যুক্তরাষ্ট্রগামী চার হাজার যাত্রী আটকা পড়েছেন by ইশতিয়াক হুসাইন
যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় স্যান্ডির কারণে বাংলাদেশ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রগামী চার হাজারেরও বেশি যাত্রী আটকা পড়েছেন। মার্কিন ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফএএ) নিষেধাজ্ঞার ফলে সোম ও মঙ্গলবার দুই দিনে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফ্লাইট পরিচালনাকারী ৬টি এয়ারলাইন্সের কমপক্ষে ১৪টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।
এজন্য ওই বিপুল সংখ্যক যাত্রী টিকেট কেটেও গন্তব্যে যেতে পারেননি। ঢাকা থেকে ফ্লাইট পরিচালনাকারী এয়ারলাইন্স ও বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ঢাকা থেকে দুবাই হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এমিরেটস সপ্তাহে দুটি ফ্লাইট পরিচালনা করে। একইভাবে কাতার এয়ারওয়েজ, কুয়েত এয়ারওয়েজ, গালফ, টার্কিশ ও ইতিহাদ এয়ারওয়েজ সপ্তাহে একটি ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে। সেই হিসেবে দুই দিনে এরই মধ্যে ১৪টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় স্যান্ডির কারণে এফএএ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটনে ২৯ ও ৩০ অক্টোবর সব ধরনের ফ্লাইট অবতরণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। আর এ কারণে বাংলাদেশ থেকে এসব এয়ারলাইন্সের চার হাজারেরও বেশি যাত্রী ঢাকায় আটকা পড়েছেন।
এ বিষয়ে বিদেশি এসব এয়ারলাইন্সের একাধিক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে বাংলানিউজকে জানান, ঝড়ের আগেই তারা যাত্রীদের ২৯ ও ৩০ অক্টোবরের ফ্লাইট বাতিল করার সংবাদ জানিয়েছেন। যাতে করে যাত্রীদের অযথা হয়রানির শিকার হতে না হয়।
তারা জানান, ওই দু’দিনে যারা তাদের যাত্রী ছিলেন, তাদের সবাইকে ই-মেইল, মোবাইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করা হয়। যারা এই দু’দিনে যেতে পারেননি তাদের সবাইকে পরবর্তী ফ্লাইটগুলোতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।
এমিরেটস সূত্রে জানা গেছে, সপ্তাহে প্রতিদিন রাত ৯টার ফ্লাইটেই মূলত ঢাকা থেকে যুক্তরাষ্ট্রগামী যাত্রী বেশি থাকে। এখান থেকে যাত্রীদের প্রথমে দুবাই নিয়ে যাওয়া হয়। বাংলাদেশি যাত্রীদের জন্য দুবাই থেকে যুক্তরাষ্ট্রে সপ্তাহে দুটি ডেডিকেটেড ফ্লাইট রয়েছে। একইভাবে কাতার এয়ারওয়েজ, কুয়েত এয়ারওয়েজ, গালফ, টার্কিশ ও ইতিহাদ এয়ারওয়েজ সপ্তাহে একটি করে ফ্লাইট রয়েছে। এরা প্রত্যেকে যাত্রীদের ঢাকা থেকে দোহা, কুয়েত সিটি, দুবাই, ইস্তাম্বুল, আবুধাবী নিয়ে যায়। সেখান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিটি এয়ারলাইন্সের একটি ডেডিকেটেড ফ্লাইট রয়েছে বাংলাদেশি যাত্রীদের জন্য।
কুয়েত এয়ারওয়েজ ও ইতিহাদ এয়ারওয়েজ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (৩১ অক্টোবর) থেকে আবার ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার আশা করছেন তারা। যুক্তি হিসেবে তারা বলেন, এরই মধ্যে স্যান্ডি যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হেনেছে। এরপর একদিন অতিক্রান্ত হয়েছে। তাছাড়া মধ্যপ্রাচ্য থেকে কোনো ফ্লাইট বুধবার ছাড়লেও তা যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছাতে আরো সময় লাগবে। সেই হিসেবে আটকে পড়া যাত্রীরা বুধবার থেকে তাদের গন্তব্যে যেতে পারবেন।
তারা বলেন, নিউইয়র্কে যে অবস্থা, তাতে সেখানে পৌঁছে যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হতো। তারপরেও যাদের টিকিট কেটে বসে থাকতে হয়েছে, তাদের কিছুটা হলেও ভোগান্তি হয়েছে। তবে আগাম বার্তা দেওয়ার কারণে যাত্রীদের হয়রানির শিকার হতে হয়নি।
এ বিষয়ে বিদেশি এসব এয়ারলাইন্সের একাধিক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে বাংলানিউজকে জানান, ঝড়ের আগেই তারা যাত্রীদের ২৯ ও ৩০ অক্টোবরের ফ্লাইট বাতিল করার সংবাদ জানিয়েছেন। যাতে করে যাত্রীদের অযথা হয়রানির শিকার হতে না হয়।
তারা জানান, ওই দু’দিনে যারা তাদের যাত্রী ছিলেন, তাদের সবাইকে ই-মেইল, মোবাইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করা হয়। যারা এই দু’দিনে যেতে পারেননি তাদের সবাইকে পরবর্তী ফ্লাইটগুলোতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।
এমিরেটস সূত্রে জানা গেছে, সপ্তাহে প্রতিদিন রাত ৯টার ফ্লাইটেই মূলত ঢাকা থেকে যুক্তরাষ্ট্রগামী যাত্রী বেশি থাকে। এখান থেকে যাত্রীদের প্রথমে দুবাই নিয়ে যাওয়া হয়। বাংলাদেশি যাত্রীদের জন্য দুবাই থেকে যুক্তরাষ্ট্রে সপ্তাহে দুটি ডেডিকেটেড ফ্লাইট রয়েছে। একইভাবে কাতার এয়ারওয়েজ, কুয়েত এয়ারওয়েজ, গালফ, টার্কিশ ও ইতিহাদ এয়ারওয়েজ সপ্তাহে একটি করে ফ্লাইট রয়েছে। এরা প্রত্যেকে যাত্রীদের ঢাকা থেকে দোহা, কুয়েত সিটি, দুবাই, ইস্তাম্বুল, আবুধাবী নিয়ে যায়। সেখান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিটি এয়ারলাইন্সের একটি ডেডিকেটেড ফ্লাইট রয়েছে বাংলাদেশি যাত্রীদের জন্য।
কুয়েত এয়ারওয়েজ ও ইতিহাদ এয়ারওয়েজ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (৩১ অক্টোবর) থেকে আবার ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার আশা করছেন তারা। যুক্তি হিসেবে তারা বলেন, এরই মধ্যে স্যান্ডি যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হেনেছে। এরপর একদিন অতিক্রান্ত হয়েছে। তাছাড়া মধ্যপ্রাচ্য থেকে কোনো ফ্লাইট বুধবার ছাড়লেও তা যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছাতে আরো সময় লাগবে। সেই হিসেবে আটকে পড়া যাত্রীরা বুধবার থেকে তাদের গন্তব্যে যেতে পারবেন।
তারা বলেন, নিউইয়র্কে যে অবস্থা, তাতে সেখানে পৌঁছে যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হতো। তারপরেও যাদের টিকিট কেটে বসে থাকতে হয়েছে, তাদের কিছুটা হলেও ভোগান্তি হয়েছে। তবে আগাম বার্তা দেওয়ার কারণে যাত্রীদের হয়রানির শিকার হতে হয়নি।
No comments