পাস্তোরের মূল্য ৬ কোটি ইউরো
চাহিদা বাড়লে দাম বাড়বেই। ইতালিয়ান ক্লাব পালের্মোর আর্জেন্টাইন খেলোয়াড় হাভিয়ের পাস্তোরেকে নিয়ে চলছে এই চাহিদা বৃদ্ধি আর দাম বৃদ্ধির খেলা। দলবদলের নতুন মৌসুম শুরু হওয়ার কয়েক মাস আগেই বাজারটা গরম করে তুলেছেন পাস্তোরে! তবে পাস্তোরে উপলক্ষ মাত্র। ২১ বছর বয়সী এই তারকাকে নিয়ে বাজার গরম করছেন তাঁর পালের্মোর সভাপতি মরিজিও জামপারিনি আর ইউরোপের নামী-দামি কয়েকটি ক্লাব।
রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, চেলসি, লিভারপুল, ইন্টারমিলান—পাস্তোরেকে পাওয়ার লড়াইয়ে কে নেই! রিয়াল-বার্সেলোনার মধ্যে তো একটা ‘এল ক্লাসিকো’ই শুরু হয়ে গেছে। ঊর্ধ্বমুখী চাহিদায় পালের্মোর সভাপতি পড়েছেন ভীষণ ঝামেলায়। তরুণ এই তুর্কিকে রেখে দেবেন, নাকি ছেড়ে দেবেন—সিদ্ধান্তই নিতে পারছেন না। প্রথমে ‘পাস্তোরে বিক্রির জন্য নয়’ বলে দিলেও দিন কয়েক পর সুর বদলে জানিয়ে দেন, পাস্তোরেকে নিতে হলে দিতে হবে উচ্চমূল্য।
সেই মূল্যটা কত? জামপারিনি বলেছেন, ‘পাস্তোরেকে সিসিলি থেকে নিয়ে যেতে হলে দিতে হবে ৬ কোটি ইউরোরও বেশি।’ এটি কি পাস্তোরেকে সিসিলিতেই রেখে দেওয়ার কৌশল? তা-ই যদি হয়, তাহলে অঙ্কটা কষতে বড় ধরনের একটা ভুল করে ফেলেছেন জামপারিনি। কারণ, ইংলিশ ক্লাব চেলসি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড নাকি আর্জেন্টাইন এই তরুণ তুর্কিকে দলে টানতে ৬ কোটি ইউরো দিতেও রাজি। রিয়াল-বার্সেলোনা তো রইলই।
২০০৯ সালে আর্জেন্টিনার তৃতীয় বিভাগের দল তাল্লারাস দে করদোবা থেকে পাস্তোরে পাঁচ বছরের চুক্তিতে পালের্মোতে যোগ দেন মাত্র ৮০ লাখ ডলারে। পালের্মোতে আসার আগেই অবশ্য এসি মিলান, ম্যানইউ, চেলসি, এফসি পোর্তোর সঙ্গেও যোগাযোগ রেখেছিলেন। সে যা-ই হোক, সিসিলির জল-হাওয়ায় দ্রুতই মিশে যান পাস্তোরে। অভিষেকের পর কয়েকটি মাত্র ম্যাচ দিয়েই নজর কাড়েন সবার। লিওনেল মেসির পর তাঁকে ভাবা হচ্ছে সবচেয়ে প্রতিভাবান আর্জেন্টাইন ফুটবলার হিসেবে।
স্বয়ং ম্যারাডোনার মুখেই একাধিকবার ঝরেছে তরুণ পাস্তোরের প্রশংসা। ২০০৯ সালেই কাতালানের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার প্রীতি ম্যাচের জন্য পাস্তোরেকে জাতীয় দলে ডাকেন ম্যারাডোনা। ম্যারাডোনা তাঁকে নিয়ে যান ২০১০ বিশ্বকাপেও। গ্রিস ম্যাচে কয়েক মিনিটের জন্য সুযোগ পেয়েই পাস্তোরে বুঝিয়ে দেন মেসি, তেভেজদের পাশে খেলার সামর্থ্য তাঁর আছে। আর জার্মানির বিপক্ষে দুঃস্বপ্নের কোয়ার্টার ফাইনালে শেষ দিকে নেমে তিনি তো আক্ষেপই বাড়িয়ে দেন আর্জেন্টাইন সমর্থকদের, ‘ইস্, যদি আরেকটু আগে ওকে নামানো হতো...!’
পালের্মোর হয়ে এই মৌসুমটা কাটছে অবিশ্বাস্য। পালের্মো যে সিরি ‘আ’র অষ্টম স্থানে তা তো পাস্তোরের কারণেই। আর এসব দেখেই তাঁকে পাওয়ার লড়াইয়ে বিশ্বসেরা ক্লাবগুলো। লড়াইটা যেমন জমে উঠেছে, ধরেই নেওয়া যায় আগামী মৌসুমে সিসিলি ছেড়ে পাস্তোরের ঠিকানা হতে যাচ্ছে রিয়াল, বার্সেলোনা, ম্যানইউ কিংবা অন্য কোথাও। ছোট তারকাকে বড় বানিয়ে বিক্রি করে টাকা কামানোই তো পালের্মোর মতো মাঝারি মানের ক্লাবগুলোর প্রধান লক্ষ্য।
রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, চেলসি, লিভারপুল, ইন্টারমিলান—পাস্তোরেকে পাওয়ার লড়াইয়ে কে নেই! রিয়াল-বার্সেলোনার মধ্যে তো একটা ‘এল ক্লাসিকো’ই শুরু হয়ে গেছে। ঊর্ধ্বমুখী চাহিদায় পালের্মোর সভাপতি পড়েছেন ভীষণ ঝামেলায়। তরুণ এই তুর্কিকে রেখে দেবেন, নাকি ছেড়ে দেবেন—সিদ্ধান্তই নিতে পারছেন না। প্রথমে ‘পাস্তোরে বিক্রির জন্য নয়’ বলে দিলেও দিন কয়েক পর সুর বদলে জানিয়ে দেন, পাস্তোরেকে নিতে হলে দিতে হবে উচ্চমূল্য।
সেই মূল্যটা কত? জামপারিনি বলেছেন, ‘পাস্তোরেকে সিসিলি থেকে নিয়ে যেতে হলে দিতে হবে ৬ কোটি ইউরোরও বেশি।’ এটি কি পাস্তোরেকে সিসিলিতেই রেখে দেওয়ার কৌশল? তা-ই যদি হয়, তাহলে অঙ্কটা কষতে বড় ধরনের একটা ভুল করে ফেলেছেন জামপারিনি। কারণ, ইংলিশ ক্লাব চেলসি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড নাকি আর্জেন্টাইন এই তরুণ তুর্কিকে দলে টানতে ৬ কোটি ইউরো দিতেও রাজি। রিয়াল-বার্সেলোনা তো রইলই।
২০০৯ সালে আর্জেন্টিনার তৃতীয় বিভাগের দল তাল্লারাস দে করদোবা থেকে পাস্তোরে পাঁচ বছরের চুক্তিতে পালের্মোতে যোগ দেন মাত্র ৮০ লাখ ডলারে। পালের্মোতে আসার আগেই অবশ্য এসি মিলান, ম্যানইউ, চেলসি, এফসি পোর্তোর সঙ্গেও যোগাযোগ রেখেছিলেন। সে যা-ই হোক, সিসিলির জল-হাওয়ায় দ্রুতই মিশে যান পাস্তোরে। অভিষেকের পর কয়েকটি মাত্র ম্যাচ দিয়েই নজর কাড়েন সবার। লিওনেল মেসির পর তাঁকে ভাবা হচ্ছে সবচেয়ে প্রতিভাবান আর্জেন্টাইন ফুটবলার হিসেবে।
স্বয়ং ম্যারাডোনার মুখেই একাধিকবার ঝরেছে তরুণ পাস্তোরের প্রশংসা। ২০০৯ সালেই কাতালানের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার প্রীতি ম্যাচের জন্য পাস্তোরেকে জাতীয় দলে ডাকেন ম্যারাডোনা। ম্যারাডোনা তাঁকে নিয়ে যান ২০১০ বিশ্বকাপেও। গ্রিস ম্যাচে কয়েক মিনিটের জন্য সুযোগ পেয়েই পাস্তোরে বুঝিয়ে দেন মেসি, তেভেজদের পাশে খেলার সামর্থ্য তাঁর আছে। আর জার্মানির বিপক্ষে দুঃস্বপ্নের কোয়ার্টার ফাইনালে শেষ দিকে নেমে তিনি তো আক্ষেপই বাড়িয়ে দেন আর্জেন্টাইন সমর্থকদের, ‘ইস্, যদি আরেকটু আগে ওকে নামানো হতো...!’
পালের্মোর হয়ে এই মৌসুমটা কাটছে অবিশ্বাস্য। পালের্মো যে সিরি ‘আ’র অষ্টম স্থানে তা তো পাস্তোরের কারণেই। আর এসব দেখেই তাঁকে পাওয়ার লড়াইয়ে বিশ্বসেরা ক্লাবগুলো। লড়াইটা যেমন জমে উঠেছে, ধরেই নেওয়া যায় আগামী মৌসুমে সিসিলি ছেড়ে পাস্তোরের ঠিকানা হতে যাচ্ছে রিয়াল, বার্সেলোনা, ম্যানইউ কিংবা অন্য কোথাও। ছোট তারকাকে বড় বানিয়ে বিক্রি করে টাকা কামানোই তো পালের্মোর মতো মাঝারি মানের ক্লাবগুলোর প্রধান লক্ষ্য।
No comments