জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়-শিক্ষকদের অনশন উপাচার্যের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জুবায়ের আহমেদের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাত দফা দাবিতে চলমান আন্দোলন কর্মসূচি দুই দিনের জন্য স্থগিত করেছেন শিক্ষকেরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শরীফ এনামুল কবির শিক্ষকদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে গতকাল শনিবার বিকেলে কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
শিক্ষক সমাজের ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষকেরা গতকাল বেলা ১১টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অনশন কর্মসূচি পালন করেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি এ এ মামুন, সম্পাদক মো. শরিফ উদ্দিন, আন্দোলন পরিচালনা পর্ষদের আহ্বায়ক নাসিম আখতার হোসাইনসহ অর্ধশতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
এই সময়ে চার-পাঁচজন শিক্ষক রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিকের কাছে গিয়ে স্মারকলিপি দেন। এতে শিক্ষকেরা উল্লেখ করেন, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্রুতগতিতে একের পর এক যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হচ্ছে, তা একটি অশুভ প্রক্রিয়া। উপরন্তু নিয়োগে অনিয়ম ঘটছে। অপেক্ষাকৃত যোগ্য প্রার্থীদের বাদ দিয়ে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। পদের অতিরিক্ত শিক্ষক নেওয়া হয়েছে। নিয়োগের শর্ত হিসেবে শিক্ষাগত যোগ্যতার চেয়ে নানা রকম বিষয়বস্তুকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
স্মারকলিপিতে শিক্ষকেরা বলেন, প্রশাসন যদি এই ক্ষতিকর স্বার্থান্বেষী কর্মকাণ্ড রোধে পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়, তবে রেজিস্ট্রার ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেওয়া হবে।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে উপাচার্য তাঁর কার্যালয়ে আন্দোলন ও সমাবর্তন নিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করেন। এ সময় উপাচার্য শিক্ষকদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন। শিক্ষকেরা আশ্বাসের বিষয়টি লিখিত দিতে উপাচার্যকে অনুরোধ করেন।
আন্দোলন পরিচালনা পর্ষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক নাসিম আখতার হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্য ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের কাছে দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে যৌক্তিক দাবি আদায়ে আন্দোলন করছি। ন্যায় প্রতিষ্ঠা এবং সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও অন্যায় নির্মূলের লক্ষ্যে আমাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাব।’
অধ্যাপক নাসিম বলেন, ‘উপাচার্য আমাদের দাবি পূরণে মৌখিক আশ্বাস দেওয়ায় আমরা সোমবার পর্যন্ত আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করেছি। দাবি আদায় না হলে মঙ্গলবার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
শিক্ষকদের স্মারকলিপির ব্যাপারে রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষক নিয়োগসংক্রান্ত বিষয়গুলো প্রশাসন যথাযথ প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করেছে। শিক্ষকদের দাবি নিয়ে সবার সঙ্গে নিয়মমাফিক আলোচনা করা হবে।
এই সময়ে চার-পাঁচজন শিক্ষক রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিকের কাছে গিয়ে স্মারকলিপি দেন। এতে শিক্ষকেরা উল্লেখ করেন, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্রুতগতিতে একের পর এক যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হচ্ছে, তা একটি অশুভ প্রক্রিয়া। উপরন্তু নিয়োগে অনিয়ম ঘটছে। অপেক্ষাকৃত যোগ্য প্রার্থীদের বাদ দিয়ে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। পদের অতিরিক্ত শিক্ষক নেওয়া হয়েছে। নিয়োগের শর্ত হিসেবে শিক্ষাগত যোগ্যতার চেয়ে নানা রকম বিষয়বস্তুকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
স্মারকলিপিতে শিক্ষকেরা বলেন, প্রশাসন যদি এই ক্ষতিকর স্বার্থান্বেষী কর্মকাণ্ড রোধে পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়, তবে রেজিস্ট্রার ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেওয়া হবে।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে উপাচার্য তাঁর কার্যালয়ে আন্দোলন ও সমাবর্তন নিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করেন। এ সময় উপাচার্য শিক্ষকদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন। শিক্ষকেরা আশ্বাসের বিষয়টি লিখিত দিতে উপাচার্যকে অনুরোধ করেন।
আন্দোলন পরিচালনা পর্ষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক নাসিম আখতার হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্য ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের কাছে দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে যৌক্তিক দাবি আদায়ে আন্দোলন করছি। ন্যায় প্রতিষ্ঠা এবং সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও অন্যায় নির্মূলের লক্ষ্যে আমাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাব।’
অধ্যাপক নাসিম বলেন, ‘উপাচার্য আমাদের দাবি পূরণে মৌখিক আশ্বাস দেওয়ায় আমরা সোমবার পর্যন্ত আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করেছি। দাবি আদায় না হলে মঙ্গলবার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
শিক্ষকদের স্মারকলিপির ব্যাপারে রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষক নিয়োগসংক্রান্ত বিষয়গুলো প্রশাসন যথাযথ প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করেছে। শিক্ষকদের দাবি নিয়ে সবার সঙ্গে নিয়মমাফিক আলোচনা করা হবে।
No comments