দামেস্কে রাজনৈতিক পালাবদলের আহবান মস্কোর
সিরিয়ায় রাজনৈতিক পালাবদলের প্রক্রিয়া শুরুর আহবান জানিয়েছে রাশিয়া। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে গতকাল শনিবার এ আহবান জানানো হয়। তবে বাইরে থেকে হস্তক্ষেপ করে নয়, বরং সিরীয়রা নিজেরাই তাদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে_এ ব্যাপারেও মস্কো তাদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে।
গত শুক্রবার সিরিয়ার চলমান সংকট সুরাহার প্রশ্নে মস্কো ও ওয়াশিংটনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে জেনেভায় জাতিসংঘের বিশেষ দূত লাখদার ব্রাহিমির বৈঠক হয়েছে। কোনো সমাধান ছাড়াই শেষ হওয়া ত্রিপক্ষীয় ওই বৈঠকের পরের দিন এ আহবান জানাল রাশিয়া। বৈঠকে রাশিয়ার পক্ষে উপ-পরাষ্ট্রমন্ত্রী মিখাইল বোগদানভ ও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম বার্নস নেতৃত্ব দেন।
এদিকে সিরিয়ার সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির বিষয়টি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) তোলার পক্ষে ৫০টিরও বেশি দেশ সমর্থন দিয়েছে। জাতিসংঘের খসড়া ওই প্রস্তাবের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এপি জানায়, আগামীকাল সোমবার প্রস্তাবটি নিরাপত্তা পরিষদে তোলা হবে।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'আমাদের মতে সিরিয়ার সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে প্রধান কাজ হলো দ্রুত সহিংসতা ও রক্তক্ষয় বন্ধ করা। পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরে ঘরহারা মানুষ ও দেশের বাইরে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের প্রতি মানবিক সাহায্যের হাত বাড়ানো। একই সঙ্গে দেশটির সব গোষ্ঠীর জন্য সম-অধিকার ও আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক পালাবদলের বিষয়টি শুরু করা জরুরি।' ব্রাহিমির শান্তি প্রতিষ্ঠার অভিযানের প্রতি মস্কোর অবস্থান 'অপরিবর্তিত' থাকবে বলেও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে। পরবর্তী সময়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে নিজেদের সমর্থন থাকবে বলে জানায় তারা।
সিরিয়ার ব্যাপারটি আইসিসিতে তোলার জাতিসংঘের প্রস্তাবে সমর্থন দেওয়া দেশগুলোর পক্ষে সই করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের প্রতিনিধি। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী দুই সদস্যরাষ্ট্র ব্রিটেন ও ফ্রান্সেরও এতে সায় আছে। তবে পরিষদের বাকি তিন দেশ যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়া এতে সই করেনি।
সুইজারল্যান্ডের মুখপাত্র আদ্রিয়ান সোলবার্জার জানান, সিরিয়ায় যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হওয়ার যে অভিযোগ আছে_এ বিষয়ে আইসিসিতে যাওয়ার ব্যাপারে গত বছরের জুনে প্রথম উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এখন এতে ৫০টিরও বেশি দেশ সমর্থন দিয়েছে।
কেবল নিরাপত্তা পরিষদই সিরিয়ার ব্যাপারটি আইসিসিতে পাঠাতে পারে। কারণ, যে প্রস্তাবের মাধ্যমে নেদারল্যান্ডসের হেগে আইসিসি স্থাপন করা হয়, সিরিয়া তাতে সই করেনি।
সূত্র : এএফপি, নিউজভাইন।
এদিকে সিরিয়ার সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির বিষয়টি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) তোলার পক্ষে ৫০টিরও বেশি দেশ সমর্থন দিয়েছে। জাতিসংঘের খসড়া ওই প্রস্তাবের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এপি জানায়, আগামীকাল সোমবার প্রস্তাবটি নিরাপত্তা পরিষদে তোলা হবে।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'আমাদের মতে সিরিয়ার সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে প্রধান কাজ হলো দ্রুত সহিংসতা ও রক্তক্ষয় বন্ধ করা। পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরে ঘরহারা মানুষ ও দেশের বাইরে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের প্রতি মানবিক সাহায্যের হাত বাড়ানো। একই সঙ্গে দেশটির সব গোষ্ঠীর জন্য সম-অধিকার ও আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক পালাবদলের বিষয়টি শুরু করা জরুরি।' ব্রাহিমির শান্তি প্রতিষ্ঠার অভিযানের প্রতি মস্কোর অবস্থান 'অপরিবর্তিত' থাকবে বলেও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে। পরবর্তী সময়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে নিজেদের সমর্থন থাকবে বলে জানায় তারা।
সিরিয়ার ব্যাপারটি আইসিসিতে তোলার জাতিসংঘের প্রস্তাবে সমর্থন দেওয়া দেশগুলোর পক্ষে সই করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের প্রতিনিধি। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী দুই সদস্যরাষ্ট্র ব্রিটেন ও ফ্রান্সেরও এতে সায় আছে। তবে পরিষদের বাকি তিন দেশ যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়া এতে সই করেনি।
সুইজারল্যান্ডের মুখপাত্র আদ্রিয়ান সোলবার্জার জানান, সিরিয়ায় যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হওয়ার যে অভিযোগ আছে_এ বিষয়ে আইসিসিতে যাওয়ার ব্যাপারে গত বছরের জুনে প্রথম উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এখন এতে ৫০টিরও বেশি দেশ সমর্থন দিয়েছে।
কেবল নিরাপত্তা পরিষদই সিরিয়ার ব্যাপারটি আইসিসিতে পাঠাতে পারে। কারণ, যে প্রস্তাবের মাধ্যমে নেদারল্যান্ডসের হেগে আইসিসি স্থাপন করা হয়, সিরিয়া তাতে সই করেনি।
সূত্র : এএফপি, নিউজভাইন।
No comments