বিশু জেতালেন উইন্ডিজকে
‘আমি ওয়েস্ট ইন্ডিজের একজন গ্রেট ক্রিকেটার হতে চাই। সাধারণ একজন ক্রিকেটার হয়ে থাকতে চাই না। আমি অসাধারণ কিছুর স্বপ্ন দেখি, স্বপ্ন দেখি গ্রেট হওয়ার’—আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের মাত্র শুরু, এখনই দৃষ্টি এত দূর! দেবেন্দ্র বিশুর আত্মবিশ্বাসটা কত উঁচুতে, পরিষ্কার এতেই। শুধু কণ্ঠে নয়, এই আত্মবিশ্বাসের প্রতিফলন দেখা গেছে তাঁর পারফরম্যান্সেও। ২৫ বছর বয়সী লেগ স্পিনারের দুর্দান্ত বোলিংয়ে পরশু একমাত্র টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে ৭ রানে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অভিষেক টি-টোয়েন্টিতে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা বিশু।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়টার গুরুত্ব আরও বেড়ে যাচ্ছে, কারণ তারা নেমেছিল প্রায় নতুন চেহারার এক দল নিয়ে। পাঁচজনের টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়েছে পরশু। ম্যাচ পাতানোর নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে তিন বছর পর খেলতে নামা মারলন স্যামুয়েলস ও অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি ছাড়া আর কোনো অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ছিলেন না। পাকিস্তান দলে অভিষিক্ত ছিলেন দুজন—বাঁহাতি পেসার জুনাইদ খান ও উইকেটকিপার মোহাম্মদ সালমান।
এই সেন্ট লুসিয়াতেই গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে মাইক হাসির অতিমানবীয় ব্যাটিংয়ে হেরেছিল পাকিস্তান। পরশু ২ রানে আন্দ্রে ফ্লেচারকে ফিরিয়ে শুরুটা অবশ্য দারুণ করেছিল। কিন্তু দ্বিতীয় উইকেটে লেন্ডল সিমন্স ও ড্যারেন ব্রাভোর ৬৭ বলে ৯৯ রানের জুটিতে বড় স্কোরের ভিত্তি পায় স্বাগতিকেরা। ৪৪ বলে ৬৫ করেন সিমন্স, ৩৩ বলে ৪২ ‘ছোটো’ ব্রাভো। এরপর কেউ সুবিধা করতে না পারলেও দেড় শ পেয়ে যায় উইন্ডিজ। ৪৯ রানে ৪ উইকেট হারানোর পরই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় পাকিস্তান। জয়ের সম্ভাবনা জাগাতে পারেনি আর কখনোই। ডোয়াইন ব্রাভোর চোটের কারণে বিশ্বকাপে সুযোগ পেয়ে নজর কেড়েছিলেন বিশু, পরশু ৪ ওভার বোলিং করে ৪ উইকেট নিয়েছেন মাত্র ১৭ রানে। একই মাঠে আজ শুরু হচ্ছে ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২০ ওভারে ১৫০/৭ (সিমন্স ৬৫, ড্যারেন ব্রাভো ৪২, হায়াট ১৪, বার্নওয়েল ১১*; রেহমান ২/২২, রিয়াজ ২/২৪, আজমল ২/৩৫)। পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১৪৩/৯ (উমর আকমল ৪১, শফিক ২৫, আজমল ২১*, শেহজাদ ১২, আফ্রিদি ১২; বিশু ৪/১৭, রামপল ৩/৩১, স্যামি ১/২৬)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়টার গুরুত্ব আরও বেড়ে যাচ্ছে, কারণ তারা নেমেছিল প্রায় নতুন চেহারার এক দল নিয়ে। পাঁচজনের টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়েছে পরশু। ম্যাচ পাতানোর নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে তিন বছর পর খেলতে নামা মারলন স্যামুয়েলস ও অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি ছাড়া আর কোনো অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ছিলেন না। পাকিস্তান দলে অভিষিক্ত ছিলেন দুজন—বাঁহাতি পেসার জুনাইদ খান ও উইকেটকিপার মোহাম্মদ সালমান।
এই সেন্ট লুসিয়াতেই গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে মাইক হাসির অতিমানবীয় ব্যাটিংয়ে হেরেছিল পাকিস্তান। পরশু ২ রানে আন্দ্রে ফ্লেচারকে ফিরিয়ে শুরুটা অবশ্য দারুণ করেছিল। কিন্তু দ্বিতীয় উইকেটে লেন্ডল সিমন্স ও ড্যারেন ব্রাভোর ৬৭ বলে ৯৯ রানের জুটিতে বড় স্কোরের ভিত্তি পায় স্বাগতিকেরা। ৪৪ বলে ৬৫ করেন সিমন্স, ৩৩ বলে ৪২ ‘ছোটো’ ব্রাভো। এরপর কেউ সুবিধা করতে না পারলেও দেড় শ পেয়ে যায় উইন্ডিজ। ৪৯ রানে ৪ উইকেট হারানোর পরই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় পাকিস্তান। জয়ের সম্ভাবনা জাগাতে পারেনি আর কখনোই। ডোয়াইন ব্রাভোর চোটের কারণে বিশ্বকাপে সুযোগ পেয়ে নজর কেড়েছিলেন বিশু, পরশু ৪ ওভার বোলিং করে ৪ উইকেট নিয়েছেন মাত্র ১৭ রানে। একই মাঠে আজ শুরু হচ্ছে ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২০ ওভারে ১৫০/৭ (সিমন্স ৬৫, ড্যারেন ব্রাভো ৪২, হায়াট ১৪, বার্নওয়েল ১১*; রেহমান ২/২২, রিয়াজ ২/২৪, আজমল ২/৩৫)। পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১৪৩/৯ (উমর আকমল ৪১, শফিক ২৫, আজমল ২১*, শেহজাদ ১২, আফ্রিদি ১২; বিশু ৪/১৭, রামপল ৩/৩১, স্যামি ১/২৬)।
No comments