২ লাখেরও বেশি ঋণখেলাপি
বর্তমানে
দেশের সকল তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণখেলাপি ব্যাক্তি বা
প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২ লাখ ২ হাজার ৬২৩ জন। খেলাপি ঋণ আদায়ে সরকার খেলাপি
গ্রাহক চিহ্নিতকরণ ও তাদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ
করেছে। এ বছর তিন হাজার ১৫২ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ আদায় হয়েছে। মঙ্গলবার
সংসদে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য
বেগম পিনু খান ও জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমানের পৃথক দুটি প্রশ্নের লিখিত
জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ তথ্য জানান। মন্ত্রীর দেয়া
তথ্যানুযায়ী, সোনালী ব্যাংকের ১০ হাজার ৬২৯ কোটি খেলাপি ঋণের বিপরীতে ৬৫৪
কোটি, জনতা ব্যাংকের ৬ হাজার ৫১০ কোটি খেলাপি ঋণের বিপরীতে ২৫৪ কোটি,
অগ্রণী ব্যাংকের ৬ হাজার ৮৬ কোটি খেলাপি ঋণের বিপরীতে ৪৮৩ কোটি, রূপালী
ব্যাংকের ৪ হাজার ২৬৪ কোটি খেলাপি ঋণের বিপরীতে ৩২৮ কোটি, বেসিক ব্যাংকের ৭
হাজার ৩৭৪ কোটি খেলাপি ঋণের বিপরীতে ১৫০ কোটি, বিডিএল’র ৮৫৪ কোটি খেলাপি
ঋণের বিপরীতে ১৩০ কোটি, কৃষি ব্যাংকের ৪ হাজার ৬৭৯ কোটি খেলাপী ঋণের
বিপরীতে ৯৩০ কোটি এবং রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের এক হাজার ৫ কোটি খেলাপি
ঋণের বিপরীতে ২২৩ কোটি টাকা আদায় করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী জানান, খেলাপি ঋণ
আদায়ের লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যেই অর্থ ঋণ আদালত আইন ২০০৩ প্রণয়ন করেছে। এ
আইনের আওতায় খেলাপী ঋণ গ্রাহকদের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে। এছাড়া দেউলিয়া
আইন ১৯৯৭ এর আওতায় খেলাপী গ্রাহকদের বিরুদ্ধে মামলা করার মাধ্যমে খেলাপী ঋণ
আদায় করা হচ্ছে।
No comments