বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবেই দেখছে আইসিসি
ওয়েস্ট ইন্ডিজের টিম বাসে ঢিল, ঢিল পড়েছে সাকিব আল হাসানের মাগুরার বাড়িতেও। এ খবরগুলো আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের কারণে দ্রুতই ছড়িয়ে পড়েছে ক্রিকেট-বিশ্বে। আসল ব্যাপারটি যতই বিচ্ছিন্ন এবং ছোট হোক না কেন, বিশ্ব মিডিয়ায় এই খবর ঠাঁই পেয়েছে গুরুত্বের সঙ্গে। কদিন আগে বাংলাদেশি সমর্থকদের ক্রিকেট-প্রেম নিয়ে যেসব পত্রিকায় গালভরা প্রশংসা ছিল, সেই একই পত্রিকায় গুটিকয়েক সমর্থকের এই কাণ্ডের জন্য পৌঁছে গেল ভুল বার্তা। আশার কথা, আইসিসি এটিকে দেখছে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবেই।
কাল চেন্নাইয়ে আইসিসির প্রধান নির্বাহী হারুন লরগাতের সংবাদ সম্মেলনে সবচেয়ে গুরুত্ব পেল পরশুর এই প্রসঙ্গ। লরগাত বলেছেন, ‘এ ঘটনা অবশ্যই হতাশাজনক। এটি আমাদের কাম্য নয়। তবে আমাদের বাস্তব অবস্থা বিবেচনা করতে হবে। এটা আসলে ছিল বিচ্ছিন্ন একটি ঘটনা।’
অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনা ঘটার পর বাংলাদেশের নিরাপত্তাকর্মীদের তাৎক্ষণিক উদ্যোগেও সন্তুষ্ট আইসিসি, ‘যে ঘটনা ঘটেছে, তার পরও আমি নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে সন্তুষ্ট। পুলিশ সেখানে ছিল। এ ঘটনায় তারা কয়েকজনকে দ্রুত গ্রেপ্তারও করেছে।’ কেন এটিকে ‘বিচ্ছিন্ন’ ঘটনা হিসেবে দেখছেন, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন লরগাত, ‘হাতেগোনা কয়েকজন বাসে ইটের ছোট টুকরো ছুড়ে মেরেছে। সেগুলো আসলেই ছোট টুকরো ছিল।’
নিরাপত্তা আয়োজনে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের ওপর তাই আস্থা হারাচ্ছে না আইসিসি। লরগাত বলেছেন, ‘আগেও বলেছি, যে নিরাপত্তাব্যবস্থা আমরা নিয়েছি, তাতে আমি খুব, খুবই সন্তুষ্ট। আমাদের অভিজ্ঞ কর্মী আছে, অভিজ্ঞতাও আছে। বাংলাদেশ নিজস্ব উদ্যোগে এ ব্যাপারে একটা প্রতিবেদন তৈরি করছে। আমি নিশ্চিত, এরপর যথাযথ উদ্যোগই নেওয়া হবে।’
সব মিলে সমর্থকদের বৃহত্তর অংশটির আচরণটাই মুখ্য হয়ে দাঁড়াচ্ছে আইসিসির কাছে। চার-পাঁচজনের এমন অবিবেচক কাণ্ডে বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের নিখাদ ক্রিকেট-প্রেম তো আর কলঙ্কিত হতে পারে না। তবে রাগে বাহ্যজ্ঞান হারিয়ে ফেলা ওই অংশটির মনোভাবও বুঝতে পারছেন লরগাত, ‘আসলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাংলাদেশকে এত সহজে হারিয়ে দিয়েছে বলেই এই হতাশার জন্ম নিয়েছে।’
এখনো গ্রুপ পর্বেরই তিনটি ম্যাচ বাকি আছে বাংলাদেশের সূচিতে। ১১ মার্চ ইংল্যান্ড, ১৪ মার্চ হল্যান্ড এবং ১৯ মার্চ দক্ষিণ আফ্রিকা খেলবে বাংলাদেশের মাটিতে। এরপর বাংলাদেশে দুটি কোয়ার্টার ফাইনালও হবে। একটা গুঞ্জন ছড়িয়েছিল, হয়তো এরপর বিদেশি দলগুলো বাংলাদেশে যেতে রাজি হবে না। কিন্তু লরগাত বলছেন, এ ধরনের কিছু ঘটনার আশঙ্কা নেই, ‘আমাদের খুবই দৃঢ় একটা নিরাপত্তা পরিকল্পনা আছে। আমি নিশ্চিত, টুর্নামেন্ট তার সূচি অনুযায়ীই এগোবে। বাংলাদেশ থেকে ম্যাচ সরিয়ে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই।’
তার মানে কিন্তু এই নয় আইসিসি নিরাপত্তার বিষয়টি হালকা করে দেখছে। কারণ লরগাত এও মনে করিয়ে দিয়েছেন, পরিস্থিতি গুরুতর হলে নির্দ্বিধায় এক ভেন্যু থেকে ম্যাচ অন্য কোথাও সরিয়ে নেওয়া হবে, ‘অগুরুত্বপূর্ণ কোনো কিছুর কারণে আমরা ম্যাচ সরাব না। তবে এমন নয় এই পদক্ষেপ একেবারেই বাতিল করে দেওয়া হলো। যদিও এদিন যে ঘটনা ঘটেছে, সেটা কিন্তু ম্যাচ সরিয়ে ফেলার মতো গুরুতর নয়।’
বাংলাদেশি সমর্থকদের ওই ক্ষুদ্র অংশটিরও বোধ হয় সতর্ক হওয়ার সময় এসে গেছে!
কাল চেন্নাইয়ে আইসিসির প্রধান নির্বাহী হারুন লরগাতের সংবাদ সম্মেলনে সবচেয়ে গুরুত্ব পেল পরশুর এই প্রসঙ্গ। লরগাত বলেছেন, ‘এ ঘটনা অবশ্যই হতাশাজনক। এটি আমাদের কাম্য নয়। তবে আমাদের বাস্তব অবস্থা বিবেচনা করতে হবে। এটা আসলে ছিল বিচ্ছিন্ন একটি ঘটনা।’
অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনা ঘটার পর বাংলাদেশের নিরাপত্তাকর্মীদের তাৎক্ষণিক উদ্যোগেও সন্তুষ্ট আইসিসি, ‘যে ঘটনা ঘটেছে, তার পরও আমি নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে সন্তুষ্ট। পুলিশ সেখানে ছিল। এ ঘটনায় তারা কয়েকজনকে দ্রুত গ্রেপ্তারও করেছে।’ কেন এটিকে ‘বিচ্ছিন্ন’ ঘটনা হিসেবে দেখছেন, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন লরগাত, ‘হাতেগোনা কয়েকজন বাসে ইটের ছোট টুকরো ছুড়ে মেরেছে। সেগুলো আসলেই ছোট টুকরো ছিল।’
নিরাপত্তা আয়োজনে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের ওপর তাই আস্থা হারাচ্ছে না আইসিসি। লরগাত বলেছেন, ‘আগেও বলেছি, যে নিরাপত্তাব্যবস্থা আমরা নিয়েছি, তাতে আমি খুব, খুবই সন্তুষ্ট। আমাদের অভিজ্ঞ কর্মী আছে, অভিজ্ঞতাও আছে। বাংলাদেশ নিজস্ব উদ্যোগে এ ব্যাপারে একটা প্রতিবেদন তৈরি করছে। আমি নিশ্চিত, এরপর যথাযথ উদ্যোগই নেওয়া হবে।’
সব মিলে সমর্থকদের বৃহত্তর অংশটির আচরণটাই মুখ্য হয়ে দাঁড়াচ্ছে আইসিসির কাছে। চার-পাঁচজনের এমন অবিবেচক কাণ্ডে বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের নিখাদ ক্রিকেট-প্রেম তো আর কলঙ্কিত হতে পারে না। তবে রাগে বাহ্যজ্ঞান হারিয়ে ফেলা ওই অংশটির মনোভাবও বুঝতে পারছেন লরগাত, ‘আসলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাংলাদেশকে এত সহজে হারিয়ে দিয়েছে বলেই এই হতাশার জন্ম নিয়েছে।’
এখনো গ্রুপ পর্বেরই তিনটি ম্যাচ বাকি আছে বাংলাদেশের সূচিতে। ১১ মার্চ ইংল্যান্ড, ১৪ মার্চ হল্যান্ড এবং ১৯ মার্চ দক্ষিণ আফ্রিকা খেলবে বাংলাদেশের মাটিতে। এরপর বাংলাদেশে দুটি কোয়ার্টার ফাইনালও হবে। একটা গুঞ্জন ছড়িয়েছিল, হয়তো এরপর বিদেশি দলগুলো বাংলাদেশে যেতে রাজি হবে না। কিন্তু লরগাত বলছেন, এ ধরনের কিছু ঘটনার আশঙ্কা নেই, ‘আমাদের খুবই দৃঢ় একটা নিরাপত্তা পরিকল্পনা আছে। আমি নিশ্চিত, টুর্নামেন্ট তার সূচি অনুযায়ীই এগোবে। বাংলাদেশ থেকে ম্যাচ সরিয়ে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই।’
তার মানে কিন্তু এই নয় আইসিসি নিরাপত্তার বিষয়টি হালকা করে দেখছে। কারণ লরগাত এও মনে করিয়ে দিয়েছেন, পরিস্থিতি গুরুতর হলে নির্দ্বিধায় এক ভেন্যু থেকে ম্যাচ অন্য কোথাও সরিয়ে নেওয়া হবে, ‘অগুরুত্বপূর্ণ কোনো কিছুর কারণে আমরা ম্যাচ সরাব না। তবে এমন নয় এই পদক্ষেপ একেবারেই বাতিল করে দেওয়া হলো। যদিও এদিন যে ঘটনা ঘটেছে, সেটা কিন্তু ম্যাচ সরিয়ে ফেলার মতো গুরুতর নয়।’
বাংলাদেশি সমর্থকদের ওই ক্ষুদ্র অংশটিরও বোধ হয় সতর্ক হওয়ার সময় এসে গেছে!
No comments