শেখ হাসিনার কাছে হিলারির চিঠি- গ্রামীণ ব্যাংকের স্বকীয়তা নিয়ে শঙ্কিত যুক্তরাষ্ট্র by রাহীদ এজাজ
গ্রামীণ ব্যাংকের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগে সরকার নিযুক্ত চেয়ারম্যানের ক্ষমতা বাড়ানোর সিদ্ধান্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিচলিত। দেশটি মনে করে, বাংলাদেশ সরকারের এ পদক্ষেপ ক্ষুদ্রঋণের অগ্রণী প্রতিষ্ঠানের স্বকীয়তা ক্ষুণ্ন করতে পারে।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা চিঠিতে এ শঙ্কার কথা জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। কূটনৈতিক সূত্রগুলো গতকাল শনিবার প্রথম আলোকে জানিয়েছে, হিলারি ক্লিনটন ১৪ আগস্ট শেখ হাসিনাকে একটি চিঠি লেখেন। ওই চিঠির মূল বিষয় হচ্ছে গ্রামীণ ব্যাংক। গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে সরকারের সর্বশেষ পদক্ষেপকে মার্কিন প্রশাসন কীভাবে দেখছে, তার প্রতিফলন ঘটেছে সংক্ষিপ্ত ওই চিঠিতে।
গত ১০ মাসের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা দুটি চিঠিতে গ্রামীণ ব্যাংক প্রসঙ্গটি আনলেন হিলারি ক্লিনটন। এর আগে গত বছরের ২৬ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে অন্য বিষয়ের পাশাপাশি গ্রামীণ ব্যাংকের প্রসঙ্গটি উল্লেখ করেছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
জানা গেছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে লেখা ১৪ আগস্টের চিঠিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী গ্রামীণ ব্যাংকের অংশীদারির প্রসঙ্গটি এনেছেন। অর্থাৎ ব্যাংকের সদস্য বা ঋণগ্রহীতাদের মালিকানা ৯৭ শতাংশ এবং সরকারের অংশীদারি ৩ শতাংশ। গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা সফরের সময় তাঁকে যে আশ্বাস দিয়েছিলেন, তা-ও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন হিলারি ক্লিনটন। গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যকারিতা প্রশ্নের মুখে পড়বে—এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে না বলে গত মে মাসে ঢাকা সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছিলেন। এ পরিস্থিতিতে চিঠিতে গ্রামীণ ব্যাংকের নতুন এমডি নিয়োগে স্বচ্ছতা ও প্রতিষ্ঠানের স্বকীয়তার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
গত ৫ মে ঢাকা সফরের সময় হিলারি ক্লিনটন গণমাধ্যমকর্মীদের গ্রামীণ ব্যাংকের প্রশংসা করে বলেছিলেন, ‘আমি আশা করব, আগামী দিনে যাতে গ্রামীণ ব্যাংক তার ভূমিকা অব্যাহত রাখতে পারে, সে লক্ষ্যে একজন নিরপেক্ষ ও সম্মানিত ব্যক্তিকে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদে নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়াটি দ্রুত সম্পন্ন করা হবে।’
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ৪ ও ২১ আগস্ট দুই দফায় গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি নিয়োগে সরকার নিযুক্ত চেয়ারম্যানকে ক্ষমতা দেওয়ার সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড বলেন, ‘গ্রামীণ ব্যাংকের স্বকীয়তা এবং কার্যকারিতা ক্ষুণ্ন হয়—এমন কোনো পদক্ষেপ না নিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আমরা অব্যাহতভাবে অনুরোধ জানিয়ে যাব। পাশাপাশি নতুন এমডি নিয়োগে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানাই।’
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মতে, বাংলাদেশের অত্যন্ত গতিশীল সমাজের প্রতিনিধিত্ব করে গ্রামীণ ব্যাংক, যা বিশ্বের নানা দেশে মডেল হিসেবে অনুকরণ করা হচ্ছে। তাই গ্রামীণ ব্যাংককে নিয়ে পদক্ষেপ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৬ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন যে চিঠি লেখেন, তাতে সাম্প্রতিককালে নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমের প্রতি সরকারের বৈরী আচরণ যে যুক্তরাষ্ট্রকে বিচলিত করছে, সেটি উল্লেখ করা হয়। ওই চিঠিতেই হিলারি লিখেছিলেন, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একজন ব্যক্তিকে এমডি নিয়োগ করে গ্রাহকের প্রতিশ্রুতি পূরণে গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকাণ্ড নিশ্চিত করাটা জরুরি।
গত ১০ মাসের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা দুটি চিঠিতে গ্রামীণ ব্যাংক প্রসঙ্গটি আনলেন হিলারি ক্লিনটন। এর আগে গত বছরের ২৬ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে অন্য বিষয়ের পাশাপাশি গ্রামীণ ব্যাংকের প্রসঙ্গটি উল্লেখ করেছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
জানা গেছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে লেখা ১৪ আগস্টের চিঠিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী গ্রামীণ ব্যাংকের অংশীদারির প্রসঙ্গটি এনেছেন। অর্থাৎ ব্যাংকের সদস্য বা ঋণগ্রহীতাদের মালিকানা ৯৭ শতাংশ এবং সরকারের অংশীদারি ৩ শতাংশ। গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা সফরের সময় তাঁকে যে আশ্বাস দিয়েছিলেন, তা-ও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন হিলারি ক্লিনটন। গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যকারিতা প্রশ্নের মুখে পড়বে—এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে না বলে গত মে মাসে ঢাকা সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছিলেন। এ পরিস্থিতিতে চিঠিতে গ্রামীণ ব্যাংকের নতুন এমডি নিয়োগে স্বচ্ছতা ও প্রতিষ্ঠানের স্বকীয়তার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
গত ৫ মে ঢাকা সফরের সময় হিলারি ক্লিনটন গণমাধ্যমকর্মীদের গ্রামীণ ব্যাংকের প্রশংসা করে বলেছিলেন, ‘আমি আশা করব, আগামী দিনে যাতে গ্রামীণ ব্যাংক তার ভূমিকা অব্যাহত রাখতে পারে, সে লক্ষ্যে একজন নিরপেক্ষ ও সম্মানিত ব্যক্তিকে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদে নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়াটি দ্রুত সম্পন্ন করা হবে।’
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ৪ ও ২১ আগস্ট দুই দফায় গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি নিয়োগে সরকার নিযুক্ত চেয়ারম্যানকে ক্ষমতা দেওয়ার সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড বলেন, ‘গ্রামীণ ব্যাংকের স্বকীয়তা এবং কার্যকারিতা ক্ষুণ্ন হয়—এমন কোনো পদক্ষেপ না নিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আমরা অব্যাহতভাবে অনুরোধ জানিয়ে যাব। পাশাপাশি নতুন এমডি নিয়োগে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানাই।’
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মতে, বাংলাদেশের অত্যন্ত গতিশীল সমাজের প্রতিনিধিত্ব করে গ্রামীণ ব্যাংক, যা বিশ্বের নানা দেশে মডেল হিসেবে অনুকরণ করা হচ্ছে। তাই গ্রামীণ ব্যাংককে নিয়ে পদক্ষেপ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৬ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন যে চিঠি লেখেন, তাতে সাম্প্রতিককালে নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমের প্রতি সরকারের বৈরী আচরণ যে যুক্তরাষ্ট্রকে বিচলিত করছে, সেটি উল্লেখ করা হয়। ওই চিঠিতেই হিলারি লিখেছিলেন, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একজন ব্যক্তিকে এমডি নিয়োগ করে গ্রাহকের প্রতিশ্রুতি পূরণে গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকাণ্ড নিশ্চিত করাটা জরুরি।
No comments