সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে কেনা হচ্ছে ট্যাংক ফ্রিগেট, জঙ্গী বিমান- সংসদে পরিকল্পনামন্ত্রী
সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিকায়নের লৰ্যে চলতি অর্থবছরেই কেনা হচ্ছে ট্যাঙ্ক, আর্মার্ড রিকভারি ভেহিকল, ফ্রিগেট, জঙ্গী বিমান, ৰেপণাস্ত্রসহ শতাধিক যুদ্ধাস্ত্র ও যুদ্ধযান। এছাড়া সমরাস্ত্র কারখানার ৰুদ্রাস্ত্রের গোলাবারম্নদের উৎপাদন ৰমতা দ্বিগুণ করার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে এ তথ্য জানান সংসদ কার্যে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনামন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব) একে খন্দকার। সরকারী দলের সংসদ সদস্য হারম্ননুর রশিদের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, সেনাবাহিনীর নিত্যপ্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদির পাশাপাশি ১০০ টি যুদ্ধাস্ত্র ও যুদ্ধযান কেনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে আছে সাতটির ট্যাঙ্ক, একটি আর্মার্ড রিকভারি ভেহিকল (এআরভি), জাতিসংঘ মিশনের জন্য আর্মার্ড পারসোনাল ক্যারিয়ার (এপিসি), পাঁচটি এআরভি, পাঁচটি এপিসি এ্যাম্বুলেন্স এবং ২টি হেলিকপ্টার। এছাড়াও বাংলাদেশ সমরাস্ত্র কারখানার ৰুদ্রাস্ত্রের গোলাবারম্নদের উৎপাদন ৰমতা দ্বিগুণ করার প্রকল্প বাসত্মবায়নের জন্য সরকার নীতিগত অনুমোদনসহ প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করেছে।মন্ত্রী জানান, দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিকায়নের লৰ্যে তৈরি ১০ বছরের উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে চলতি অর্থবছরে নৌবাহিনীর জন্যও বিভিন্ন যুদ্ধাস্ত্র ও যুদ্ধযান কেনার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। আনত্মর্জাতিক দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে দু'টি মেরিটাইম প্যাট্রোল এয়ারক্রাফট কেনা, নৌবাহিনীর পুরনো জাহাজ প্রতিস্থাপনের জন্য খুলনা শিপইয়র্াডে পাঁচটি প্যাট্রোল ক্রাফট নিমর্াণ ও দেশী-বিদেশী শিপইয়ার্ডে দু'টি লার্জ প্যাট্রোল ক্রাফট কেনা বা নিমর্াণ, একটি হাইড্রোলিক সার্ভে জাহাজ ক্রয় বা নিমর্াণ এবং একটি অয়েল ট্যাঙ্কার নিমর্াণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
তিনি আরও জানান, সরকার থেকে সরকার প্রক্রিয়ায় বন্ধুভাবাপন্ন দেশগুলোর ব্যবহৃত ২/১টি পুরনো ফ্রিগেট কেনার পরিকল্পনা আছে। এছাড়া লার্জ প্যাট্রোল ক্রাফট এবং যুক্তরাজ্য নৌবাহিনীর কাছ থেকে অফশোর প্যাট্রোল ভেসেল কেনার কার্যক্রম চলছে। মন্ত্রী জানান, নৌবাহিনীর কার্যৰমতা বাড়ানোর জন্য মিসাইল বোট এবং প্যাট্রোল ক্রাফটগুলো আধুনিক মিসাইল দিয়ে আপগ্রেডেশন বা সংযোজনের কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।
বিমানবাহিনী প্রসঙ্গে মন্ত্রী জানান, বিমানবাহিনীর জন্য চলতি অর্থবছরে একটি ভূমি থেকে আকাশে নিৰেপণযোগ্য ৰেপণাস্ত্র সিস্টেম, একটি এয়ার ডিফেন্স র্যাডার, দু'টি হেলিকপ্টার, এক স্কোয়াড্্রন জঙ্গী বিমান এবং জঙ্গী বিমান থেকে নিৰেপণযোগ্য ৰেপণাস্ত্র কেনার পরিকল্পনা আছে সরকারের।
সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলমের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সামরিক চিকিৎসা সার্ভিস মহাপরিদফতরের অনুকূলে প্রশিৰণ ও স্বাস্থ্য খাতে ২০০৫ থেকে ২০০৯ সাল পর্যনত্ম ৫ বছরের ব্যয়কৃত অর্থের পরিমাণ তুলে ধরেন। তিনি জানান, গত ৫ বছরে চিকিৎসা খাতে ব্যয় হয়েছে ৩৩৮ কোটি ৩ লাখ টাকা এবং প্রশিৰণ খাতে ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৩৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
সরকারদলীয় অপর সংসদ সদস্য মোহাম্মদ শাহ আলমের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, পার্বত্য চট্টগ্রামে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর শানত্মিচুক্তি সম্পাদিত হওয়া পর্যনত্ম নিরাপত্তা বাহিনী বিভিন্ন অপারেশন ও উদ্ধার অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারম্নদ উদ্ধার করে। এর মধ্যে ৩৫টি এলএমজি, ২০৭টি এসএমজি বা এসএমসি, ৪৪৫টি রাইফেল, ৯৫টি পিসত্মল, ৮২৭টি এসবিবিএল বা সিভিলগান, ৩৫৯টি গ্রেনেড, ৭০টি রকেট লঞ্চার বা মটর্ার বা গ্রেনেড লঞ্চার, ১৩টি মাইন বা বোম্ব এবং ৪ লাখ ৪৯ হাজার ১২০টি ৰুদাস্ত্র ও গোলাবারম্নদ।
No comments