অরক্ষিত জাতীয় জাদুঘর - নিদর্শনের বিস্তারিত তালিকা তৈরি করুন
আমাদের জাতীয় জাদুঘরের অবস্থাটা অদ্ভুত। গত রোববার খবর বেরোল, জাদুঘর থেকে দুটি পদক ও ২৪টি মুদ্রা খোয়া গেছে। কিন্তু এটা অনুমান মাত্র। নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছে না, ঠিক কতটি নিদর্শন কবে চুরি হয়েছে। দ্বিতীয় তলার ২১ নম্বর গ্যালারির তিনটি শোকেসের নিদর্শনের মধ্যে গরমিল ধরা পড়েছে গত এপ্রিল মাসে। তারপর তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে তদন্ত করা হয়েছে। কিন্তু সেই তদন্ত নিষ্ফল, কারণ ২১ নম্বর গ্যালারিতে কী প্রকারের কতটি নিদর্শন ছিল, তার কোনো হিসাব নেই, আদৌ কখনো হিসাব করা হয়েছিল কি না, কেউ জানে না। তা হলে কী খোয়া গেছে, কতটি খোয়া গেছে, তা নির্ণয় করা কীভাবে সম্ভব?
গরমিল লাগছে শুধু চোখের দেখায়। মনে হচ্ছে, কী যেন নেই, যা আগে ছিল। এই হলো আমাদের জাতীয় জাদুঘরের ব্যবস্থাপনা! কী প্রকারের মোট কতটি নিদর্শন জাদুঘরে রয়েছে, তার কোনো বিস্তারিত তালিকা (ইনভেন্টরি) নেই। বহু বছর ধরে কোনো তালিকা তৈরি করা হয়নি। তাহলে কী করে চলছে আমাদের জাতীয় জাদুঘর? কী পদ্ধতিতে সংরক্ষিত ও প্রদর্শিত হচ্ছে জাতীয় ইতিহাস-ঐতিহ্যের নিদর্শনগুলো? আসলে সংরক্ষিত হচ্ছে, নাকি দিনে দিনে নীরবে গোপনে নিদর্শনগুলোর সংখ্যা কমে যাচ্ছে, তাও নিশ্চিতভাবে নির্ণয় করা কঠিন।
কিন্তু কেন জাদুঘরে সংরক্ষিত নিদর্শনের বিস্তারিত তালিকা বা হিসাব নেই? জাদুঘরের সাবেক মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান জাদুঘরের অভ্যন্তরে একটি চক্র আছে বলে মন্তব্য করেছেন, যারা চায় না জাদুঘরের নিদর্শনগুলোর হিসাবসংবলিত একটি প্রতিবেদন তৈরি করা হোক। তিনি মহাপরিচালক থাকার সময় বেশ কয়েকবার বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশের উদ্যোগ নিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন জাদুঘরেরই কয়েকজন কর্মকর্তার অসহযোগিতার কারণে।
বুঝতে কষ্ট হয় না, নিদর্শনের হিসাব না থাকলে চোরদের সুবিধা হয়। নিদর্শন চুরির সাম্প্রতিক ঘটনা প্রসঙ্গে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন মন্তব্য করেছেন, চুরির ধরন থেকে তাঁর মনে হয়েছে, জাদুঘরের ভেতরের লোকেরাই এর সঙ্গে জড়িত। পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে, শাহবাগ থানায় মামলা হয়েছে। কিন্তু জাদুঘরের মহাপরিচালক প্রকাশ চন্দ্র দাস বলছেন, ঠিক কোন সময় নিদর্শনগুলো খোয়া গেছে, তা তাঁরা বুঝতে পারছেন না বলে কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারছেন না। জাতীয় ইতিহাস-ঐতিহ্যের দুর্লভ সব নিদর্শন চুরি-পাচারে লিপ্ত চক্রের জন্য এর চেয়ে সুবিধাজনক অবস্থা আর কী হতে পারে?
জাতীয় জাদুঘরের অভ্যন্তরের ওই চোর চক্রটি গুঁড়িয়ে দিতে হবে। পৃথিবীর কোনো সভ্য দেশের জাতীয় জাদুঘর এমনভাবে চলে না। জাদুঘরে সংরক্ষিত ও প্রদর্শিত প্রতিটি নিদর্শনের আলোকচিত্র, ডিজিটাল ইমেজ ও বিস্তারিত বিবরণসহ বিশদ তালিকা করে সেগুলো কাগুজে দলিল আকারে ও কম্পিউটারে সংরক্ষণ করার উদ্যোগ নেওয়া আশু প্রয়োজন। সেই সঙ্গে পুরো জাদুঘরের প্রতিটি বিভাগে পর্যাপ্তসংখ্যক সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানের উদ্যোগ নিতে হবে।
গরমিল লাগছে শুধু চোখের দেখায়। মনে হচ্ছে, কী যেন নেই, যা আগে ছিল। এই হলো আমাদের জাতীয় জাদুঘরের ব্যবস্থাপনা! কী প্রকারের মোট কতটি নিদর্শন জাদুঘরে রয়েছে, তার কোনো বিস্তারিত তালিকা (ইনভেন্টরি) নেই। বহু বছর ধরে কোনো তালিকা তৈরি করা হয়নি। তাহলে কী করে চলছে আমাদের জাতীয় জাদুঘর? কী পদ্ধতিতে সংরক্ষিত ও প্রদর্শিত হচ্ছে জাতীয় ইতিহাস-ঐতিহ্যের নিদর্শনগুলো? আসলে সংরক্ষিত হচ্ছে, নাকি দিনে দিনে নীরবে গোপনে নিদর্শনগুলোর সংখ্যা কমে যাচ্ছে, তাও নিশ্চিতভাবে নির্ণয় করা কঠিন।
কিন্তু কেন জাদুঘরে সংরক্ষিত নিদর্শনের বিস্তারিত তালিকা বা হিসাব নেই? জাদুঘরের সাবেক মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান জাদুঘরের অভ্যন্তরে একটি চক্র আছে বলে মন্তব্য করেছেন, যারা চায় না জাদুঘরের নিদর্শনগুলোর হিসাবসংবলিত একটি প্রতিবেদন তৈরি করা হোক। তিনি মহাপরিচালক থাকার সময় বেশ কয়েকবার বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশের উদ্যোগ নিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন জাদুঘরেরই কয়েকজন কর্মকর্তার অসহযোগিতার কারণে।
বুঝতে কষ্ট হয় না, নিদর্শনের হিসাব না থাকলে চোরদের সুবিধা হয়। নিদর্শন চুরির সাম্প্রতিক ঘটনা প্রসঙ্গে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন মন্তব্য করেছেন, চুরির ধরন থেকে তাঁর মনে হয়েছে, জাদুঘরের ভেতরের লোকেরাই এর সঙ্গে জড়িত। পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে, শাহবাগ থানায় মামলা হয়েছে। কিন্তু জাদুঘরের মহাপরিচালক প্রকাশ চন্দ্র দাস বলছেন, ঠিক কোন সময় নিদর্শনগুলো খোয়া গেছে, তা তাঁরা বুঝতে পারছেন না বলে কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারছেন না। জাতীয় ইতিহাস-ঐতিহ্যের দুর্লভ সব নিদর্শন চুরি-পাচারে লিপ্ত চক্রের জন্য এর চেয়ে সুবিধাজনক অবস্থা আর কী হতে পারে?
জাতীয় জাদুঘরের অভ্যন্তরের ওই চোর চক্রটি গুঁড়িয়ে দিতে হবে। পৃথিবীর কোনো সভ্য দেশের জাতীয় জাদুঘর এমনভাবে চলে না। জাদুঘরে সংরক্ষিত ও প্রদর্শিত প্রতিটি নিদর্শনের আলোকচিত্র, ডিজিটাল ইমেজ ও বিস্তারিত বিবরণসহ বিশদ তালিকা করে সেগুলো কাগুজে দলিল আকারে ও কম্পিউটারে সংরক্ষণ করার উদ্যোগ নেওয়া আশু প্রয়োজন। সেই সঙ্গে পুরো জাদুঘরের প্রতিটি বিভাগে পর্যাপ্তসংখ্যক সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানের উদ্যোগ নিতে হবে।
No comments