শান্তিপূর্ণভাবে দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ
দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া গতকাল শনিবার শান্তিপূর্ণভাবে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। গতকাল ৫০টি আসনে ভোট নেওয়া হয়। এ উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় রয়েছে ২৯৪টি আসন। গতকাল মুর্শিদাবাদ জেলার ২২টি, নদীয়া জেলার ১৭টি ও বীরভূম জেলার ১১টি আসনে ভোট নেওয়া হয়। বামফ্রন্ট ও বিজেপি লড়েছে ৫০টি আসনেই। তৃণমূল কংগ্রেস ২৯টি ও কংগ্রেস ২১টি আসনে লড়েছে। তবে মুর্শিদাবাদ ও নদীয়ায় কংগ্রেসের চারজন করে মোট আটজন বিদ্রোহী নেতা নির্দলীয় প্রার্থী হিসেবে লড়েছেন।
মুর্শিদাবাদ ও নদীয়া জেলা কংগ্রেসের ঘাঁটি হলেও এখানে মনোনয়ন না পেয়ে দুই জেলায় চারজন করে মোট আটজন কংগ্রেস নেতা নির্দলীয় প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়েছেন। অন্যদিকে বীরভূম আগে থেকে বাম দলের শক্ত ঘাঁটি হলেও এবার এই জেলায় তৃণমূল মোটামুটি শক্তিশালী দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
গতকালের নির্বাচনে বীরভূমের নলহাটি কেন্দ্রে কংগ্রেসের টিকিটে লড়েছেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ছেলে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। মুর্শিদাবাদের ডোমকল কেন্দ্রে লড়েছেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী আনিসুর রহমান।
এবার এই তিন জেলায় ৮০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। এর আগে প্রথম পর্বে ছয়টি জেলার ৫৪টি আসনে ভোট হয়েছে ১৮ এপ্রিল। তবে বিগত সব নির্বাচনের চেয়ে এবার ভোট ছিল একটু ব্যতিক্রমধর্মী। এবার ভোটাররা ভোট দিয়েছেন অনেকটাই নীরবে। ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের কাছে মুখ খোলেননি। বলতে চাননি কে কাকে ভোট দিয়েছেন।
রাস্তাঘাট উন্নয়ন এবং স্থানীয় পঞ্চায়েতের দুর্নীতির প্রতিবাদে মুর্শিদাবাদ, বীরভূম ও নদীয়ার ছয়টি ভোটকেন্দ্রে ভোটাররা ভোট বর্জন করেছেন। নদীয়ার রানাঘাটের একটি ভোটকেন্দ্রে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠলে তাঁকে ওই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পলাশীপাড়ায় সিপিএমের এক নির্বাচনী এজেন্টের কাছে ২৫টি ফাঁকা ব্যালটপেপার পাওয়ায় তাঁকে এবং তাঁর গাড়ির চালককে গ্রেপ্তার করা হয়। একইভাবে মুর্শিদাবাদের সালারে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে প্রভাবিত করার অভিযোগে কংগ্রেসের এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বীরভূমের বোলপুরের ইলামবাজারে কংগ্রেস কর্মীদের একটি বুথ দখলের অভিযোগ করেছে সিপিএম। মুর্শিদাবাদের ডোমকলে চারটি গ্রামে কংগ্রেসের সমর্থকেরা ভোটদানে বাধা দিলে পুলিশ এসে ওই চার গ্রামের বাসিন্দাদের ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করে। একই ঘটনা ঘটেছে বীরভূমের নানুরেও। এখানেও কয়েকটি গ্রামের ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসতে বাধা দেয় কংগ্রেসের কর্মীরা। এ ছাড়া বেশ কটি ভোটকেন্দ্রে ভোটিং মেশিন খারাপ হওয়ার খবর মিলেছে। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গা কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের সময় দায়িত্ব পালনরত এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা অত্যধিক গরমে অসুস্থ হয়ে হঠাৎ মারা যান।
এদিকে কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ সাংসদ অধীর চৌধুরী গতকাল সংবাদমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, নির্বাচনে মুর্শিদাবাদের ২২টি আসনেই জিতবেন কংগ্রেসের প্রার্থীরা। প্রসঙ্গত, এই মুর্শিদাবাদে তৃণমূল কংগ্রেস চারটি আসনে লড়লেও অধীর চৌধুরীর সমর্থনে নির্দলীয় প্রার্থী হিসেবে ওই চারটি আসনে লড়েছেন কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ কর্মীরা। তাঁরা সবাই জিতবেন। বামফ্রন্ট ও তৃণমূল কংগ্রেস মুর্শিদাবাদে কোনো আসন পাবে না। অধীর চৌধুরী আরও বলেন, তাঁর আশঙ্কা, তৃণমূল ক্ষমতায় এলে তাঁকে জেলে পাঠাতে পারে।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় রয়েছে ২৯৪টি আসন। গতকাল মুর্শিদাবাদ জেলার ২২টি, নদীয়া জেলার ১৭টি ও বীরভূম জেলার ১১টি আসনে ভোট নেওয়া হয়। বামফ্রন্ট ও বিজেপি লড়েছে ৫০টি আসনেই। তৃণমূল কংগ্রেস ২৯টি ও কংগ্রেস ২১টি আসনে লড়েছে। তবে মুর্শিদাবাদ ও নদীয়ায় কংগ্রেসের চারজন করে মোট আটজন বিদ্রোহী নেতা নির্দলীয় প্রার্থী হিসেবে লড়েছেন।
মুর্শিদাবাদ ও নদীয়া জেলা কংগ্রেসের ঘাঁটি হলেও এখানে মনোনয়ন না পেয়ে দুই জেলায় চারজন করে মোট আটজন কংগ্রেস নেতা নির্দলীয় প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়েছেন। অন্যদিকে বীরভূম আগে থেকে বাম দলের শক্ত ঘাঁটি হলেও এবার এই জেলায় তৃণমূল মোটামুটি শক্তিশালী দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
গতকালের নির্বাচনে বীরভূমের নলহাটি কেন্দ্রে কংগ্রেসের টিকিটে লড়েছেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ছেলে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। মুর্শিদাবাদের ডোমকল কেন্দ্রে লড়েছেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী আনিসুর রহমান।
এবার এই তিন জেলায় ৮০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। এর আগে প্রথম পর্বে ছয়টি জেলার ৫৪টি আসনে ভোট হয়েছে ১৮ এপ্রিল। তবে বিগত সব নির্বাচনের চেয়ে এবার ভোট ছিল একটু ব্যতিক্রমধর্মী। এবার ভোটাররা ভোট দিয়েছেন অনেকটাই নীরবে। ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের কাছে মুখ খোলেননি। বলতে চাননি কে কাকে ভোট দিয়েছেন।
রাস্তাঘাট উন্নয়ন এবং স্থানীয় পঞ্চায়েতের দুর্নীতির প্রতিবাদে মুর্শিদাবাদ, বীরভূম ও নদীয়ার ছয়টি ভোটকেন্দ্রে ভোটাররা ভোট বর্জন করেছেন। নদীয়ার রানাঘাটের একটি ভোটকেন্দ্রে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠলে তাঁকে ওই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পলাশীপাড়ায় সিপিএমের এক নির্বাচনী এজেন্টের কাছে ২৫টি ফাঁকা ব্যালটপেপার পাওয়ায় তাঁকে এবং তাঁর গাড়ির চালককে গ্রেপ্তার করা হয়। একইভাবে মুর্শিদাবাদের সালারে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে প্রভাবিত করার অভিযোগে কংগ্রেসের এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বীরভূমের বোলপুরের ইলামবাজারে কংগ্রেস কর্মীদের একটি বুথ দখলের অভিযোগ করেছে সিপিএম। মুর্শিদাবাদের ডোমকলে চারটি গ্রামে কংগ্রেসের সমর্থকেরা ভোটদানে বাধা দিলে পুলিশ এসে ওই চার গ্রামের বাসিন্দাদের ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করে। একই ঘটনা ঘটেছে বীরভূমের নানুরেও। এখানেও কয়েকটি গ্রামের ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসতে বাধা দেয় কংগ্রেসের কর্মীরা। এ ছাড়া বেশ কটি ভোটকেন্দ্রে ভোটিং মেশিন খারাপ হওয়ার খবর মিলেছে। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গা কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের সময় দায়িত্ব পালনরত এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা অত্যধিক গরমে অসুস্থ হয়ে হঠাৎ মারা যান।
এদিকে কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ সাংসদ অধীর চৌধুরী গতকাল সংবাদমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, নির্বাচনে মুর্শিদাবাদের ২২টি আসনেই জিতবেন কংগ্রেসের প্রার্থীরা। প্রসঙ্গত, এই মুর্শিদাবাদে তৃণমূল কংগ্রেস চারটি আসনে লড়লেও অধীর চৌধুরীর সমর্থনে নির্দলীয় প্রার্থী হিসেবে ওই চারটি আসনে লড়েছেন কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ কর্মীরা। তাঁরা সবাই জিতবেন। বামফ্রন্ট ও তৃণমূল কংগ্রেস মুর্শিদাবাদে কোনো আসন পাবে না। অধীর চৌধুরী আরও বলেন, তাঁর আশঙ্কা, তৃণমূল ক্ষমতায় এলে তাঁকে জেলে পাঠাতে পারে।
No comments