ্ছনীয়।
* অনুধাবনমূলক, প্রয়োগমূলক ও উচ্চতর দক্ষতামূলক প্রশ্নের উত্তরের ক্ষেত্রে ভূমিকা, যুক্তিগ্রাহ্য বক্তব্য ও সুন্দর উপসংহার বা উত্তরের সারবস্তু থাকা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে উত্তর প্যারা করে লিখবে। উত্তরে কোনো পয়েন্ট দেবে না। চরিত্র বর্ণনার ক্ষেত্রে চরিত্রের প্রতিটি বৈশিষ্ট্যের জন্য আলাদা আলাদা প্যারা করে লিখবে। প্যারার প্রথম লাইন বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করে পরে তার বিশ্লেষণ করবে।
সর্বোপরি, এ সময় একজন পরীক্ষার্থীকে গুরুত্বপূর্ণ ও নির্বাচিত প্রশ্নের উত্তর বার বার অনুশীলনের মাধ্যমে নিজেদের আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তুলতে হবে। এছাড়া অভিজ্ঞ শিক্ষক/শিক্ষিকার আদেশ, নির্দেশ ও উপদেশ মেনে চলতে হবে এবং অভিভাবক ও পিতা-মাতার দেখানো পথ অনুসরণ করতে হবে। প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে এ সময় স্বাস্থ্যের প্রতি অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
No comments