বিক্ষোভ না করতে দেশের মানুষকে সতর্ক করল চীন
আরব বিশ্বের মতো বিক্ষোভ না করতে দেশের মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছে চীন। তারা বলেছে, কমিউনিস্ট পার্টির শাসনে দেশে স্থিতিশীলতা আছে, আর তা নষ্ট হলে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসবে। কমিউনিস্ট পার্টির অন্যতম মুখপত্র বেইজিং ডেইলি পত্রিকায় গতকাল শনিবার একটি মন্তব্য প্রতিবেদনে এ সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি আরব বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রে একের পর এক গণ-আন্দোলন ছড়িয়ে পড়লে চীনের বাইরে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে কমিউনিস্ট শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রচারণা শুরু হয়। কঠোর সেন্সরশিপের কারণে চীনের কোনো ওয়েবসাইটে এ ধরনের প্রচারণা সম্ভব নয়। কিন্তু দেশের বাইরে এ ধরনের প্রচারণা শুরু হওয়াতেই সেন্সরশিপ আরও জোরদার করা হয়, বাড়ানো হয় বেইজিংয়ের নিরাপত্তা। সেই সঙ্গে বিদেশি সাংবাদিকদের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। গত সপ্তাহে রাজধানীর কয়েকটি জায়গায় কিছু লোক বিক্ষোভ করতে চাইলে পুলিশ তাঁদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
বেইজিং ডেইলির মন্তব্য প্রতিবেদনে আভাস দেওয়া হয়েছে, এই পরিস্থিতিতে দেশের নিরাপত্তাব্যবস্থায় কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। এতে বলা হয়, প্রত্যেকেরই জানার কথা, স্থিতিশীলতা মানেই আশীর্বাদ; আর বিশৃঙ্খলা মানেই বিপর্যয়।
মধ্যপ্রাচের কয়েকটি দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি উল্লেখ করে পত্রিকাটি লিখেছে, ‘এই বিশৃঙ্খলা থেকে দেশগুলোর মানুষের ওপর মহাবিপর্যয় নেমে এসেছে। চীনের ভেতর ও বাইরে কিছু লোক চীনে এই ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে। লোকজন উসকে দেওয়ার জন্য তারা ইন্টারনেটকে কাজে লাগাচ্ছে।’
পত্রিকাটি আরও লিখেছে, ‘দেশে ও দেশের বাইরে এমন কিছু লোক সব সময় থাকে, যারা আমাদের উন্নয়নপ্রক্রিয়ার কিছু দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে সমস্যা সৃষ্টি করতে চায়।’ দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য দেশের নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানায় পত্রিকাটি। বেইজিং ডেইলির এই নিবন্ধটি অন্য পত্রপত্রিকায়ও ফলাও করে ছাপা হয়।
বেইজিং ডেইলি কমিউনিস্ট পার্টির বেইজিং শাখার মুখপত্র। পার্লামেন্টে বার্ষিক অধিবেশন শুরুর দিনই পত্রিকাটি এই সতর্কবার্তা দিল। গতকাল শনিবার এই অধিবেশন শুরু হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ওয়েন জিয়াবাও পার্লামেন্ট অধিবেশনে এই বলে সতর্ক করে দিয়েছেন যে দেশের মুদ্রাস্ফীতি সামাজিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করে দিতে পারে। ওই ভাষণে জিয়াবাও স্বীকার করেন, দেশের মানুষের মধ্যে বেশ অসন্তোষ রয়েছে। তিনি বলেন, মানুষের অনেক মৌলিক সমস্যার সমাধান তাঁর সরকার এখনো করতে পারেনি। আবাসনসমস্যা, খাদ্যনিরাপত্তা, দুর্নীতি ও ভূমি সমস্যাসহ অনেক বিষয়ে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে।
সম্প্রতি আরব বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রে একের পর এক গণ-আন্দোলন ছড়িয়ে পড়লে চীনের বাইরে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে কমিউনিস্ট শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রচারণা শুরু হয়। কঠোর সেন্সরশিপের কারণে চীনের কোনো ওয়েবসাইটে এ ধরনের প্রচারণা সম্ভব নয়। কিন্তু দেশের বাইরে এ ধরনের প্রচারণা শুরু হওয়াতেই সেন্সরশিপ আরও জোরদার করা হয়, বাড়ানো হয় বেইজিংয়ের নিরাপত্তা। সেই সঙ্গে বিদেশি সাংবাদিকদের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। গত সপ্তাহে রাজধানীর কয়েকটি জায়গায় কিছু লোক বিক্ষোভ করতে চাইলে পুলিশ তাঁদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
বেইজিং ডেইলির মন্তব্য প্রতিবেদনে আভাস দেওয়া হয়েছে, এই পরিস্থিতিতে দেশের নিরাপত্তাব্যবস্থায় কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। এতে বলা হয়, প্রত্যেকেরই জানার কথা, স্থিতিশীলতা মানেই আশীর্বাদ; আর বিশৃঙ্খলা মানেই বিপর্যয়।
মধ্যপ্রাচের কয়েকটি দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি উল্লেখ করে পত্রিকাটি লিখেছে, ‘এই বিশৃঙ্খলা থেকে দেশগুলোর মানুষের ওপর মহাবিপর্যয় নেমে এসেছে। চীনের ভেতর ও বাইরে কিছু লোক চীনে এই ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে। লোকজন উসকে দেওয়ার জন্য তারা ইন্টারনেটকে কাজে লাগাচ্ছে।’
পত্রিকাটি আরও লিখেছে, ‘দেশে ও দেশের বাইরে এমন কিছু লোক সব সময় থাকে, যারা আমাদের উন্নয়নপ্রক্রিয়ার কিছু দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে সমস্যা সৃষ্টি করতে চায়।’ দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য দেশের নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানায় পত্রিকাটি। বেইজিং ডেইলির এই নিবন্ধটি অন্য পত্রপত্রিকায়ও ফলাও করে ছাপা হয়।
বেইজিং ডেইলি কমিউনিস্ট পার্টির বেইজিং শাখার মুখপত্র। পার্লামেন্টে বার্ষিক অধিবেশন শুরুর দিনই পত্রিকাটি এই সতর্কবার্তা দিল। গতকাল শনিবার এই অধিবেশন শুরু হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ওয়েন জিয়াবাও পার্লামেন্ট অধিবেশনে এই বলে সতর্ক করে দিয়েছেন যে দেশের মুদ্রাস্ফীতি সামাজিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করে দিতে পারে। ওই ভাষণে জিয়াবাও স্বীকার করেন, দেশের মানুষের মধ্যে বেশ অসন্তোষ রয়েছে। তিনি বলেন, মানুষের অনেক মৌলিক সমস্যার সমাধান তাঁর সরকার এখনো করতে পারেনি। আবাসনসমস্যা, খাদ্যনিরাপত্তা, দুর্নীতি ও ভূমি সমস্যাসহ অনেক বিষয়ে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে।
No comments