গাড়ি ভাংচুর ও অগি্নসংযোগ
গাজীপুর সদর উপজেলার বোর্ডবাজার এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বাসচাপায় গত সোমবার সকালে এক গার্মেন্টস শ্রমিক নিহত ও দশজন আহত হয়। এতে ুব্ধ শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে ২৫টি গাড়ি ভাংচুর করে এবং ১৫টি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এ সময় আশপাশের পাঁচ-ছয়টি পোশাক কারখানায় হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। ওইদিন সকাল আটটার দিকে কয়েকজন শ্রমিক বোর্ডবাজার বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিম পাশে দাঁড়িয়ে অপো করছিল। এসময় ঢাকা থেকে কোনাবাড়িগামী অনাবিল পরিবহনের একটি মিনিবাস বেপরোয়া গতিতে এসে তাদের চাপা দেয়। ঘটনাস্থলে মৃতু্য হয় শ্রমিক সুজন মিয়ার। অদ কিংবা অযোগ্য চালকের দ্বারা যানবাহন রাসত্মায় নামানোর ফলে প্রতিনিয়ত অসংখ্য হতাহতের ঘটনা ঘটে। এটা সত্য। এেেত্র প্রশাসনের কঠোর হসত্মপে প্রয়োজন। অন্যদিকে গুজব ছড়িয়ে পড়ার রেশ ধরে অযৌক্তিক বিােভ প্রকাশে সংঘবদ্ধভাবে যানবাহনে আগুন ধরানো, সাধারণ যাত্রীদের হয়রানি করা, শিশু ও নারীদের আতঙ্কের মধ্যে ফেলা এবং ঘটনাস্থলের পুরো এলাকার বাণিজ্যিক ও আবাসিক অঞ্চলে ত্রাস সৃষ্টি করা নীতিগতভাবে অন্যায়। এটাকে নিজের হাতে আইন তুলে নেয়া বলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে পুলিশ এবং প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তা কর্মচারীকে আহত হতেও দেখা যায়।দুর্ঘটনায় কোন মৃতু্য বা যে কোন মৃতু্যকে পৃথিবীর কেউ সমর্থন করে না। সেটা অদ গাড়ি চালকের হাতে হোক, মালিক ও শ্রমিক পরে বিরোধের কারণে হোক কিংবা পুলিশের নির্যাতনের কারণে হোক_ জীবনহানি বিবেকবান মানুষকে গভীরভাবে পীড়া দেয়। কিন্তু প্রায়শই ল্য করা যায়, গুজব খুব দ্রম্নত সংক্রমিত হয়ে ওঠে। বিভিন্ন শিল্পকারখানা ও শিা প্রতিষ্ঠানে এমনতর গুজব তাৎণিক উত্তেজনার সৃষ্টি করে। ঘটনা বা দুর্ঘটনার উৎস না খুঁজে হিংসাত্মক ও নাশকতা কাজে লিপ্ত হতে বেশি সময় লাগে না। এেেত্রও প্রাণহানি ঘটে। এবং অসহায় যাত্রী, পথচারী কিংবা মায়ের কোলে থাকা শিশুও রেহাই পায় না। নিকট-অতীতে এরকম নৃশংসতার নজির রয়েছে প্রচুর। আইন সেখানে নীরব সাী হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। সমসত্ম দোষ চাপানো হয় পুলিশের ওপর। আর আমরা ভুলে যাই যে পুলিশও মানুষ।
সংঘবদ্ধ বা সংগঠিত হওয়া ভাল, কিন্তু তিকারক পরিণামের জন্য নয়। শুদ্ধ পরিবর্তন, আলোকিত ভবিষ্যত, অধিকার আদায়ের জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে ঐকমত্যে পেঁৗছানো অবশ্যই বিশ্বসমর্থিত প্রয়াস। কিন্তু অনাকাঙ্ৰিতভাবে যানবাহন ভাংচুর, অগি্নসংযোগ, নিরীহ যাত্রী ও পথচারীর ভোগানত্মির সৃষ্টি, ব্যবসা-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের তিসাধন ইত্যাদি কোনভাবেই কাম্য নয়। ঢাকার নিকটবতর্ী গাজীপুর, সাভার, নারায়ণগঞ্জ ও কেরানীগঞ্জে গড়ে উঠেছে অসংখ্য শিল্প প্রতিষ্ঠান। ঢাকাসহ উলিস্নখিত অঞ্চল সমূহে রয়েছে প্রচুর শিা প্রতিষ্ঠানও। ঢাকা থেকে নিকটবতর্ী স্থানে কিংবা দূরপালস্নার অসংখ্য বাস ট্রাক টেম্পো চলাচল করে থাকে। প্রথমত যানবাহন চালনার েেত্র দতা প্রয়োজন চালকের, পাশাপাশি ট্রাফিক আইন মেনে চলা বাধ্যতামূলক করতে হবে। দ্বিতীয়ত, আমাদের সবাইকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা জরম্নরী_ যাতে কোনরকম নাশকতা মূলক কাজে কেউ লিপ্ত না হয়। কেউ প্রাণহানি চায় না, চায় আইনের প্রতি সশ্রদ্ধ থাকতে।
No comments