গ্রাহকের বাড়তি টাকা বিতরণ কোম্পানির পকেটে
বিদ্যুৎ বিলে ধাপ (স্ল্যাব) সুবিধা তুলে দিয়ে গ্রাহকের কাছ থেকে যে বাড়তি টাকা আদায় করা হয়েছে, তা যাচ্ছে বিতরণ কোম্পানিগুলোর পকেটে। বলা হচ্ছে, এই টাকা ব্যয় করা হবে তাদের লোকসান মেটাতে। প্রয়োজনে নবগঠিত ‘এনার্জি ডেভেলপমেন্ট ফান্ড’ থেকেও তাদের সহায়তা দেওয়া হতে পারে।
এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে পাইকারি ও গ্রাহক—উভয় পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ায় (ঘোষণা করে ২০ সেপ্টেম্বর)। এর পরও একাধিক বিতরণ কোম্পানি বিইআরসির কাছে অভিযোগ করেছে, পাইকারি দামের অনুপাতে গ্রাহক পর্যায়ে দাম কম বাড়ানোয় তাদের লোকসান হচ্ছে।
এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিইআরসি প্রথমত বিদ্যুৎ বিলের ধাপ-সুবিধা তুলে দেওয়ায় কোম্পানিগুলোর হাতে আসা বাড়তি টাকা এবং এর পরও প্রয়োজন হলে এনার্জি ডেভেলপমেন্ট ফান্ড থেকে সহায়তা দেওয়ার কথা কোম্পানিগুলোকে জানিয়েছে।
জানতে চাইলে বিইআরসির এক নম্বর সদস্য সেলিম মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, বিতরণ কোম্পানিগুলোর লোকসান হলে তারা বিইআরসির কাছে আবেদন করতে পারে দাম সমন্বয়ের জন্য। সে ক্ষেত্রে বিইআরসি আইনি প্রক্রিয়ায় তা যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেবে। তবে এর আগে কোম্পানিগুলোর হাতে গ্রাহকদের কাছ থেকে আসা বাড়তি টাকা লোকসান সমন্বয়ে ব্যবহার করা হবে। নতুন গঠিত এনার্জি ডেভেলপমেন্ট ফান্ড থেকেও পরবর্তী সময়ে কোম্পানিগুলো সহায়তা পেতে পারে বলে জানান তিনি।
একাধিক বিতরণ কোম্পানি ও বিইআরসির সূত্র জানায়, বিদ্যুৎ বিলের ধাপ পরিবর্তন করা এবং নিম্নতম ধাপের সুবিধা তুলে দেওয়ার পর সাত মাসে (ফেব্রুয়ারি-আগস্ট ২০১২) বিতরণ কোম্পানিগুলো কত টাকা বাড়তি পেয়েছে, তা এখন পর্যন্ত যথাযথভাবে নিরূপণ করা হয়নি। তবে এর আগে পাওয়া এক তথ্যে জানা গিয়েছিল প্রায় ৪০০ কোটি টাকা বাড়তি পাওয়ার কথা। গত ফেব্রুয়ারি মাসে বিলের ধাপ পরিবর্তন ও মার্চে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পর কোম্পানিগুলো যে টাকা বিল হিসেবে পাওয়ার কথা, এই টাকা তার অতিরিক্ত।
বিদ্যুৎ বিলের ধাপ পরিবর্তনের ফলে অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিল আসতে থাকায় সারা দেশে সব শ্রেণীর গ্রাহক ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। অনেক জায়গায় বিতরণ কোম্পানিগুলোর কার্যালয়ে গ্রাহকেরা হামলাও চালান।
এই প্রেক্ষাপটে বিইআরসি গত সেপ্টেম্বরে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সময় পুনরায় বিলের ধাপ পরিবর্তন করে। তাতে বিলে ধাপের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি সব শ্রেণীর গ্রাহকের জন্য নিম্নতম ধাপের সুবিধা পুনঃপ্রবর্তন করা হয়েছে।
এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিইআরসি প্রথমত বিদ্যুৎ বিলের ধাপ-সুবিধা তুলে দেওয়ায় কোম্পানিগুলোর হাতে আসা বাড়তি টাকা এবং এর পরও প্রয়োজন হলে এনার্জি ডেভেলপমেন্ট ফান্ড থেকে সহায়তা দেওয়ার কথা কোম্পানিগুলোকে জানিয়েছে।
জানতে চাইলে বিইআরসির এক নম্বর সদস্য সেলিম মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, বিতরণ কোম্পানিগুলোর লোকসান হলে তারা বিইআরসির কাছে আবেদন করতে পারে দাম সমন্বয়ের জন্য। সে ক্ষেত্রে বিইআরসি আইনি প্রক্রিয়ায় তা যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেবে। তবে এর আগে কোম্পানিগুলোর হাতে গ্রাহকদের কাছ থেকে আসা বাড়তি টাকা লোকসান সমন্বয়ে ব্যবহার করা হবে। নতুন গঠিত এনার্জি ডেভেলপমেন্ট ফান্ড থেকেও পরবর্তী সময়ে কোম্পানিগুলো সহায়তা পেতে পারে বলে জানান তিনি।
একাধিক বিতরণ কোম্পানি ও বিইআরসির সূত্র জানায়, বিদ্যুৎ বিলের ধাপ পরিবর্তন করা এবং নিম্নতম ধাপের সুবিধা তুলে দেওয়ার পর সাত মাসে (ফেব্রুয়ারি-আগস্ট ২০১২) বিতরণ কোম্পানিগুলো কত টাকা বাড়তি পেয়েছে, তা এখন পর্যন্ত যথাযথভাবে নিরূপণ করা হয়নি। তবে এর আগে পাওয়া এক তথ্যে জানা গিয়েছিল প্রায় ৪০০ কোটি টাকা বাড়তি পাওয়ার কথা। গত ফেব্রুয়ারি মাসে বিলের ধাপ পরিবর্তন ও মার্চে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পর কোম্পানিগুলো যে টাকা বিল হিসেবে পাওয়ার কথা, এই টাকা তার অতিরিক্ত।
বিদ্যুৎ বিলের ধাপ পরিবর্তনের ফলে অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিল আসতে থাকায় সারা দেশে সব শ্রেণীর গ্রাহক ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। অনেক জায়গায় বিতরণ কোম্পানিগুলোর কার্যালয়ে গ্রাহকেরা হামলাও চালান।
এই প্রেক্ষাপটে বিইআরসি গত সেপ্টেম্বরে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সময় পুনরায় বিলের ধাপ পরিবর্তন করে। তাতে বিলে ধাপের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি সব শ্রেণীর গ্রাহকের জন্য নিম্নতম ধাপের সুবিধা পুনঃপ্রবর্তন করা হয়েছে।
No comments