‘বোমা মেরে শান্তি আনার’ নীতি ত্যাগ করব
যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, ‘আগে বোমা মেরে, পরে শান্তি আলোচনা’র নীতি ব্যর্থ হয়েছে। আফগানিস্তান, ইরাক ও লিবিয়ায় হামলা বিশ্বশান্তি বিনষ্ট করেছে এবং নিরাপত্তাঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এ অভিজ্ঞতা থেকে ক্ষমতায় গেলে ‘আলোচনা’ ‘সর্বজনীন অধিকার’ ও ‘আন্তর্জাতিক আইন’কে প্রাধান্য দেওয়াই হবে তাঁর পররাষ্ট্রনীতির ভিত্তি। ৮ জুনের সাধারণ নির্বাচন সামনে রেখে গতকাল শুক্রবার নিজেদের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রনীতির বিস্তারিত তুলে ধরেন যুদ্ধবিরোধী রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত করবিন। লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক সম্পর্ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউসে দেওয়া বক্তব্যে তিনি যুক্তরাজ্যের সরকারগুলোর যুক্তরাষ্ট্রনির্ভর পররাষ্ট্রনীতির কড়া সমালোচনা করেন। করবিন বলেন, ওয়াশিংটনে হাওয়া কোন দিকে বইছে তা দেখে মোড় নেওয়া শক্তিশালী নেতৃত্ব নয়। লেবারপ্রধান বলেন, তাঁরা ক্ষমতায় গেলে লন্ডনের নিজের তৈরি বলিষ্ঠ ও স্বতন্ত্র পররাষ্ট্রনীতি মেনে চলবেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মিলে থেরেসা মে সিরিয়ায় হামলা চালাতে সম্মত হয়েছেন অভিযোগ করে করবিন বলেন, কনজারভেটিভ পার্টিকে ভোট দেওয়ার মানে হবে সিরিয়ার যুদ্ধকে উসকে দেওয়া। তিনি বলেন, যুদ্ধের কারণেই দেশে দেশে শরণার্থী সংকট গুরুতর আকার ধারণ করেছে।
No comments