টোকিওতে সময়োপযোগী আলোচনাঃ ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য দেশ বাংলাদেশ’ by জেড এম আবুসিনা
‘হিংসা ও বিদ্বেষের বিরুদ্ধে পৃথিবীর সবখানে সবসময় মানবতার জয় হোক’ এই চিরন্তন শুভবার্তাকে সামনে রেখে সম্প্রতি টোকিওতে বাংলাদেশ সাংবাদিক লেখক ফোরাম-জাপান `সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য এক দেশ বাংলাদেশ` শীর্ষক এক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
প্রসঙ্গত, কক্সবাজারের রামু, উখিয়া, টেকনাফসহ চট্টগ্রামের অনেক বৌদ্ধমন্দির ও বৌদ্ধপল্লীতে সাম্প্রতিক নারকীয় ও ঘৃণ্য হামলার প্রতিক্রিয়ায় এ অসাধারণ আর মানবিক চেতনা জাগানিয়া আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
গেলো ২০ অক্টোবর`১২, সন্ধ্যে সাড়ে ছয়টায় টোকিওর আকাবানে বিভিও হলে অনুষ্ঠিত ওই জরুরি সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জাপানে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।
বাংলাদেশ সাংবাদিক লেখক ফোরাম-জাপান`র সভাপতি সজল বড়ুয়া`র সঞ্চালনায় সেদিন সর্বস্তরের প্রবাসীরা বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ন্যাক্কারজনক বর্বরোচিত ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান।
সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জাপান শাখার সভাপতি কাজী মাহফুজুল হক লাল তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের জন্মভূমি বাংলাদেশে `সংখ্যালঘু` বলে কোনো শব্দ থাকতে পারে না। আজকে এই ঘটনায় রোহিঙ্গাদের কথা বলা হচ্ছে, চরমপন্থিদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে সন্ত্রাসীসের কাজে আমাদের দেশের মাটিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আজ দুর্গতদের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন। সেই সাথে বলেছেন- দোষী প্রমাণিত হলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। আমরা সবাই সেই আশায় রয়েছি, নিরাশ হইনি এখনও।
বিএনপি জাপান শাখার সাধারণ সম্পাদক মীর রেজাউল করিম রেজা লজ্জাজনক সেই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন- নানা কারণে অনেকেই চায় না বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকুক। তিনি ঘ্টনার সঙ্গে জড়িত প্রকৃত দোষীদের অনতিবিলম্বে খুঁজে বের করার জোরালো দাবি জানান প্রধানমন্ত্রীর কাছে।
অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টি জাপান শাখার সাধারণ সম্পাদক নাবী উল্লাহ আসিফ কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে সংঘটিত হামলার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সকল দোষীকে দৃষ্টান্তমূলক কঠোর শাস্তি প্রদানের জন্যে সরকারের কাছে বিশেষ আবেদন জানান।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জাপান শাখার সাধারণ সম্পাদক ছালেহ মো. আরিফ তার বক্তব্যের বলেন, সরকার ঘোষণা দিয়েছে ধ্বংস হয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী সব মন্দিরগুলো পুনর্নিমাণ করে দেবে কিন্তু শতাধিক বছরের পুরোনো মন্দিরগুলো কি আবার সেই আগের রূপ ফিরে পাবে?
তিনি আরো বলেন, এ`সব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত না হলে এটাও সেই `জজ মিয়া`র কাহিনীতেই রূপ নিতে পারে। আমরা চাই আগামী ১২ সপ্তাহের মধ্যেই এই দুঃখজনক নির্মম ঘটনার বিচার হোক।
অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের পলিটিক্যাল কাউন্সিলর মাসুদুর রহমান বলেন, আজকে দেশের এমন বিপর্যয়ে বাংলাদেশ সাংবাদিক লেখক ফোরাম জাপান`র এই অনুষ্ঠানটা কিছু বলার সুযোগ করে দিয়েছে। আমি কিছুটা উৎকণ্ঠিত হয়ে আজ ভাবি— আমাদের নতুন প্রজন্ম এখন কী শিখছে? আজকাল পাশের হার বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু তারা কী শিক্ষা পাচ্ছে? আমার মনে হয়— আমাদের ধর্মীয় বিষয়ে শিক্ষাটি আরো আলোকিত হওয়া দরকার ছিলো। শিক্ষার নানান দিক নিয়ে আমাদের চিন্তা করতে হবে। বাস্তবমুখী আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে সঠিক গবেষণা করে, আমাদের সন্তানদের এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমি সাংবাদিক লেখক ফোরামকে এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্যে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়ে দ্বিধাহীন চিত্তে ২৯-৩০ সেপ্টেম্বরের সেই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।
সেদিনের প্রাণবন্ত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অভিজ্ঞ কূটনীতিক রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বিষাদভরা কণ্ঠে বলেন, এই ঘটনায় আমি এতই লজ্জিত যে, তা প্রকাশের কোনো ভাষা এই মুহূর্তে খুঁজে পাচ্ছি না।
তিনি জোর দিয়ে বলেন— এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্তদের গ্রেফতার করে এদেরকে বিচারের আওতায় অচিরেই আনা উচিত। সরকার ইতিমধ্যেই এই প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
রাষ্ট্রদূত মোমেন আরো বলেন— আমাদের সবাইকে একতাবদ্ধ হয়ে হাজার বছরের সমস্ত ঐতিহ্যকে যে কোনো মূল্যে ধরে রাখতে হবে। নিজেদেরকে `আত্মজিজ্ঞাসা`র মুখোমুখি দাঁড়াতে হবে। `প্রযুক্তির দেশ জাপান`— এখানে বসে প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে কী ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে, তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা উচিত। তা না হলে আবারও এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে। পত্রিকায় দেখলাম, ক`দিন আগেও এরকম একটা ঘটনা ঘটতে যাচ্ছিলো। সেই সাথে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় কোথায় অসম্পূর্ণতা আছে তা`ও খতিয়ে দেখা খুব দরকার।
একই সঙ্গে রাষ্ট্রদূত আশ্বাস দিয়ে বলেন— অতি সম্প্রতি জাপান সফরকালে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপদেষ্টা গওহর রিজভি আমাকে ব্যক্তিগতভাবে নিশ্চিত করেছেন যে— সরকার অপরাধীদের খুঁজে বের করতে দৃঢ়-প্রতিজ্ঞ এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে যথোপযুক্ত কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছেন।
রাষ্ট্রদূত মোমেন তার বক্তব্যের শেষের দিকে সাংবাদিক লেখক ফোরামকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, "সাংবাদিক ও লেখকরা জাতির বিবেক হিসেবে দেশের দুঃসময়ে ঠিকই জেগে ওঠেন। টোকিওতেও স্বদেশের এমন ক্রান্তিকালে এ ধরনের অনুষ্ঠান করে, তারা আবারও তা প্রমাণ করলেন।"
উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানের মাঝামাঝি সময়ে ফোরামের পক্ষ থেকে সদ্য প্রয়াত ভাষা-সৈনিক অলি আহাদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়। পাশাপাশি, বক্তারা ঝটিকা হামলায় অগণিত আহত ব্যক্তিদের যথাযথ চিকিৎসা, ক্ষতিগ্রস্ত গৃহহীনদের দ্রুত পুনর্বাসন এবং যাবতীয় ক্ষতিপূরণ প্রদানসহ ধ্বংস করে দেয়া শতাধিক বছরের ঐতিহ্যবাহী বৌদ্ধমন্দিরগুলো অবিলম্বে পরিপূর্ণ পুনঃস্থাপন ও নির্মাণের সম্পূর্ণ ব্যয়ভার সরকারকে বহন করার জন্যে বলিষ্ঠ দাবি জানান। আবার, কয়েকজন বক্তা এমনতরো নজিরবিহীন লজ্জাজনক ধ্বংস-যজ্ঞের জন্যে, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু বৌদ্ধদের কাছে ক্ষমা প্রার্থণাও করেন।
সেদিনের সেই আলোকিত বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ সাংবাদিক লেখক ফোরাম- জাপান`র সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ, বাংলাদেশ-জাপান খ্রিস্টান সোসাইটির আহ্বায়ক যেরোম গোমেজ, বৃহত্তর ময়মনসিংহ সোসাইটি জাপান`র উপদেষ্টা ড. রফিকুল ইসলাম, সাংবাদিক কাজী ইনসানুল হক, আওয়ামী লীগ জাপান শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার আসলাম হীরা, বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট অ্যাসোসিয়েশন জাপান`র প্রাক্তন সভাপতি অজিত কুমার বড়ুয়া, নবগঠিত বাংলাদেশ ক্লাবের আহ্বায়ক কাজী আজগর আহমেদ সানি, সংস্কৃতি কর্মী নাজিম উদ্দিন, নৌ প্রকৌশলী তাপস বড়ুয়া, উত্তরণ কালচারাল গ্রুপের সক্রিয় সদস্য এম এ এন শাহীন, জাতীয় পার্টি জাপান শাখার সহ-সভাপতি বিরুপাক্ষ বড়ুয়া, সাপ্তাহিকের টোকিও প্রতিনিধি রাহমান মনি, প্রতিবাদী কবি মঈনুল ইসলাম মিল্টন, বৌদ্ধ সংগঠক দেবাশীষ বড়ুয়া ও সাংবাদিক-সংগঠক বেলায়েত হোসেন তুহিন।
বাংলাদেশ সাংবাদিক লেখক ফোরাম-জাপান`র সভাপতি সজল বড়ুয়া`র সঞ্চালনায় সেদিন সর্বস্তরের প্রবাসীরা বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ন্যাক্কারজনক বর্বরোচিত ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান।
সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জাপান শাখার সভাপতি কাজী মাহফুজুল হক লাল তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের জন্মভূমি বাংলাদেশে `সংখ্যালঘু` বলে কোনো শব্দ থাকতে পারে না। আজকে এই ঘটনায় রোহিঙ্গাদের কথা বলা হচ্ছে, চরমপন্থিদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে সন্ত্রাসীসের কাজে আমাদের দেশের মাটিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আজ দুর্গতদের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন। সেই সাথে বলেছেন- দোষী প্রমাণিত হলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। আমরা সবাই সেই আশায় রয়েছি, নিরাশ হইনি এখনও।
বিএনপি জাপান শাখার সাধারণ সম্পাদক মীর রেজাউল করিম রেজা লজ্জাজনক সেই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন- নানা কারণে অনেকেই চায় না বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকুক। তিনি ঘ্টনার সঙ্গে জড়িত প্রকৃত দোষীদের অনতিবিলম্বে খুঁজে বের করার জোরালো দাবি জানান প্রধানমন্ত্রীর কাছে।
অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টি জাপান শাখার সাধারণ সম্পাদক নাবী উল্লাহ আসিফ কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে সংঘটিত হামলার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সকল দোষীকে দৃষ্টান্তমূলক কঠোর শাস্তি প্রদানের জন্যে সরকারের কাছে বিশেষ আবেদন জানান।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জাপান শাখার সাধারণ সম্পাদক ছালেহ মো. আরিফ তার বক্তব্যের বলেন, সরকার ঘোষণা দিয়েছে ধ্বংস হয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী সব মন্দিরগুলো পুনর্নিমাণ করে দেবে কিন্তু শতাধিক বছরের পুরোনো মন্দিরগুলো কি আবার সেই আগের রূপ ফিরে পাবে?
তিনি আরো বলেন, এ`সব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত না হলে এটাও সেই `জজ মিয়া`র কাহিনীতেই রূপ নিতে পারে। আমরা চাই আগামী ১২ সপ্তাহের মধ্যেই এই দুঃখজনক নির্মম ঘটনার বিচার হোক।
অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের পলিটিক্যাল কাউন্সিলর মাসুদুর রহমান বলেন, আজকে দেশের এমন বিপর্যয়ে বাংলাদেশ সাংবাদিক লেখক ফোরাম জাপান`র এই অনুষ্ঠানটা কিছু বলার সুযোগ করে দিয়েছে। আমি কিছুটা উৎকণ্ঠিত হয়ে আজ ভাবি— আমাদের নতুন প্রজন্ম এখন কী শিখছে? আজকাল পাশের হার বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু তারা কী শিক্ষা পাচ্ছে? আমার মনে হয়— আমাদের ধর্মীয় বিষয়ে শিক্ষাটি আরো আলোকিত হওয়া দরকার ছিলো। শিক্ষার নানান দিক নিয়ে আমাদের চিন্তা করতে হবে। বাস্তবমুখী আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে সঠিক গবেষণা করে, আমাদের সন্তানদের এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমি সাংবাদিক লেখক ফোরামকে এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্যে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়ে দ্বিধাহীন চিত্তে ২৯-৩০ সেপ্টেম্বরের সেই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।
সেদিনের প্রাণবন্ত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অভিজ্ঞ কূটনীতিক রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বিষাদভরা কণ্ঠে বলেন, এই ঘটনায় আমি এতই লজ্জিত যে, তা প্রকাশের কোনো ভাষা এই মুহূর্তে খুঁজে পাচ্ছি না।
তিনি জোর দিয়ে বলেন— এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্তদের গ্রেফতার করে এদেরকে বিচারের আওতায় অচিরেই আনা উচিত। সরকার ইতিমধ্যেই এই প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
রাষ্ট্রদূত মোমেন আরো বলেন— আমাদের সবাইকে একতাবদ্ধ হয়ে হাজার বছরের সমস্ত ঐতিহ্যকে যে কোনো মূল্যে ধরে রাখতে হবে। নিজেদেরকে `আত্মজিজ্ঞাসা`র মুখোমুখি দাঁড়াতে হবে। `প্রযুক্তির দেশ জাপান`— এখানে বসে প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে কী ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে, তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা উচিত। তা না হলে আবারও এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে। পত্রিকায় দেখলাম, ক`দিন আগেও এরকম একটা ঘটনা ঘটতে যাচ্ছিলো। সেই সাথে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় কোথায় অসম্পূর্ণতা আছে তা`ও খতিয়ে দেখা খুব দরকার।
একই সঙ্গে রাষ্ট্রদূত আশ্বাস দিয়ে বলেন— অতি সম্প্রতি জাপান সফরকালে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপদেষ্টা গওহর রিজভি আমাকে ব্যক্তিগতভাবে নিশ্চিত করেছেন যে— সরকার অপরাধীদের খুঁজে বের করতে দৃঢ়-প্রতিজ্ঞ এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে যথোপযুক্ত কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছেন।
রাষ্ট্রদূত মোমেন তার বক্তব্যের শেষের দিকে সাংবাদিক লেখক ফোরামকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, "সাংবাদিক ও লেখকরা জাতির বিবেক হিসেবে দেশের দুঃসময়ে ঠিকই জেগে ওঠেন। টোকিওতেও স্বদেশের এমন ক্রান্তিকালে এ ধরনের অনুষ্ঠান করে, তারা আবারও তা প্রমাণ করলেন।"
উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানের মাঝামাঝি সময়ে ফোরামের পক্ষ থেকে সদ্য প্রয়াত ভাষা-সৈনিক অলি আহাদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়। পাশাপাশি, বক্তারা ঝটিকা হামলায় অগণিত আহত ব্যক্তিদের যথাযথ চিকিৎসা, ক্ষতিগ্রস্ত গৃহহীনদের দ্রুত পুনর্বাসন এবং যাবতীয় ক্ষতিপূরণ প্রদানসহ ধ্বংস করে দেয়া শতাধিক বছরের ঐতিহ্যবাহী বৌদ্ধমন্দিরগুলো অবিলম্বে পরিপূর্ণ পুনঃস্থাপন ও নির্মাণের সম্পূর্ণ ব্যয়ভার সরকারকে বহন করার জন্যে বলিষ্ঠ দাবি জানান। আবার, কয়েকজন বক্তা এমনতরো নজিরবিহীন লজ্জাজনক ধ্বংস-যজ্ঞের জন্যে, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু বৌদ্ধদের কাছে ক্ষমা প্রার্থণাও করেন।
সেদিনের সেই আলোকিত বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ সাংবাদিক লেখক ফোরাম- জাপান`র সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ, বাংলাদেশ-জাপান খ্রিস্টান সোসাইটির আহ্বায়ক যেরোম গোমেজ, বৃহত্তর ময়মনসিংহ সোসাইটি জাপান`র উপদেষ্টা ড. রফিকুল ইসলাম, সাংবাদিক কাজী ইনসানুল হক, আওয়ামী লীগ জাপান শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার আসলাম হীরা, বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট অ্যাসোসিয়েশন জাপান`র প্রাক্তন সভাপতি অজিত কুমার বড়ুয়া, নবগঠিত বাংলাদেশ ক্লাবের আহ্বায়ক কাজী আজগর আহমেদ সানি, সংস্কৃতি কর্মী নাজিম উদ্দিন, নৌ প্রকৌশলী তাপস বড়ুয়া, উত্তরণ কালচারাল গ্রুপের সক্রিয় সদস্য এম এ এন শাহীন, জাতীয় পার্টি জাপান শাখার সহ-সভাপতি বিরুপাক্ষ বড়ুয়া, সাপ্তাহিকের টোকিও প্রতিনিধি রাহমান মনি, প্রতিবাদী কবি মঈনুল ইসলাম মিল্টন, বৌদ্ধ সংগঠক দেবাশীষ বড়ুয়া ও সাংবাদিক-সংগঠক বেলায়েত হোসেন তুহিন।
No comments