ফরাসি ব্যবসায়ীর দাবি-গাদ্দাফির কাছ থেকে পাঁচ কোটি ইউরো নেন সারকোজি
ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি তাঁর নির্বাচনী প্রচারকাজে লিবিয়ার সাবেক নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির কাছ থেকে অবৈধভাবে পাঁচ কোটিরও বেশি ইউরো নিয়েছিলেন। জিয়াদ তাকিয়েদ্দিন নামের ফ্রান্সের এক ব্যবসায়ী এ দাবি করেছেন।
এ ব্যাপারে তিনি প্রমাণও হাজির করতে পারবেন বলে দাবি করেছেন।
এর আগে সারকোজির বিরুদ্ধে অর্থ নেওয়ার একই অভিযোগ করেন গাদ্দাফির ছেলে সাইফ আল গাদ্দাফি। ফ্রান্সের তদন্তবিষয়ক ওয়েবসাইটেও এ অভিযোগ করা হয়। কিন্তু সারকোজি বরাবরই এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।
তাকিয়েদ্দিন ফ্রান্সের কয়েকটি বড় অস্ত্র কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ফ্রান্স ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে নানা ধরনের ব্যবসায়িক চুক্তির একজন মধ্যস্থতাকারী হিসেবে পরিচিত তিনি। বৈধ ও অবৈধ দুই উপায়েই এসব কাজ করে থাকেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে পাকিস্তান ও সৌদি আরবের সঙ্গে ফ্রান্সের অস্ত্র চুক্তির সময় অবৈধভাবে অর্থ হাতানোর অভিযোগের তদন্ত চলছে। এ ব্যাপারে গত ১৯ ডিসেম্বর আদালতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সে সময়ই গাদ্দাফির কাছ থেকে সারকোজির অর্থ নেওয়ার বিষয়ে মুখ খোলেন তিনি।
তাকিয়েদ্দিন জানান, সারকোজিকে ২০০৭ সালের নির্বাচনী প্রচারের কাজে প্রচুর অর্থ দেন গাদ্দাফি। ২০০৬ সালের ডিসেম্বর থেকে ধাপে ধাপে এ অর্থ নেন সারকোজি। তবে অর্থের বেশির ভাগই সারকোজির হাতে পৌঁছে ২০০৬ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০০৭ সালের জানুয়ারির মধ্যে। তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরও তাঁর কাছে অর্থ আসতে থাকে। ফ্রান্সের দৈনিক লা প্যারিসিয়েন এক প্রতিবেদনে এ খবর প্রকাশ করে। তাকিয়েদ্দিন আরো জানান, ফ্রান্সের রাজনীতিকদের লিবিয়ার কাছ থেকে অবৈধ উপায়ে অর্থ নেওয়ার বিষয়টিতে যদি বিচার বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হয় তবে তিনি এ ব্যাপারে দলিল-দস্তাবেজসহ প্রমাণ হাজির করতে প্রস্তুত আছেন। ফ্রান্সের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লদ গুয়ান্ত ও তাঁর ছেলেও গাদ্দাফির কাছ থেকে অর্থ নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। লা প্যারিসিয়েন পত্রিকাকে তাকিয়েদ্দিন বলেন, 'হ্যাঁ, লিবিয়া সারকোজিকে টাকা দিয়েছে।'
তবে সারকোজিকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার বিনিময়ে গাদ্দাফি তাঁর কাছ থেকে কী কী সুবিধা নিয়েছেন, কিংবা কেন গাদ্দাফি সারকোজিকে অর্থ সাহায্য দিয়েছেন, তা স্পষ্ট করেননি তাকিয়েদ্দিন। তবে তাঁর দাবি, অর্থ লেনদেনের আগে ও পরে তিনি নিজে লিবিয়া এবং ফরাসি সরকারের কর্মকর্তাদের মধ্যে মধ্যস্থতা করেছেন। সব ইউরো সারকোজির পানামা ও সুইজারল্যান্ডের ব্যাংক হিসাবে পাঠানো হয়।
তবে তাকিয়েদ্দিনের অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছে সারকোজির ঘনিষ্ঠ মহল। তারা বলছে, 'ব্যক্তিগত স্বার্থ সিদ্ধির' জন্য এই অভিযোগ তোলা হচ্ছে। ফ্রান্সের নির্বাচনী আইনে কোনো প্রার্থী নির্বাচনী প্রচারের জন্য কারো কাছ থেকে নগদ ছয় হাজার ৩০০ পাউন্ডের বেশি নিলে তিনি নির্বাচনে অযোগ্য বিবেচিত হন।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের অক্টোবরে গাদ্দাফির পতনের পেছনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ও ফ্রান্সের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সারকোজির ভূমিকাই বেশি ছিল। সূত্র : টেলিগ্রাফ।
এর আগে সারকোজির বিরুদ্ধে অর্থ নেওয়ার একই অভিযোগ করেন গাদ্দাফির ছেলে সাইফ আল গাদ্দাফি। ফ্রান্সের তদন্তবিষয়ক ওয়েবসাইটেও এ অভিযোগ করা হয়। কিন্তু সারকোজি বরাবরই এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।
তাকিয়েদ্দিন ফ্রান্সের কয়েকটি বড় অস্ত্র কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ফ্রান্স ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে নানা ধরনের ব্যবসায়িক চুক্তির একজন মধ্যস্থতাকারী হিসেবে পরিচিত তিনি। বৈধ ও অবৈধ দুই উপায়েই এসব কাজ করে থাকেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে পাকিস্তান ও সৌদি আরবের সঙ্গে ফ্রান্সের অস্ত্র চুক্তির সময় অবৈধভাবে অর্থ হাতানোর অভিযোগের তদন্ত চলছে। এ ব্যাপারে গত ১৯ ডিসেম্বর আদালতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সে সময়ই গাদ্দাফির কাছ থেকে সারকোজির অর্থ নেওয়ার বিষয়ে মুখ খোলেন তিনি।
তাকিয়েদ্দিন জানান, সারকোজিকে ২০০৭ সালের নির্বাচনী প্রচারের কাজে প্রচুর অর্থ দেন গাদ্দাফি। ২০০৬ সালের ডিসেম্বর থেকে ধাপে ধাপে এ অর্থ নেন সারকোজি। তবে অর্থের বেশির ভাগই সারকোজির হাতে পৌঁছে ২০০৬ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০০৭ সালের জানুয়ারির মধ্যে। তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরও তাঁর কাছে অর্থ আসতে থাকে। ফ্রান্সের দৈনিক লা প্যারিসিয়েন এক প্রতিবেদনে এ খবর প্রকাশ করে। তাকিয়েদ্দিন আরো জানান, ফ্রান্সের রাজনীতিকদের লিবিয়ার কাছ থেকে অবৈধ উপায়ে অর্থ নেওয়ার বিষয়টিতে যদি বিচার বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হয় তবে তিনি এ ব্যাপারে দলিল-দস্তাবেজসহ প্রমাণ হাজির করতে প্রস্তুত আছেন। ফ্রান্সের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লদ গুয়ান্ত ও তাঁর ছেলেও গাদ্দাফির কাছ থেকে অর্থ নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। লা প্যারিসিয়েন পত্রিকাকে তাকিয়েদ্দিন বলেন, 'হ্যাঁ, লিবিয়া সারকোজিকে টাকা দিয়েছে।'
তবে সারকোজিকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার বিনিময়ে গাদ্দাফি তাঁর কাছ থেকে কী কী সুবিধা নিয়েছেন, কিংবা কেন গাদ্দাফি সারকোজিকে অর্থ সাহায্য দিয়েছেন, তা স্পষ্ট করেননি তাকিয়েদ্দিন। তবে তাঁর দাবি, অর্থ লেনদেনের আগে ও পরে তিনি নিজে লিবিয়া এবং ফরাসি সরকারের কর্মকর্তাদের মধ্যে মধ্যস্থতা করেছেন। সব ইউরো সারকোজির পানামা ও সুইজারল্যান্ডের ব্যাংক হিসাবে পাঠানো হয়।
তবে তাকিয়েদ্দিনের অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছে সারকোজির ঘনিষ্ঠ মহল। তারা বলছে, 'ব্যক্তিগত স্বার্থ সিদ্ধির' জন্য এই অভিযোগ তোলা হচ্ছে। ফ্রান্সের নির্বাচনী আইনে কোনো প্রার্থী নির্বাচনী প্রচারের জন্য কারো কাছ থেকে নগদ ছয় হাজার ৩০০ পাউন্ডের বেশি নিলে তিনি নির্বাচনে অযোগ্য বিবেচিত হন।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের অক্টোবরে গাদ্দাফির পতনের পেছনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ও ফ্রান্সের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সারকোজির ভূমিকাই বেশি ছিল। সূত্র : টেলিগ্রাফ।
No comments