পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে পাঁচ হাজার কোটি টাকার তহবিল
পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে ‘বাংলাদেশ ফান্ড’ নামে একটি ওপেন এন্ড মিউচুয়াল ফান্ড গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তহবিলটির আকার হবে পাঁচ হাজার কোটি টাকা। আজ রোববার দুপুরে রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) সম্মেলনকক্ষে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফায়েকুজ্জামান এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
ফায়েকুজ্জামান বলেন, তহবিলটির ৫০ শতাংশ মুদ্রাবাজারে এবং বাকি ৫০ শতাংশ পুঁজিবাজারে থাকবে। তবে সময়ের সঙ্গে তহবিলটির আকার পরিবর্তন হতে পারে। তিনি আরও জানান, সরকারি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান আইসিবি, চার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক (সোনালী, রূপালী, অগ্রণী ও জনতা), বাংলাদেশে জীবন বীমা করপোরেশন, সাধারণ বীমা করপোরেশন ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড (বিডিবিএল) যৌথভাবে এ তহবিলটি গঠন করবে। তবে অন্যান্য বেসরকারি ব্যাংক ও অব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানও তহবিল গঠনে অংশ নিতে পারবে। তিনি জানান, বাজারের বর্তমান অবস্থা ও সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে বিদ্যমান আইনের আওতার মধ্যেই তহবিলটি গঠন করা হচ্ছে।
আইসিবি তহবিলটির স্পন্সর হিসেবে কাজ করবে এবং অন্য সাতটি প্রতিষ্ঠান জয়েন্ট স্পন্সর হিসেবে থাকবে। স্পন্সর হিসেবে আইসিবি তহবিলের মোট অর্থের ১০ শতাংশ অর্থাত্ ৫০০ কোটি টাকা দেবে। অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো বাকি অর্থের জোগান দেবে। তিনি বলেন, তহবিলটি অনুমোদনের জন্য এ সপ্তাহের মধ্যে আইসিবির পরিচালনা পর্ষদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। একই সঙ্গে অন্য সাতটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সম্মতিক্রমে এবং সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) অনুমোদনের পরপরই তহবিলটি বাজারে আসবে।
এদিকে তহবিলটি শক্তিশালী করার লক্ষ্যে নতুন করে বাজারে আসা সরকারি যেকোনো প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের ১০ শতাংশ এবং নতুন আইপিওর ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৫ শতাংশ তহবিলটিকে শুধু অভিহিত মূল্যে দেওয়ার ব্যাপারে প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে নীতিগত সহযোগিতা চাওয়া হচ্ছে।
ফায়েকুজ্জামান আশা প্রকাশ করেন, নতুন এই তহবিলটি গঠনের ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার সঞ্চার হবে এবং বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে। বাজারে স্থিতিশীলতা ছাড়াও বিভিন্ন স্টেক হোল্ডার নতুন এই তহবিল থেকে সুবিধা পাবেন। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এই তহবিল গঠনে এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
No comments