বগুড়া গণপূর্ত বিভাগ পৌনে পাঁচ কোটি টাকার টেন্ডার ভাগবাটোয়ারা
বগুড়া গণপূর্ত বিভাগের প্রায় পৌনে ৫ কোটি টাকার টেন্ডার 'ম্যানেজ' প্রক্রিয়ায় ভাগবাটোয়ারা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এই ম্যানেজ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে নির্ধারিত সময়ে দরপত্র জমা নেয়ার পর সর্বনিম্ন দরদাতাদের কাছে থেকে তা প্রত্যাহার লিখে নেয়ার মাধ্যমে।
মতাসীন দলের এক নেতার ছেলের নামে সমদরে কাজটি নেয়ার প্রক্রিয়া করা হয়েছে। সমদরে এই টেন্ডারের কাজ নেয়ার জন্য সর্বনিম্ন দরদাতাদের দরপত্র প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। সমদরে এই কাজ দেয়া হলে এতে সরকারের অতিরিক্ত ব্যয় হবে প্রায় ৩৭ লাখ টাকা।গণপূর্ত বিভাগ জানায়, বগুড়ার কালেক্টরেট ভবনের উর্ধমুখী সমপ্রসারণ কাজের জন্য দরপত্র আহবান করা হয়। সিডিউল বিক্রির শেষ তারিখ ছিল ৩ ফেব্রয়ারি। বৃহস্পতিবার ছিল দাখিলের নির্ধারিত সময়। এর প্রাক্কলিত ব্যয় চার কোটি ৭০ লাখ টাকা বলে নির্বাহী প্রকৌশলী জানিয়েছেন।
সূত্র জানায়, ঐ টেন্ডারের ১৯টি সিডিউল বিক্রি করা হয়। সরকারী দলের ছত্রছায়ায় 'ম্যানেজ' প্রক্রিয়ায় বুধবার রাতে এক বৈঠক হয়। এতে মোটা অঙ্কের টাকা বিট মানি হিসেবে তোলা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় দরপত্র দাখিলের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ৯টি সিডিউল জমা পড়ে। এর মধ্যে ৩জন প্রথম পর্যায়ে ম্যানেজ প্রক্রিয়ার বাইরের ঠিকাদার। বিকেল ৩টায় দরপত্র বাক্স ওপেন করা হয়। সূত্র জানায়, দাখিলকৃত দরদাতাদের মধ্যে ম্যানেজ প্রত্রিয়ার কারণে একজন সমদরে ও অপর ৫জন উচ্চদরে দর দাখিল করে। অপর ৩ জন নিম্নদরে দর দাখিল করলেও পরবর্তীতে তাদের কাছ থেকে তা প্রত্যাহারের আবেদন নিয়ে জমা দেয়া হয়। এর মাধ্যমে সমদরদাতার কাজ পাওয়ার েেত্র প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে ফেলা হয় কৌশলে।
এ ব্যপারে বগুড়া গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জয়নাল আবেদীন জানান তিনি বগুড়ার বাইরে রয়েছেন। তবে সিডিউল জমা দেযার পর প্রত্যাহারে নিয়ম নেই। তবে ১টি দরপত্র প্রত্যাহারের আবেদন জমা পড়েছে বলে তিনি শুনেছেন। তিনি আরও জানান, টেন্ডারের ব্যাপারে চূড়ানত্ম সিদ্ধানত্ম নেয়া হয়নি।
No comments