আফ্রিকা-বন্দনায় তারকারাজি
আফ্রিকা—এই সেদিনও নামটা শুনলেই ইউরোপ-আমেরিকা নাক সিটকিয়েছে। সেই আফ্রিকায় গত এক মাসে কী না হলো? কে না এলেন দক্ষিণ আফ্রিকায়? হলিউড তারকা ডন ট্রাভোল্টা, লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও, রক তারকা মিক জ্যাগার থেকে শুরু করে বিল ক্লিনটন, অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের পদচারণে মুখর হয়ে উঠল আফ্রিকা।
এই সব মহা মহা তারকাকে দক্ষিণ আফ্রিকায় টেনে নিয়ে এল বিশ্বের বৃহত্তম আনন্দযজ্ঞ বিশ্বকাপ। বিশ্বের নামজাদা তারকারা শুধু খেলা দেখতে এলেন, দ্যুতি ছড়ালেন, তা নয়; যাওয়ার সময় দক্ষিণ আফ্রিকাকে ভাসিয়ে গেলেন প্রশংসার বন্যায়। তারকাদের সুর মিলে গেল সেপ ব্ল্যাটারের সঙ্গে।
ব্ল্যাটারের ব্যাপারটা আলাদা। দক্ষিণ আফ্রিকান বিশ্বকাপ জঘন্যতম আয়োজন হলেও তাঁকে বলতে হতো সেরা আয়োজন। একে তো ফিফা সভাপতি হিসেবে তিনি এটা বলতে বাধ্য। তার ওপর আবার দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বকাপ আনায় ভদ্রলোকের বিশেষ চেষ্টার ইতিহাস আছে।
সব মিলিয়ে ব্ল্যাটার নিজের করণীয় কাজটাই করলেন। বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার আগে আরও একবার ঘোষণা করে দিলেন, গর্ব করার মতো বিশ্বকাপ আয়োজন করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা, ‘আফ্রিকা এখন গর্ব করতে পারে। দক্ষিণ আফ্রিকা গর্ব করতে পারে, গর্ব করতে পারে আফ্রিকার ফুটবল। আমরা প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। আমি আজ খুবই তৃপ্ত একজন সভাপতি।’
ফিফা সভাপতির তৃপ্তি নানাভাবে ঝরে পড়ছে কণ্ঠে। প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্টেডিয়ামগুলোকে, ‘স্থাপত্যের দিক থেকে দেখতে গেলে বলতে হয়, এই স্টেডিয়ামগুলো একেকটি রত্ন। এগুলো সত্যি সত্যিই অসাধারণ। স্টেডিয়ামের যেখানেই দর্শক বসুন না কেন, তিনি মাঠের পুরোটুকু দেখতে পেয়েছেন। ইউরোপিয়ান এমন একটা দেশও পাওয়া যাবে না, যেখানে এতগুলো উচ্চমানের স্টেডিয়াম আছে।’
ব্ল্যাটারের এই আফ্রিকা-বন্দনায় কেউ তাঁর স্বার্থ, উদ্দেশ্য খুঁজে পেতে পারেন। কিন্তু এই একই রকম বন্দনা শোনা যাচ্ছে বিশ্বকাপ ঘুরে যাওয়া তারকাদের কাছ থেকেও। তারকারা তো এমন বক্তৃতা করে কথা বলছেন না। তাই তাঁরা বেছে নিয়েছেন টুইটারকে।
সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট টুইটারকে বিশ্বকাপ উপলক্ষে তাদের সব রেকর্ড প্রায় নতুন করে লিখতে হচ্ছে। আগে প্রতি সেকেন্ডে যেখানে গড়ে ৭৫০টি পোস্ট আসত, বিশ্বকাপের সময় এক সেকেন্ডে সর্বোচ্চ তিন হাজার ২৮৩টি পোস্ট আসার ঘটনাও ঘটেছে!
এই পোস্টদাতাদের তালিকায় তারকারাও আছেন। তাঁরা টুইটার-পোস্টে আফ্রিকা-বন্দনায় মেতেছেন। আফ্রিকান বিশ্বকাপে পপ গায়িকা সাকিরা এতটাই মজেছেন যে তিনি লিখেছেন, ‘আমি চাই না বিশ্বকাপ এখনই শেষ হয়ে যাক। আসুন, আমরা সবাই মিলে ফিফাকে বলি, মাসখানেক লম্বা করতে! কি বলেন, হবে না?’
আমেরিকার হিপ হপ গানের দল ‘ব্লাক আইড পিজ’ গ্যালারিতে নিজেদের ছবি তুলে সেটা পোস্ট করেছে। সঙ্গে লিখেছে, ‘২০ বছর আগে কেউ কল্পনাও করেনি, পুরো বিশ্ব একদিন দক্ষিণ আফ্রিকায় চলে আসবে বিশ্বকাপ উপলক্ষে। ঐতিহাসিক ব্যাপার।’ এই ঐতিহাসিক মুহূর্তটা আফ্রিকানরা দারুণভাবে পালন করতে পেরেছে বলেই ধারণা গায়ক অ্যাকনের। তিনি লিখেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা রকস! এমন জায়গাতেই আসতে হয়। থ্যাংক ইউ দক্ষিণ আফ্রিকা।’
সাবেক সুপার মডেল কিমোরা লি সিমনস যাওয়ার সময় দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য তাঁর কষ্টের কথা জানিয়ে গেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা ছেড়ে যেতে কষ্ট হচ্ছে। সবাইকে ভালোবাসা ও সহানুভূতির জন্য ধন্যবাদ। আমরা আবার ফিরে আসব।’
এখন তো পুরো বিশ্বের বলার কথা—আমরা আবার ফিরে আসব।
এই সব মহা মহা তারকাকে দক্ষিণ আফ্রিকায় টেনে নিয়ে এল বিশ্বের বৃহত্তম আনন্দযজ্ঞ বিশ্বকাপ। বিশ্বের নামজাদা তারকারা শুধু খেলা দেখতে এলেন, দ্যুতি ছড়ালেন, তা নয়; যাওয়ার সময় দক্ষিণ আফ্রিকাকে ভাসিয়ে গেলেন প্রশংসার বন্যায়। তারকাদের সুর মিলে গেল সেপ ব্ল্যাটারের সঙ্গে।
ব্ল্যাটারের ব্যাপারটা আলাদা। দক্ষিণ আফ্রিকান বিশ্বকাপ জঘন্যতম আয়োজন হলেও তাঁকে বলতে হতো সেরা আয়োজন। একে তো ফিফা সভাপতি হিসেবে তিনি এটা বলতে বাধ্য। তার ওপর আবার দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বকাপ আনায় ভদ্রলোকের বিশেষ চেষ্টার ইতিহাস আছে।
সব মিলিয়ে ব্ল্যাটার নিজের করণীয় কাজটাই করলেন। বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার আগে আরও একবার ঘোষণা করে দিলেন, গর্ব করার মতো বিশ্বকাপ আয়োজন করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা, ‘আফ্রিকা এখন গর্ব করতে পারে। দক্ষিণ আফ্রিকা গর্ব করতে পারে, গর্ব করতে পারে আফ্রিকার ফুটবল। আমরা প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। আমি আজ খুবই তৃপ্ত একজন সভাপতি।’
ফিফা সভাপতির তৃপ্তি নানাভাবে ঝরে পড়ছে কণ্ঠে। প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্টেডিয়ামগুলোকে, ‘স্থাপত্যের দিক থেকে দেখতে গেলে বলতে হয়, এই স্টেডিয়ামগুলো একেকটি রত্ন। এগুলো সত্যি সত্যিই অসাধারণ। স্টেডিয়ামের যেখানেই দর্শক বসুন না কেন, তিনি মাঠের পুরোটুকু দেখতে পেয়েছেন। ইউরোপিয়ান এমন একটা দেশও পাওয়া যাবে না, যেখানে এতগুলো উচ্চমানের স্টেডিয়াম আছে।’
ব্ল্যাটারের এই আফ্রিকা-বন্দনায় কেউ তাঁর স্বার্থ, উদ্দেশ্য খুঁজে পেতে পারেন। কিন্তু এই একই রকম বন্দনা শোনা যাচ্ছে বিশ্বকাপ ঘুরে যাওয়া তারকাদের কাছ থেকেও। তারকারা তো এমন বক্তৃতা করে কথা বলছেন না। তাই তাঁরা বেছে নিয়েছেন টুইটারকে।
সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট টুইটারকে বিশ্বকাপ উপলক্ষে তাদের সব রেকর্ড প্রায় নতুন করে লিখতে হচ্ছে। আগে প্রতি সেকেন্ডে যেখানে গড়ে ৭৫০টি পোস্ট আসত, বিশ্বকাপের সময় এক সেকেন্ডে সর্বোচ্চ তিন হাজার ২৮৩টি পোস্ট আসার ঘটনাও ঘটেছে!
এই পোস্টদাতাদের তালিকায় তারকারাও আছেন। তাঁরা টুইটার-পোস্টে আফ্রিকা-বন্দনায় মেতেছেন। আফ্রিকান বিশ্বকাপে পপ গায়িকা সাকিরা এতটাই মজেছেন যে তিনি লিখেছেন, ‘আমি চাই না বিশ্বকাপ এখনই শেষ হয়ে যাক। আসুন, আমরা সবাই মিলে ফিফাকে বলি, মাসখানেক লম্বা করতে! কি বলেন, হবে না?’
আমেরিকার হিপ হপ গানের দল ‘ব্লাক আইড পিজ’ গ্যালারিতে নিজেদের ছবি তুলে সেটা পোস্ট করেছে। সঙ্গে লিখেছে, ‘২০ বছর আগে কেউ কল্পনাও করেনি, পুরো বিশ্ব একদিন দক্ষিণ আফ্রিকায় চলে আসবে বিশ্বকাপ উপলক্ষে। ঐতিহাসিক ব্যাপার।’ এই ঐতিহাসিক মুহূর্তটা আফ্রিকানরা দারুণভাবে পালন করতে পেরেছে বলেই ধারণা গায়ক অ্যাকনের। তিনি লিখেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা রকস! এমন জায়গাতেই আসতে হয়। থ্যাংক ইউ দক্ষিণ আফ্রিকা।’
সাবেক সুপার মডেল কিমোরা লি সিমনস যাওয়ার সময় দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য তাঁর কষ্টের কথা জানিয়ে গেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা ছেড়ে যেতে কষ্ট হচ্ছে। সবাইকে ভালোবাসা ও সহানুভূতির জন্য ধন্যবাদ। আমরা আবার ফিরে আসব।’
এখন তো পুরো বিশ্বের বলার কথা—আমরা আবার ফিরে আসব।
No comments