স্পেন না হল্যান্ড—দ্বিধায় রোমারিও
আগামীকাল ফাইনাল। মুখোমুখি হবে ইউরোপীয় ফুটবলের দুই পরাশক্তি স্পেন ও হল্যান্ড। যারাই জিতুক, প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপা হাতে পাওয়ার পরমানন্দে নাচে-গানে মেতে উঠবে। তা কোন দলের হাতে বিশ্বকাপ ট্রফিটা দেখার বাসনা আপনার? ব্রাজিলের ১৯৯৪ বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক রোমারিও কিন্তু পড়ে গেছেন উভয় সংকটে। কোনোভাবেই এক দলকে বেছে নিতে পারছেন না।
বলতে পারেন, ফাইনালের আগে তাঁর হূদয়টা দ্বিখণ্ডিত। এক ভাগ চাইছে হল্যান্ড জিতুক, অন্য অংশ সমর্থন দিচ্ছে স্পেনকে। দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রাজিলের ‘হেক্সা’ জয়ের মিশন ব্যর্থ করে দিয়েছে হল্যান্ড। কোয়ার্টার ফাইনালে ডাচদের কাছে হেরেই হতাশা আর অপমানের লজ্জা মাথায় নিয়ে দেশে ফিরে গেছে ব্রাজিল। রোমারিওর তাই হল্যান্ড-বিদ্বেষী হয়ে স্পেনকেই সমর্থন দিয়ে যাওয়ার কথা! কিন্তু তিনি তা পারছেন না। তাঁকে সেই পথে হাঁটতে দিচ্ছে না তাঁর খেলোয়াড়ি জীবন। যে জীবন তাঁকে হতে দিচ্ছে না স্পেন-বিদ্বেষীও।
কারণ খেলোয়াড়ি জীবনে রোমারিও যেমন হল্যান্ডে ক্লাব ফুটবল খেলেছেন, তেমনি খেলেছেন স্পেনেও। যে কারণে এই দুই দেশের ফুটবলের প্রতিই তাঁর অগাধ ভালোবাসা। খেলোয়াড়ি জীবনের স্মৃতিবিজরিত দুই দেশের ফাইনাল রোমারিওকে তাই বানিয়ে দিয়েছে ‘নিরপেক্ষ’ সমর্থক। খেলোয়াড়ি জীবনের সেই স্মৃতিচারণা করে রোমারিও বলেছেন, ‘দুটি দেশেই খেলার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। পিএসভি আইন্দহোফেনের হয়ে হল্যান্ডে খেলেছি সাড়ে পাঁচ বছর, এর পর বার্সেলোনায় দেড় বছর কাটিয়ে খেলেছি ভ্যালেন্সিয়ায়। সত্যিই আমার হূদয়টা দুই ভাগে বিভক্ত।’
ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, জার্মানি—সবাই বিদায় নিয়েছে। তবে রোমারিও মনে করছেন সেরা দুটি দলই ফাইনালে উঠেছে, ‘দুটি দলই সেরা ফুটবল প্রদর্শন করেছে। আর এ জন্যই তারা ফাইনালে।’
হূদয় দ্বিধাবিভক্ত। তাই একক কোনো দলকে সমর্থন করাটা তাঁর জন্য হয়তো কঠিনই হবে। কে চ্যাম্পিয়ন হবে, সেই ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারছেন না ব্রাজিলের হয়ে ৭০ ম্যাচে ৫৫ গোল করা এই স্ট্রাইকার। তবে জয়ী যে ফুটবলই হবে, এতে সন্দেহ নেই তাঁর, ‘কে চ্যাম্পিয়ন হবে, এটা বলা কঠিন। তবে এই দুটি দল যখন খেলবে, সত্যিকারের জয়টা হবে ফুটবলের।’
ব্রাজিল এবার পারেনি। তবে নিজেদের দেশে ২০১৪ বিশ্বকাপের সাফল্য নিয়ে রোমারিও এখনই স্বপ্ন দেখতে শুরু করছেন, ‘ব্রাজিলের বিশ্বকাপটা হবে সম্ভবত সেরা। আমরা ব্রাজিলিয়ানরা সেই মুহূর্তটির অপেক্ষাই করছি। এটিকে সত্যিকার উৎসবে রূপ দিতে পারার ব্যাপারে আমরা আত্মবিশ্বাসী। একই সঙ্গে আশাবাদী, মাঠে আমাদের ফুটবলাররাই চ্যাম্পিয়ন হবে। ২০০২-এর পর সেটিই হবে আমাদের ফুটবলের জন্য সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্ত।’
বলতে পারেন, ফাইনালের আগে তাঁর হূদয়টা দ্বিখণ্ডিত। এক ভাগ চাইছে হল্যান্ড জিতুক, অন্য অংশ সমর্থন দিচ্ছে স্পেনকে। দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রাজিলের ‘হেক্সা’ জয়ের মিশন ব্যর্থ করে দিয়েছে হল্যান্ড। কোয়ার্টার ফাইনালে ডাচদের কাছে হেরেই হতাশা আর অপমানের লজ্জা মাথায় নিয়ে দেশে ফিরে গেছে ব্রাজিল। রোমারিওর তাই হল্যান্ড-বিদ্বেষী হয়ে স্পেনকেই সমর্থন দিয়ে যাওয়ার কথা! কিন্তু তিনি তা পারছেন না। তাঁকে সেই পথে হাঁটতে দিচ্ছে না তাঁর খেলোয়াড়ি জীবন। যে জীবন তাঁকে হতে দিচ্ছে না স্পেন-বিদ্বেষীও।
কারণ খেলোয়াড়ি জীবনে রোমারিও যেমন হল্যান্ডে ক্লাব ফুটবল খেলেছেন, তেমনি খেলেছেন স্পেনেও। যে কারণে এই দুই দেশের ফুটবলের প্রতিই তাঁর অগাধ ভালোবাসা। খেলোয়াড়ি জীবনের স্মৃতিবিজরিত দুই দেশের ফাইনাল রোমারিওকে তাই বানিয়ে দিয়েছে ‘নিরপেক্ষ’ সমর্থক। খেলোয়াড়ি জীবনের সেই স্মৃতিচারণা করে রোমারিও বলেছেন, ‘দুটি দেশেই খেলার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। পিএসভি আইন্দহোফেনের হয়ে হল্যান্ডে খেলেছি সাড়ে পাঁচ বছর, এর পর বার্সেলোনায় দেড় বছর কাটিয়ে খেলেছি ভ্যালেন্সিয়ায়। সত্যিই আমার হূদয়টা দুই ভাগে বিভক্ত।’
ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, জার্মানি—সবাই বিদায় নিয়েছে। তবে রোমারিও মনে করছেন সেরা দুটি দলই ফাইনালে উঠেছে, ‘দুটি দলই সেরা ফুটবল প্রদর্শন করেছে। আর এ জন্যই তারা ফাইনালে।’
হূদয় দ্বিধাবিভক্ত। তাই একক কোনো দলকে সমর্থন করাটা তাঁর জন্য হয়তো কঠিনই হবে। কে চ্যাম্পিয়ন হবে, সেই ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারছেন না ব্রাজিলের হয়ে ৭০ ম্যাচে ৫৫ গোল করা এই স্ট্রাইকার। তবে জয়ী যে ফুটবলই হবে, এতে সন্দেহ নেই তাঁর, ‘কে চ্যাম্পিয়ন হবে, এটা বলা কঠিন। তবে এই দুটি দল যখন খেলবে, সত্যিকারের জয়টা হবে ফুটবলের।’
ব্রাজিল এবার পারেনি। তবে নিজেদের দেশে ২০১৪ বিশ্বকাপের সাফল্য নিয়ে রোমারিও এখনই স্বপ্ন দেখতে শুরু করছেন, ‘ব্রাজিলের বিশ্বকাপটা হবে সম্ভবত সেরা। আমরা ব্রাজিলিয়ানরা সেই মুহূর্তটির অপেক্ষাই করছি। এটিকে সত্যিকার উৎসবে রূপ দিতে পারার ব্যাপারে আমরা আত্মবিশ্বাসী। একই সঙ্গে আশাবাদী, মাঠে আমাদের ফুটবলাররাই চ্যাম্পিয়ন হবে। ২০০২-এর পর সেটিই হবে আমাদের ফুটবলের জন্য সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্ত।’
No comments