চলে গেলেন সিদ্দিকা কবীর
রান্না খাদ্য পুষ্টি এবং সিদ্দিকা কবীর’স রেসিপি অনুষ্ঠানখ্যাত পুষ্টিবিদ অধ্যাপক সিদ্দিকা কবীর আর নেই। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১২টায় ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ৮১ বছর বয়সে তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি...রাজিউন)।
রান্নার বই লিখে এবং টেলিভিশনে রান্নাবিষয়ক অনুষ্ঠান করে সিদ্দিকা কবীর দেশের মানুষের মন জয় করেছেন। তাই তো তাঁর মৃত্যুর খবর শুনে নানা স্তরের মানুষ ভিড় করেছিলেন স্কয়ার হাসপাতালে।
হাসপাতালে সিদ্দিকা কবীরের ছোট ছেলে আহমেদ সাদ প্রথম আলোকে বলেন, গত বছরের ৯ ডিসেম্বর এসকেমিক স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে তিনি আর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেননি, বাড়িতেই থাকতেন। গত ২৯ জানুয়ারি তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল।
সিদ্দিকা কবীরের পুত্রবধূ নাফিসা হাসিন জানান, ‘আজ (মঙ্গলবার) সকালে তাঁকে জীবনরক্ষাকারী যন্ত্র (লাইফ সাপোর্ট) দেওয়া হয়। পরে দুপুর সোয়া ১২টায় তাঁর জীবনপ্রদীপ নিভে যায়।’
সিদ্দিকা কবীরের দাফন সম্পর্কে ছেলে আহমেদ সাদ বলেন, ‘আমরা দুই ভাই দুই বোন। আমার বড় বোন জেরীন কবীর সুইডেন থেকে ফিরলে মাকে দাফন করা হবে।’ আট ভাইবোনের মধ্যে সিদ্দিকা কবীর ছিলেন চতুর্থ। প্রায় ১২ বছর আগে তাঁর স্বামী বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সৈয়দ আলী কবীর মারা যান।
সংক্ষিপ্ত জীবনী: সিদ্দিকা কবীর ১৯৩১ সালের ৭ মে ঢাকার মকিম বাজারে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৬ সালে গণিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। সে বছরই তিনি ইডেন মহিলা কলেজে গণিতের প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৬১ সালে ফোর্ড ফাউন্ডেশনের বৃত্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে খাদ্য ও পুষ্টি এবং প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে এমএস ডিগ্রি অর্জন করেন। দেশে ফিরে ঢাকার গার্হস্থ্য অর্থনীতি মহাবিদ্যালয়ে ১৯৬৩ সালে প্রভাষক পদে যোগদান করেন।
তাঁর লেখা পুষ্টি ও রান্নাবিষয়ক গ্রন্থগুলো বাঙালি পরিবারে ব্যাপক সমাদৃত। উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হলো: রান্না খাদ্য পুষ্টি, খাবার দাবার কড়চা, পুষ্টি ও খাদ্য ব্যবস্থা, বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রান্না (সম্পাদনা), বাংলাদেশি কারি কুক বুক (Bangladeshi Curry Cook Book)।
তাঁর সিদ্দিকা কবীর’স রেসিপি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের রান্নাবিষয়ক জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ।
পুষ্টি ও রান্নায় অবদানের জন্য তিনি ‘উইম্যান অব ইয়ার’ (ওয়েব) ‘শেলেটক্’ ‘অনন্যা শীর্ষ দশ’-এর স্বীকৃতি পান।
হাসপাতালে সিদ্দিকা কবীরের ছোট ছেলে আহমেদ সাদ প্রথম আলোকে বলেন, গত বছরের ৯ ডিসেম্বর এসকেমিক স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে তিনি আর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেননি, বাড়িতেই থাকতেন। গত ২৯ জানুয়ারি তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল।
সিদ্দিকা কবীরের পুত্রবধূ নাফিসা হাসিন জানান, ‘আজ (মঙ্গলবার) সকালে তাঁকে জীবনরক্ষাকারী যন্ত্র (লাইফ সাপোর্ট) দেওয়া হয়। পরে দুপুর সোয়া ১২টায় তাঁর জীবনপ্রদীপ নিভে যায়।’
সিদ্দিকা কবীরের দাফন সম্পর্কে ছেলে আহমেদ সাদ বলেন, ‘আমরা দুই ভাই দুই বোন। আমার বড় বোন জেরীন কবীর সুইডেন থেকে ফিরলে মাকে দাফন করা হবে।’ আট ভাইবোনের মধ্যে সিদ্দিকা কবীর ছিলেন চতুর্থ। প্রায় ১২ বছর আগে তাঁর স্বামী বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সৈয়দ আলী কবীর মারা যান।
সংক্ষিপ্ত জীবনী: সিদ্দিকা কবীর ১৯৩১ সালের ৭ মে ঢাকার মকিম বাজারে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৬ সালে গণিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। সে বছরই তিনি ইডেন মহিলা কলেজে গণিতের প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৬১ সালে ফোর্ড ফাউন্ডেশনের বৃত্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে খাদ্য ও পুষ্টি এবং প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে এমএস ডিগ্রি অর্জন করেন। দেশে ফিরে ঢাকার গার্হস্থ্য অর্থনীতি মহাবিদ্যালয়ে ১৯৬৩ সালে প্রভাষক পদে যোগদান করেন।
তাঁর লেখা পুষ্টি ও রান্নাবিষয়ক গ্রন্থগুলো বাঙালি পরিবারে ব্যাপক সমাদৃত। উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হলো: রান্না খাদ্য পুষ্টি, খাবার দাবার কড়চা, পুষ্টি ও খাদ্য ব্যবস্থা, বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রান্না (সম্পাদনা), বাংলাদেশি কারি কুক বুক (Bangladeshi Curry Cook Book)।
তাঁর সিদ্দিকা কবীর’স রেসিপি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের রান্নাবিষয়ক জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ।
পুষ্টি ও রান্নায় অবদানের জন্য তিনি ‘উইম্যান অব ইয়ার’ (ওয়েব) ‘শেলেটক্’ ‘অনন্যা শীর্ষ দশ’-এর স্বীকৃতি পান।
No comments