প্রথমার্ধে বাজেট ঘাটতি ৫,০২৩ কোটি টাকা
চলতি ২০১০-১১ অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) বাজেট ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ২৩ কোটি ১১ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এতে আরও দেখা যায়, ওই ঘাটতি ২০০৯-১০ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের প্রথমার্ধে ঘাটতি অর্থায়নের পরিমাণ ছিল চার হাজার ১৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।
পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা যায়, ছয় মাসের এই ঘাটতি অর্থায়নে বিদেশি উৎস বড় ভূমিকা রাখছে।
পরিসংখ্যান অনুসারে, চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে বিদেশি উৎস থেকে সরকার তিন হাজার ১০৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছে। অবশ্য গত অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল সাত হাজার ৮৯৪ কোটি ৭১ লাখ টাকা। সে হিসাবে বিদেশি উৎস থেকে অর্থায়ন কমেছে প্রায় ১৫৫ শতাংশ।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বাজেট বক্তৃতায় বলেছিলেন, ‘ঘাটতি অর্থায়নে এবারও আমরা সহজ শর্তে স্বল্প সুদের বৈদেশিক উৎসকে গুরুত্ব দিচ্ছি।’ আর বাজেটে বিদেশি উৎস থেকে ঋণ গ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে ১০ হাজার ৮৩৪ কোটি টাকা।
আলোচ্য সময়কালে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে অর্থায়ন করা হয়েছে এক হাজার ৯১৫ কোটি ১৮ লাখ টাকা। আর গত অর্থবছরের প্রথমার্ধে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে অর্থায়ন ছিল নেতিবাচক। কেননা, ওই সময়ে ব্যাংকব্যবস্থা থেকে ঋণ গ্রহণের তুলনায় আগের নেওয়া ঋণ ফেরত দেওয়ার পরিমাণ ছিল অনেক বেশি। ফলে সরকারের হাতে ফেরতযোগ্য বাড়তি অর্থ জমে গিয়েছিল।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুসারে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে ব্যাংকব্যবস্থা থেকে সরকারের গৃহীত প্রকৃত ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে নেতিবাচক পর্যায়ে, যার পরিমাণ ৭৮১ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগের ঋণ ফেরত দেওয়ার পরও এই পরিমাণ ফেরতযোগ্য অর্থ সরকারের হাতে রয়েছে। আর গত অর্থবছরের একই সময়ে আগের ঋণ ফেরত দেওয়ার পরও সরকারের হাতে ফেরতযোগ্য সাত হাজার নয় হাজার ৮১৭ কোটি ১০ লাখ টাকা ছিল।
অন্যদিকে চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়কালে সরকার ব্যাংকবহির্ভূত উৎস থেকে দুই হাজার ৬৯৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে গৃহীত ঋণের পরিমাণ ছিল পাঁচ হাজার ৯৩৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
ব্যাংকবহির্ভূত উৎস থেকে ঋণের সিংহভাগই আসে বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে। প্রাপ্ত পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায় যে অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে সঞ্চয়পত্রের নিট বা প্রকৃত বিক্রি দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৯৬৯ কোটি ৭২ লাখ টাকার।
এটি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৬২ শতাংশ কমেছে। এর মানে হলো সঞ্চয়পত্রের বিক্রি ব্যাপকভাবে কমে গেছে।
একটি নির্দিষ্ট সময়ে সঞ্চয়পত্রের মোট বিক্রি থেকে ওই সময়ে নগদায়ন করা বা ভাঙানো সঞ্চয়পত্রের পরিমাণ বাদ দিলে যা পাওয়া যায়, তা সঞ্চয়পত্রের প্রকৃত বা নিট বিক্রি হিসেবে গণ্য করা হয়।
পরিসংখ্যান থেকে আরও জানা যায়, আলোচ্য সময়কালে সঞ্চয়পত্রের মোট বিক্রি দাঁড়িয়েছে নয় হাজার ১৩৯ কোটি ৪১ লাখ টাকা, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় সাড়ে ২৩ শতাংশ কম।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সরকার ২৩ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছে। অভ্যন্তরীণ উৎসে ব্যাংকব্যবস্থা থেকে ঋণ গ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে ১৫ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা। আর ব্যাংকবহির্ভূত উৎস থেকে ঋণ গ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে আট হাজার কোটি টাকা।
আর ২০১০-১১ অর্থবছরের ঘোষিত বাজেট অনুযায়ী, চলতি অর্থবছর সরকার মোট ঘাটতি প্রাক্কলন করেছে ৩৪ হাজার ৫১৪ কোটি টাকা।
২০০৯-১০ অর্থবছরের সামগ্রিকভাবে ঘাটতি অর্থায়নের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ১৮ হাজার ৯৯ কোটি টাকা, যা ছিল মোট দেশজ উৎপাদনের ২ দশমিক ৬২ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এতে আরও দেখা যায়, ওই ঘাটতি ২০০৯-১০ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের প্রথমার্ধে ঘাটতি অর্থায়নের পরিমাণ ছিল চার হাজার ১৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।
পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা যায়, ছয় মাসের এই ঘাটতি অর্থায়নে বিদেশি উৎস বড় ভূমিকা রাখছে।
পরিসংখ্যান অনুসারে, চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে বিদেশি উৎস থেকে সরকার তিন হাজার ১০৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছে। অবশ্য গত অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল সাত হাজার ৮৯৪ কোটি ৭১ লাখ টাকা। সে হিসাবে বিদেশি উৎস থেকে অর্থায়ন কমেছে প্রায় ১৫৫ শতাংশ।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বাজেট বক্তৃতায় বলেছিলেন, ‘ঘাটতি অর্থায়নে এবারও আমরা সহজ শর্তে স্বল্প সুদের বৈদেশিক উৎসকে গুরুত্ব দিচ্ছি।’ আর বাজেটে বিদেশি উৎস থেকে ঋণ গ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে ১০ হাজার ৮৩৪ কোটি টাকা।
আলোচ্য সময়কালে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে অর্থায়ন করা হয়েছে এক হাজার ৯১৫ কোটি ১৮ লাখ টাকা। আর গত অর্থবছরের প্রথমার্ধে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে অর্থায়ন ছিল নেতিবাচক। কেননা, ওই সময়ে ব্যাংকব্যবস্থা থেকে ঋণ গ্রহণের তুলনায় আগের নেওয়া ঋণ ফেরত দেওয়ার পরিমাণ ছিল অনেক বেশি। ফলে সরকারের হাতে ফেরতযোগ্য বাড়তি অর্থ জমে গিয়েছিল।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুসারে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে ব্যাংকব্যবস্থা থেকে সরকারের গৃহীত প্রকৃত ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে নেতিবাচক পর্যায়ে, যার পরিমাণ ৭৮১ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগের ঋণ ফেরত দেওয়ার পরও এই পরিমাণ ফেরতযোগ্য অর্থ সরকারের হাতে রয়েছে। আর গত অর্থবছরের একই সময়ে আগের ঋণ ফেরত দেওয়ার পরও সরকারের হাতে ফেরতযোগ্য সাত হাজার নয় হাজার ৮১৭ কোটি ১০ লাখ টাকা ছিল।
অন্যদিকে চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়কালে সরকার ব্যাংকবহির্ভূত উৎস থেকে দুই হাজার ৬৯৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে গৃহীত ঋণের পরিমাণ ছিল পাঁচ হাজার ৯৩৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
ব্যাংকবহির্ভূত উৎস থেকে ঋণের সিংহভাগই আসে বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে। প্রাপ্ত পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায় যে অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে সঞ্চয়পত্রের নিট বা প্রকৃত বিক্রি দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৯৬৯ কোটি ৭২ লাখ টাকার।
এটি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৬২ শতাংশ কমেছে। এর মানে হলো সঞ্চয়পত্রের বিক্রি ব্যাপকভাবে কমে গেছে।
একটি নির্দিষ্ট সময়ে সঞ্চয়পত্রের মোট বিক্রি থেকে ওই সময়ে নগদায়ন করা বা ভাঙানো সঞ্চয়পত্রের পরিমাণ বাদ দিলে যা পাওয়া যায়, তা সঞ্চয়পত্রের প্রকৃত বা নিট বিক্রি হিসেবে গণ্য করা হয়।
পরিসংখ্যান থেকে আরও জানা যায়, আলোচ্য সময়কালে সঞ্চয়পত্রের মোট বিক্রি দাঁড়িয়েছে নয় হাজার ১৩৯ কোটি ৪১ লাখ টাকা, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় সাড়ে ২৩ শতাংশ কম।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সরকার ২৩ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছে। অভ্যন্তরীণ উৎসে ব্যাংকব্যবস্থা থেকে ঋণ গ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে ১৫ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা। আর ব্যাংকবহির্ভূত উৎস থেকে ঋণ গ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে আট হাজার কোটি টাকা।
আর ২০১০-১১ অর্থবছরের ঘোষিত বাজেট অনুযায়ী, চলতি অর্থবছর সরকার মোট ঘাটতি প্রাক্কলন করেছে ৩৪ হাজার ৫১৪ কোটি টাকা।
২০০৯-১০ অর্থবছরের সামগ্রিকভাবে ঘাটতি অর্থায়নের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ১৮ হাজার ৯৯ কোটি টাকা, যা ছিল মোট দেশজ উৎপাদনের ২ দশমিক ৬২ শতাংশ।
No comments